![]() | |
![]() বিশ্বব্যাংক গোষ্ঠীর দালান (ওয়াশিংটন, ডিসি) | |
প্রতিষ্ঠিত | ৪ জুলাই ১৯৪৪ |
---|---|
ধরন | আন্তর্জাতিক সংস্থা |
আইনি অবস্থা | চুক্তি |
উদ্দেশ্য | অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ |
সদরদপ্তর | ১৮১৮ এইচ স্ট্রিট নর্থওয়েস্ট, ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র[১] |
সদস্যপদ | ১৮৯ দেশ (১৮৮ জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রসমূহ এবং কসোভো)[২] |
সভাপতি | অজয় বাঙ্গা[৩] |
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান অর্থনীতিবিদ | অংশুলা কান্ত[৪] |
প্রধান অঙ্গ | বোর্ড অব ডিরেক্টর[৫] |
প্রধান প্রতিষ্ঠান | ![]() |
ওয়েবসাইট | worldbank.org |
বিশ্ব ব্যাংক গোষ্ঠী পাঁচটি আন্তর্জাতিক সংস্থার পরিবার যারা দরিদ্র দেশে লিভারেজযুক্ত ঋণ দিয়ে থাকে। পাঁচটি সদস্যের মধ্যে আছে আন্তর্জাতিক পুনর্গঠন ও উন্নয়ন ব্যাংক, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তিসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত, ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন এবং বহুপাক্ষিক বিনিয়োগ গ্যারান্টি সংস্থা।[৬] প্রথম দুটিকে কখনও কখনও সম্মিলিতভাবে বিশ্বব্যাংক বলা হয়। এটা বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে বিখ্যাত উন্নয়ন ব্যাংক এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন গ্রুপের পর্যবেক্ষক।[৭] ব্যাংকটির সদর দপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, ডিসিতে অবস্থিত। ২০২১ অর্থবছরে গোষ্ঠীটি "উন্নয়নশীল" এবং রূপান্তরকারী দেশগুলিকে প্রায় ৯৮.৮৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ এবং সহায়তা প্রদান করেছে।[৮] এটির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দারিদ্র্য নিরসন করা।[৮]
জাতিসংঘের মুদ্রা ও আর্থিক সম্মেলন (১-২২ জুলাই ১৯৪৪) থেকে উদ্ভূত ব্রেটন উডস চুক্তির আন্তর্জাতিক অনুমোদনের পর ১৯৪৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিশ্ব ব্যাংক গোষ্ঠী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই সম্মেলন ১৯৫১ সালে ওসিয়ান্ডার কমিটি তৈরির ভিত্তি প্রদান করে। ওসিয়ান্ডার কমিটি বিশ্ব উন্নয়ন প্রতিবেদন প্রস্তুত এবং মূল্যায়ন করে। গোষ্ঠীটি ১৯৪৬ সালের ২৫ জুন কার্যক্রম শুরু করে এবং ১৯৪৭ সালের ৯ মে প্রথম ঋণ অনুমোদন করে (যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠনের জন্য ফ্রান্সকে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদান, যা এখন পর্যন্ত ব্যাংকের দেওয়া সবচেয়ে বড় ঋণ)।
জাতিসংঘের ১৮৮টি সদস্য এবং কসোভো বিশ্ব ব্যাংক গোষ্ঠীর সদস্য। সদস্য দেশগুলির আন্তর্জাতিক পুনর্গঠন ও উন্নয়ন ব্যাংকের মালিকানায় নূন্যতম অংশগ্রহণ থাকে। ২০১৬ সালের মে মাসের হিসাব অনুযায়ী সকল সদস্যই বিশ্ব ব্যাংক গোষ্ঠীর অন্য চারটি সংস্থার (আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তিসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত, ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন এবং বহুপাক্ষিক বিনিয়োগ গ্যারান্টি সংস্থা) মালিকানায়ও অংশগ্রহণ করেছে।
অ্যান্ডোরা, কিউবা, লিশটেনস্টাইন, মোনাকো, ফিলিস্তিন, হলি সি (ভ্যাটিকান সিটি), তাইওয়ান এবং উত্তর কোরিয়া বিশ্ব ব্যাংক গোষ্ঠীর সদস্য নয়।
চীন প্রজাতন্ত্র ১৯৪৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাংকের সাথে যোগ দেয়। চীনা গৃহযুদ্ধের পর সরকার তাইওয়ানে পালিয়ে যায় এবং ১৬ এপ্রিল, ১৯৮০ পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাংক গোষ্ঠীতে সদস্যপদ অব্যাহত রাখে, যখন গণপ্রজাতন্ত্রী চীন এটি চীন প্রজাতন্ত্রে প্রতিস্থাপন করে। তারপর থেকে, এটি "তাইওয়ান, চীন" নাম ব্যবহার করে।[৯]
কার্যত রাষ্ট্রসমূহ: আবখাজিয়া, উত্তর সাইপ্রাস, সাহরাউই আরব গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, সোমালিল্যান্ড, দক্ষিণ ওশেটিয়া এবং ট্রান্সনিস্ট্রিয়া বিশ্ব ব্যাংক গোষ্ঠীর সদস্য নয়।
১৯৫৭ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত চারটি অনুমোদিত সংস্থার সাথে আন্তর্জাতিক পুনর্গঠন ও উন্নয়ন ব্যাংক বিশ্বব্যাংক গ্রুপের অংশ। এই গ্রুপের সদর দপ্তর ওয়াশিংটন, ডিসিতে অবস্থিত। এটি সদস্য সরকারগুলির মালিকানাধীন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা; যদিও এটি লাভজনক সংস্থা, তবুও লাভের অংশ দারিদ্র্য হ্রাসের জন্য ব্যবহার করা হয়। [১০]
নীতিগতভাবে বিশ্বব্যাংক জাতিসংঘ ব্যবস্থার অংশ। কিন্তু এর সাংগঠনিক কাঠামো ভিন্ন:[১১] বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা তার সদস্য সরকারগুলির, যারা এর মৌলিক শেয়ার মূলধনধারী এবং ভোটাধিকার শেয়ার মালিকানার সমানুপাতিক। বিশ্বব্যাংকের সভাপতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত হন এবং ব্যাংকের গভর্নর বোর্ড কর্তৃক নির্বাচিত হন।[১২]
ঐতিহ্যগতভাবে ব্যাংকের সভাপতি একজন মার্কিন নাগরিক যাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি, ব্যাংকের বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার, মনোনীত করেন। মনোনীত ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের নবায়নযোগ্য মেয়াদে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাহী পরিচালকদের নিশ্চায়ন সাপেক্ষে নিয়োগ দেয়া হয়।
অজয় বাঙ্গা বিশ্ব ব্যাংক গোষ্ঠীর বর্তমান এবং ১৪তম সভাপতি।[১৩]
সভাপতিদের তালিকা নিন্মরুপ:
বিশ্ব ব্যাংক গোষ্ঠীর প্রধান অর্থনীতিবিদদের তালিকা নিন্মরুপ:
গ্রন্থাগার সংরক্ষণ সম্পর্কে বিশ্ব ব্যাংক গোষ্ঠী |