বুড়া চাপরি অভয়ারণ্য | |
---|---|
আইইউসিএন বিষয়শ্রেণী IV (বাসস্থান/প্রজাতি ব্যবস্থাপনা অঞ্চল) | |
![]() | |
অসমেবুড়া চাপরি অভয়ারণ্যের অবস্থান | |
অবস্থান | অসম, ভারত |
নিকটবর্তী শহর | তেজপুর |
স্থানাঙ্ক | ২৬°৫১′৫৭″ উত্তর ৯২°৫০′৫৩″ পূর্ব / ২৬.৮৬৫৮৩° উত্তর ৯২.৮৪৮০৬° পূর্ব |
আয়তন | ৪৪.০৬ বর্গ কিলোমিটার[১] |
স্থাপিত | ১৯৭৪[১] |
কর্তৃপক্ষ | পরিবেশ ও বন বিভাগ, আসাম |
বুড়া চাপরি অভয়ারণ্য (অসমীয়া: বুঢ়া চাপৰি অভয়াৰণ্য) অসমের শোণিতপুর জেলায় অবস্থিত একটি বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য। এই অভয়ারণ্য লাউখোয়া-বুড়া সাপরি পরস্থিতিতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত।
বুড়া চাপরি অভয়ারণ্য অসমের ব্রহ্মপুত্র নদের উত্তরে শোণিতপুর জেলায় অবস্থিত। তেজপুর ও গুয়াহাটি থেকে এই বনাঞ্চলের দূরত্ব ক্রমে ৪০কি:মি ও ১৮১কি:মি:। এই বনাঞ্চলের মোট আয়তন প্রায় ৪০.০৬ বর্গকি:মি[২]। এখানে সাধারনত ঘাঁস জাতীয় ও অর্ধ চিরসবুজ বনাঞ্চল দেখা যায়[৩]।
বুড়া চাপরি অভয়ারণ্যকে ১৯৭৪ সনে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও ১৯৯৫ সনে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়[৪] ।
বুড়া চাপরি অভয়ারণ্য জৈব বৈচিত্রে পরিপূর্ণ। এখানে নানান ধরনের পাখি দেখা যায়।
ভারতীয় গণ্ডার, আসামি বানর, মোষ, চিতাবাঘ, বারশিঙ্গা, বনরুই, পাতিশিয়াল, সম্বর হরিণ, প্যারা হরিণ, উল্লুক, বাদুড়, লাল বান্দর, মায়া হরিণ, হাতি ইত্যাদি[৫]।
কালো ফিঙে, নীলশির, মাছরাঙ্গা, লক্ষ্মীপেঁচা, এশীয় শামুকখোল, মেটে রাজহাঁস, পাতি সরালি, রাঙা মানিকজোড়, সবুজ টিয়া, হলদে পাখি, সাতভাই ছাতারে, ইউরেশীয় গেছোচড়ুই, চখাচখি, চন্দনা, পাতি তিলিহাঁস, কাও ধনেশ, বেগুনি কালেম, পিয়াং হাঁস ইত্যাদি[৬]।