বিশ্বরূপ | |
---|---|
![]() অর্জুন বিশ্বরূপের নিকট নত | |
দেবনাগরী | विश्वरूप |
সংস্কৃত লিপ্যন্তর | viśvarūpa |
অন্তর্ভুক্তি | বিষ্ণু/কৃষ্ণের মহাজাগতিক রূপ |
বিশ্বরূপ ("বৈশ্বিক আকার", "সর্ব-রূপ"), যা বিশ্বরূপ দর্শন, বিশ্ব স্বরূপ এবং বিরাট রূপ নামে জনপ্রিয়ভাবে পরিচিত, হিন্দু দেবতা বিষ্ণু বা তাঁর অবতার কৃষ্ণের মূর্তস্বরূপ আকার এবং সাক্ষাৎকার। যদিও একাধিক বিশ্বরূপের সাক্ষাৎকার রয়েছে, তবে সবচেয়ে বেশি উদযাপিত হয়ে থাকে হিন্দু মহাকাব্য মহাভারতে ভগবান কৃষ্ণের দ্বারা প্রদত্ত ভগবৎ গীতায় "ঈশ্বরের গান"-এ, যা পাণ্ডব ও কৌরবদের মধ্যে সংঘটিত মহাভারতের যুদ্ধে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুনকে বলা হয়েছিল। বিশ্বরূপকে বিষ্ণুর সর্বোচ্চ রূপ বলে বিবেচনা করা হয়, যেখানে সমগ্র মহাবিশ্বকে তাঁর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মহাভারতের যুদ্ধে, পাণ্ডব রাজপুত্র অর্জুন কৃষ্ণকে তাঁর সারথি করে ভাইদের সঙ্গে মিলে তাঁদের জ্যাঠতুতো ভাই কৌরবদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। ধর্ম (কর্তব্য) পালনের জন্য তাঁর নিজের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ও হত্যা করা উচিত কিনা এমন নৈতিক দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হওয়ার সময়ে, কৃষ্ণ তার সাথে জীবন ও মৃত্যুর বিষয়ে আলোচনা করেন এবং সাক্ষাৎকাররূপে নিজের বিশ্বরূপের প্রকাশ ঘটান। ১০ম ও ১১তম অধ্যায়ে কৃষ্ণ নিজেকে পরম সত্ত্বা হিসেবে প্রকাশ করেন এবং অবশেষে অর্জুনকে তার বিশ্বরূপ দর্শন করান। অর্জুন কৃষ্ণ দ্বারা প্রদত্ত দিব্যদৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্বরূপ দর্শনের অভিজ্ঞতা লাভ করেন। বিশ্বরূপের বাহ্যিক আকার অর্জুন কর্তৃক বর্ণিত হয়েছিল, যেমনভাবে তিনি প্রত্যক্ষ করেছিলেন।[১][২]
বিশ্বরূপের অসংখ্য আকৃতি, চোখ, মুখ ও বাহু। মহাবিশ্বের সমস্ত প্রাণী তাঁর অংশ। তিনি একটি অসীম মহাবিশ্ব, যার কোনো শুরু বা শেষ নেই। তাঁর প্রশান্ত এবং ক্রোধদীপ্ত যুগপৎ রূপ রয়েছে। এই দর্শনের মাত্রা সহ্য করতে অসমর্থ হয়ে এবং ভয়ে পরিপূর্ণ হয়ে, অর্জুন কৃষ্ণকে অনুরোধ করেন তার চতুর্ভুজ বিষ্ণুর রূপে ফিরে আসতে, যা তিনি দেখতে সহ্য করতে পারেন। [১][২][৩] কৃষ্ণের শিক্ষণ ও তাঁর সর্ব-রূপের দর্শনের দ্বারা পুরোপুরিভাবে উজ্জীবিত হয়ে, অর্জুন কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ চালিয়ে যান।[২][৪]
হিন্দুধর্ম |
---|
ধারাবাহিকের অংশ |
![]() |