বীরেন্দ্র কুমার ভট্টাচার্য বীৰেন্দ্ৰ কুমাৰ ভট্টাচাৰ্য | |
---|---|
জন্ম | চফ্ৰাই চা-বাগান, অসম | ১৪ অক্টোবর ১৯২৪
মৃত্যু | ৬ আগস্ট ১৯৯৭ | (বয়স ৭২)
পেশা | সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক |
ভাষা | অসমীয়া |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারত |
শিক্ষা | স্নাতকোত্তর |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | কটন বিশ্ববিদ্যালয় গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৬১) জ্ঞানপীঠ পুরস্কার (১৯৭৯) |
দাম্পত্যসঙ্গী | বিনীতা ভট্টাচাৰ্য |
আত্মীয় | নলিনীধর ভট্টাচার্য (বড় ভাই) |
বীরেন্দ্র কুমার ভট্টাচার্য (অসমীয়: বীৰেন্দ্ৰ কুমাৰ ভট্টাচাৰ্য ; ১৪ অক্টোবর, ১৯২৪ – ৬ আগস্ট, ১৯৯৭) ছিলেন একজন অসমীয় ছোটগল্প–লেখক, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, কবি ও সাংবাদিক। তিনিই প্রথম অসমীয় লেখক, যিনি ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান পুরস্কার জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান। বিয়াল্লিশের গণআন্দোলনের উপর ভিত্তি করে রচিত মৃত্যুঞ্জয় উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৭৯ সালে এই পুরস্কার লাভ করেন।[১] ১৯৬১ সালে তার আইয়ারুইংগাম নামী উপন্যাস সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার জেতে।[২] তার লিখিত লাভ ইন দ্য টাইম অফ ইনসার্জেন্সি ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত হয়।[৩]
এছাড়া বীরেন্দ্র বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত আসাম সাহিত্য সভার সুবর্ণ জয়ন্তী সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন।[৪] তিনি গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন এবং জবলপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক তাকে সম্মানসূচক ডি. লিট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।[৪]
বীরেন্দ্র কুমার ভট্টাচার্য ১৯২৪ সালের ১৪ ই অক্টোবর ছফ্রাই চা বাগানে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শশীধর ভট্টাচার্য ছিলেন বাগানের একজন শ্রমিক। তাঁর মাতা ছিলেন আইদেউ ভট্টাচার্য। সাতজন ভাইবোনের মধ্যে বীরেন্দ্র কুমার ছিলেন দ্বিতীয়। তার বড় ভাই নলিনীধর ভট্টাচার্য একজন অধ্যাপক। বাকি তিনজন হলেন গিরিন, অনিল ও কামাখ্যা ভট্টাচার্য।[৫]
যোরহাট শহর থেকে দশ মাইল পূর্বে চাওঘাট মৌজায় দিহা নদীর তীরে ঢেকিয়া খাওয়া নামী গ্রামে ভট্টাচার্য পরিবারের পূর্ব-পুরুষগণ বসবাস করতেন। যোরহাট থেকে প্রকাশিত আসাম বিলাসিনীর সম্পাদক কৃষ্ণ কান্ত ভট্টাচার্য এবং শিলং থেকে প্রকাশিত বিজুলির সম্পাদক লক্ষ্মীনাথ শর্মা তাদের পূর্বপুরুষ ছিলেন। শিক্ষাবিদ লক্ষ্মীনাথ শর্মা আসামের তৃতীয় অনার্স গ্র্যাজুয়েট। তিনি সংস্কৃতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।[৫]
বীরেন্দ্র ছফরাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেন এবং তারপর কাকজান এমই স্কুলে যান এবং যোরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। বীরেন্দ্র প্রবেশিকা পরীক্ষায় অসমীয়া, ভূগোল, ইতিহাস ও সংস্কৃতে প্রথম বিভাগে লেটারসহ পাস করেন।[৫] তারপর তিনি যথাক্রমে ১৯৪৩ এবং ১৯৩৫ সালে কটন কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক হন। বিএসসি ডিগ্রি শেষ করার পর তিনি কলকাতায় গিয়ে সাংবাদিকতা পড়তে যান এবং সেই বছরেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা কোর্স শুরুর কথা ছিল; কিন্তু তা শুরু হয়নি, তাই তিনি আইনি ক্লাসে ভর্তি হন; তবে আইনের পড়াশোনা শেষ না করেই ফিরে আসেন।[৫] তিনি ১৯৫১ সালে বিএ এবং ১৯৫৩ সালে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অসমীয়া ভাষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে ভট্টাচার্য অসমীয়া সাহিত্যে তার থিসিসের জন্য ডক্টরেট পান।[৫]
বিনীতা ভট্টাচার্যের সঙ্গে তার বিয়ে হয় ২০১৩ সালের ৩০ জুন।[৫]
তিনি ১৯৯৭ সালের ৬ আগস্ট ৭২ বছর বয়সে মারা যান।
|তারিখ=
(সাহায্য)
|তারিখ=
(সাহায্য)