বিল্লা | |
---|---|
![]() পোস্টার | |
পরিচালক | আর. কৃষ্ণমূর্তি |
প্রযোজক | সুরেশ বালাজে |
কাহিনিকার | সেলিম খান-জাভেদ আখতার |
উৎস | চন্দ্র বরোত কর্তৃক ডন |
শ্রেষ্ঠাংশে | রজনীকান্ত শ্রীপ্রিয়া কে বালাজী |
সুরকার | মনয়ঙ্গত সুব্রহ্মণ্যম বিশ্বনাথন |
চিত্রগ্রাহক | জি ওর নাথান |
সম্পাদক | ভি চক্রপানি |
প্রযোজনা কোম্পানি | সুরেশ আর্টস |
মুক্তি | ২৬ জানুয়ারি ১৯৮০ |
স্থিতিকাল | ১৭৫ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | তামিল |
বিল্লা (তামিল: பில்லா) হচ্ছে ১৯৮০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি তামিল মারপিটধর্মী রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র, এটির পরিচালক ছিলেন আর. কৃষ্ণমূর্তি এবং প্রযোজক ছিলেন সুরেশ বালাজে। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছিলেন রজনীকান্ত, শ্রীপ্রিয়া, কে. বালাজী, মেজর সুন্দররাজন, আর. এস. মনোহর, তেঙ্গাই শ্রীনিবাস এবং এ.ভি.এম. রাজন। এই চলচ্চিত্রটি সেলিম খান এবং জাভেদ আখতার এর লেখা ১৯৭৮ সালের হিন্দি চলচ্চিত্র ডন-এর পুনর্নির্মাণ যেটিতে অমিতাভ বচ্চন অভিনয় করেছিলেন।[১] বিল্লার একটি তামিল পুনর্নির্মাণ ২০০৭ সালে মুক্তি পায় একই নামে যেটাতে অজিত কুমার অভিনয় করেন।
বিল্লা চলচ্চিত্রটির নাম ভূমিকায় রজনীকান্ত ছিলেন। বিল্লা হচ্ছে একজন মাফিয়া ডন, মাদ্রাজ শহরের এই মাফিয়া ডনকে পুলিশ সবসময় ধরতে ব্যর্থ হয় কিন্তু একবার পুলিশের সঙ্গে এক এনকাউন্টারে বিল্লা মারাত্মকভাবে আহত হয়ে মারা যায়। বিল্লার গ্যাংয়ে বিল্লার জায়গা পূরণ করার জন্য বিল্লার মতই দেখতে একজন সাদাসিধে মানুষ রাজাপ্পা (রজনীকান্তের দ্বৈত ভূমিকা) কে পুলিশ কর্মকর্তা আলেক্সান্ডার (বালাজী) প্রশিক্ষণ দিয়ে বিল্লার গ্যাং-এ ঢুকিয়ে দেয়। চলচ্চিত্রটির বাকি কাহিনী বিল্লার গ্যাং মেম্বারদের পুলিশের কাছে ধরা খাওয়া নিয়েই।
১৯৮০ সালের জানুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে বিল্লা মুক্তি পেয়েছিলো এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক সফলতা পেয়েছিলো, বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মোট ২৫ সপ্তাহ চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছিলো। চলচ্চিত্রটি রজনীকান্তের জীবনে একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিলো, যারা রজনীকান্তকে পছন্দ করতেন না এবং তার কোনো ভালো ভবিষ্যৎ নেই বলতেন তারা চমকে গিয়েছিলেন চলচ্চিত্রটির সফলতায়, মূলত এই বিল্লাই রজনীকান্তকে সুপারস্টার হিসেবে প্রথম পরিচিতি এনে দিয়েছিলো। রজনীকান্ত ব্যক্তিগতভাবে অমিতাভ বচ্চনের ভক্ত ছিলেন এবং অমিতাভের করা আরো কয়েকটি চলচ্চিত্রের তামিল পুনর্নির্মাণে তিনি অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন।[২][৩]
