বিশ্রবা | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
মাতাপিতা |
|
দম্পত্য সঙ্গী | দেববর্ণিনী, পুষ্পোৎকটা, নিকষা, রাকা |
সন্তান | কুবের, রাবণ, কুম্ভকর্ণ, বিভীষণ, খর, দূষণ (পুত্র) এবং শূর্পণখা (কন্যা) |
বিশ্রবা (বা স্থানভেদে বিশ্বশ্রবা) ছিলেন ঋষি পুলস্ত্যের পুত্র এবং প্রজাপতি ব্রহ্মার পৌত্র৷ হিন্দু ধর্মগ্রন্থ রামায়ণে উল্লিখিত বিশ্রবা ঋষি ছিলেন মুনিদের মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ৷ তার তপস্যা তাকে বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী করে তোলে ও অন্যান্য বিদ্বজ্জন এবং পণ্ডিত মুনি-ঋষিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান করে দেয়৷ ভরদ্বাজ মুনি তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তাকে তার স্ত্রীস্বরূপ নিজকন্যা দেববর্ণিনীকে অর্পণ করেন৷ বিশ্রবার ঔরসে ও দেববর্ণিনীর গর্ভে কুবের নামক এক পুত্রসন্তান জন্মলাভ করে৷ তিনিই ছিলেন স্বর্ণলঙ্কার আসল রাজা এবং দেবসম্পত্তি ও ধনৈশ্বর্যের দেবতা৷[১]
ঋষি বিশ্রবার বুদ্ধিমত্তা, বৈদিক জ্ঞান ও যোগবলের কথা বহুদূর রাক্ষসদের রাজা সুমালীর কানে পৌঁছায় এবং তিনি তার পত্নী কেতুমতির সাথে পরামর্শ করেন৷ তারা উভয়ই পরাক্রমশালী রাজা ও ঋষিগণের সংস্পর্শে ও তাদের সাথে সম্পর্ক করে নিজেদের শক্তিবৃদ্ধির কথা চিন্তা করেন৷ তারা তাদের কন্যা নিকষাকে বিশ্রবার পত্নীহিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে মুনিদের দিব্য সংস্পর্শে আসার ও তাদের সাথে সম্পর্কযুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করেন৷ নিকষা মায়াবলে সুদর্শনা এবং সুসজ্জিত হয়ে বিশ্রবার সামনে এলে তিনি তার রূপে মোহিত হয়ে তাকে বিবাহ করতে রাজি হন৷ ক্রমে তাদের চার সন্তান জন্ম নেয়৷ তাদের জ্যেষ্ঠপুত্র রাবণ বিশ্রবার জ্যেষ্ঠপুত্র কুবেরকে তার সাম্রাজ্য স্বর্ণলঙ্কা থেকে উৎখাত করে ও তার রাজ্য দখল করে৷ রাবণ চরিত্রটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ রামায়ণের খলনায়কও বটে৷[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
রাবণ ছাড়াও বিশ্রবা ও নিকষার কুম্ভকর্ণ ও বিভীষণ নামে দুই পুত্র সন্তান এবং শূর্পণখা নামে এক কন্যা সন্তান ছিলো৷ রাবণ তার জ্যেষ্ঠভ্রাতা কুবেরের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করায় বিশ্রবা তার রাক্ষসকুলজাত স্ত্রী ও তার পরিবার ছেড়ে ছেলে তার প্রথম পত্নী দেববর্ণিনীর কাছে চলে আসেন৷
তার অপর দুই পত্নীর উল্লেখ ও পাওয়া যায়, তারা হলেন পুষ্পোৎকটা এবং রাকা৷ পুষ্পোৎকটার চারপুত্র তথা মহোদর, প্রহস্ত, মহাপাংশু ও খর এবং এক কন্যা কুম্ভিণাশী৷ আর রাকার তিনপুত্র ত্রিশিরা, দূষণ, বিদ্যুৎ জিহ্বা এবং এক কন্যা অসলিকা৷[২]
মহাভারত অনুসারে, বিশ্রবার সাথে তার জ্যেষ্ঠপুত্র কুবেরের সাথে মনোমালিন্য হলে কুবের পিতাকে তিন রাক্ষসী দান করে সন্তুষ্ট করতে চান৷ বিশ্রবা তাদের সকলেরই গর্ভাধান করলে পুষ্পোৎকটা রাবণ ও কুম্ভকর্ণের জন্ম দেয়, মালিনী বিভীষণে জন্ম দেয় এবং রাকা জন্ম দেয় শূর্পণখা ও খর-কে৷[৩]