বীণাপাণি মোহান্তি ওড়িশার বিশিষ্ট সাহিত্যিক এবং তিনি ওডিয়া কথাসাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে নিজের স্থান তৈরি করে নিয়েছেন। তিনি একজন অবসর প্রাপ্ত অর্থনীতির প্রফেসর। তিনি একজন সফল সাহিত্যিক এবং তার রাষ্ট্রের মানুষদের গর্ব।
গল্পকথক হিসেবে তা যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৬০ সালে ‘গতি রতিরা কাহানি’ প্রকাশের মধ্য দিয়ে। তাঁর বেশ কয়েকটি বিখ্যাত গল্প হলঃ পাটা দেই, খেলা ঘর, নাইকু রাস্তা, বস্ত্রহরণ, অন্ধকার, কাস্তুরি মুর্গা ও সবুজ আরণ্য এবং মিচ্ছি মিচ্ছিকা। এটি ছিল 'পাটা দেই এবং অন্যান্য গল্প' শিরোনামের ছোট গল্পগুলির সংকলন, যেটি ১৯৯০-এর সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার জিতেছিল।[১] তিনি ২০২০ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন।[২][৩] তিনি কেন্দ্র সাহিত্য আকাদেমির সরল সম্মানও পেয়েছেন।[৪] তার সাহিত্য অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং পাঠকগণ তার লেখা পড়তে ভালোবাসেন। তার অনেক গল্প মহিলাদের জীবন যুদ্ধ প্রদর্শন করে।
পাটা দেই ১৯৮৬ সালে ফেমিনায় লতা হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৮৭ সালে এর উপর তৈরিকৃত হিন্দি নাটকটি দূরদর্শনের কাশ্মকাশ প্রোগ্রামে প্রচারিত হয়েছিল এবং ভারতের সমস্ত অঞ্চল থেকে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছিল। সকলের মনে এটি জায়গা করে নেয়।
বীণাপাণি মোহান্তির বহু সংক্ষিপ্ত গল্প অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। যার মধ্যে আছেঃ ইংরেজি, হিন্দি, কান্নাদা, মালায়ালাম, মারাঠি, বাংলা, উর্দু, তেলুগু এবং রাশিয়ান ভাষা। তার স্টোর্ট "অন্ধকারের ছাই" এর উপর একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছিল এবং দর্শকদের দ্বারা এটি বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। এটি দর্শকদের অন্তরের কোণ দখল করে।
তিনি তিনটি উপন্যাস লিখেছেন: সিতারা সোনিতা, মনস্বিনী এবং কুন্তি, কুন্তলা, শকুন্তলা এবং ক্রান্তি নামে একটি একক নাটক। তিনি রাশিয়ান লোক-কাহিনীগুলো ইংরেজি থেকে ওড়িয়ায় অনুবাদ করেছেন, সাথে দিয়ে অবশ্য তার অন্যান্য অনুবাদ কর্মও রয়েছে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে ওডিয়া সাহিত্যে অবদানের জন্য তাকে অন্যান্য আরও পনেরো জন সাহিত্যিক যেমন মিনাকেতন পুরোহিত, পদ্মানভ সাহু, রবি মহাপত্র, ত্রিনাথ নায়ক, ইন্দুলতা মোহান্তি, নিরঞ্জন পধীদের সাথে অতিবাদি জগন্নাথ দাস সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওড়িশা সাহিত্য আকাদেমি।[৪][৫]
বেশিরভাগ সময় তার গল্পসমূহে নারীরা মধ্যবিত্ত এবং আশপাশে ঘটে যাওয়া ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ঘটনা দ্বারা প্রভাবিত। বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতিতে তার গল্পের চরিত্রসমূহ সামলে থাকতে পারে। বাস্তব মহিলাদের জীবনের নজির মেলে বীণাপাণি মোহান্তির লেখায়। তিনি তার ''পাটা দেই" গল্পে দেকিয়েছেন যে যদিও স্বাভাবিক ভাবে আমাদের সমাজে অত্যাচারিতই অত্যাচারী হয়ে উঠে, কিন্তু পাটা শক্ত মহিলা, তার সাথে অমন হবে না। একজন যদি ভুল না করে, মানুষের কথার চাপে পড়ে কখনোই লজ্জিত অনুভব করা উচিত না বা তেমন ভাব প্রকাশ করা উচিত না।[৬]