ডন-এ জিনাত আমানের করা রোমা চরিত্রের পুনর্নির্মিত চরিত্র 'রাধা'তে ছিলেন শ্রীপ্রিয়া।[৪]
মাদ্রাজ শহরের পুলিশ বিল্লা নামের একজন দাগী সন্ত্রাসীকে বারবার ধরতে যেয়েও ব্যর্থ হচ্ছে, এই বিল্লার একটি গ্যাং আছে, বিল্লার মত দেখতে রাজাপ্পা নামের একজন গ্রাম্য সহজ সরল মানুষ মাদ্রাজ শহরেই থাকে যে একজন পুলিশ কর্মকর্তার নজরে আসে। রাজাপ্পা দুজন বাচ্চা লালন পালন করে, এবং ঐ পুলিশ কর্মকর্তা বাচ্চা দুটিকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজাপ্পাকে বিল্লা সাজিয়ে বিল্লার গ্যাং-এ ঢুকিয়ে দেয় কারণ বিল্লা পুলিশের গুলিতে মারা যায় আর তার গ্যাং-এর অন্যান্য সদস্যদের সম্পর্কে পুলিশের তথ্য দরকার, পুলিশ গ্যাং-এর সবাইকে ধরতে চায়। অন্যদিকে রাধা নামের একটি মেয়ে থাকে যার ভাই আগে বিল্লার গ্যাং-এ ছিলো কিন্তু বিল্লা তাকে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য খুন করে আর রাধা তার ভ্রাতা হত্যার প্রতিশোধ নেবার জন্য বিল্লার গ্যাং-এ যোগ দেয়। বিল্লার গ্যাং-এর সবাই এবং রাধাও রাজাপ্পাকে বিল্লাই মনে করে যে পুলিশের কাছ থেকে আহত অবস্থায় ফিরে এসেছে।
একবার পুলিশ বিল্লার গ্যাংকে ধরে ফেলে এবং রাজাপ্পা বারবার বলে যে সে বিল্লা না তবে পুলিশের কেউ তার কথা শোনেনা তবে বিল্লার গ্যাং-এর সদস্যরা রাজাপ্পার আসল পরিচয় জানতে পারে। পুলিশের ভেতরে জগদীশ নামের একজন অপরাধী থাকে যে পুলিশে গোকুলনাথ নামে পরিচিত সে রাজাপ্পার ক্ষতি চায়, রাজাপ্পা কোনোভাবেই প্রমাণ করতে পারেনা যে সে বিল্লা নয় কারণ যে পুলিশ কর্মকর্তা (নাম হচ্ছে আলেক্সান্ডার) রাজাপ্পাকে বিল্লার গ্যাং-এ ঢুকায় সে মারা যায়। অনেক ঝামেলার পর রাজাপ্পা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে এবং বিল্লার সব গ্যাং-সদস্য সাজা পায় আর রাধা রাজাপ্পাকে ভালোবাসে, অন্যদিকে রাজাপ্পার পালিত দুটি বাচ্চা তাদের আসল পিতা জেজে-র দেখা পায়।
চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালক মনয়ঙ্গত সুব্রহ্মণ্যম বিশ্বনাথন এবং গীতিকার ছিলেন কন্নদাসন।
গানের তালিকা | |||
---|---|---|---|
নং. | শিরোনাম | কণ্ঠশিল্পী(গণ) | দৈর্ঘ্য |
১. | "মাই নেম ইজ বিল্লা" | এস. পি. বালসুব্রহ্মণ্যম | ০৪ঃ২৬ |
২. | "ইরাভুম পাগালুম" | বসুদেবন, বাণী জয়রাম | ০৪ঃ৩৯ |
৩. | "ভেট্টালায়া পোট্টেন্ডি" | বসুদেবন | ০৪ঃ৪৮ |
৪. | "নাট্টুকুল্লা এনাক্কোরু" | এস. পি. বালসুব্রহ্মণ্যম, এল. আর. অঞ্জলি | ০৪ঃ৩৮ |
৫. | "নিনাইদালে ইনিক্কুম সুগামে" | এল আর ঈশ্বরী | ০৪ঃ২৩ |