বুশরা بصرى بصرى الشام | |
---|---|
শহর | |
বুশরা আল শাম | |
![]() বসরার কেন্দ্রভাগ | |
Location in Syria | |
স্থানাঙ্ক: ৩২°৩১′ উত্তর ৩৬°২৯′ পূর্ব / ৩২.৫১৭° উত্তর ৩৬.৪৮৩° পূর্ব | |
Country | ![]() |
Governorate | দারা প্রদেশ |
জেলা | দারা জেলা |
নাহিয়ান উপজেলা | বুশরা |
Occupation | ![]() |
জনসংখ্যা (2004) | |
• মোট | ১৯,৬৮৩ |
• Religions | সুন্নি মুসলিম শিয়া মুসলিম |
এলাকা কোড | 15 |
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান | |
---|---|
![]() | |
মানদণ্ড | সাংস্কৃতিক: i, iii, iv |
সূত্র | ২২ |
তালিকাভুক্তকরণ | ১৯৮০ (৪র্থ সভা) |
বুশরা (আরবি: بصرى, এছাড়াও বস্ত্রা, বুশরানা, বজরাহ, বজরা ইত্যাদি বানানও করা হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে বুশরা আল-শাম নামে পরিচিত, আরবি ভাষায়: بصرى الشام, তুর্কি: Busra el-Şam[১]) একটি শহর যা দক্ষিণ সিরিয়ায় অবস্থিত। প্রশাসনিকভাবে দারা প্রদেশের দারা জেলায় এবং ভৌগোলিক ভাবে হাউরান অঞ্চলের অংশ।
সিরিয়ার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (সিবিএস) এর তথ্যানুসারে ২০০৪ সালের আদমশুমারিতে বুশরায় ১৯,৬৮৩ জন অধিবাসী ছিলো।[২] এর প্রশাসনিক কেন্দ্র নাহিয়াহ (উপজেলা) যা নয়টি এলাকা নিয়ে গঠিত, ২০০৪ সালে যার যৌথ জনসংখ্যা ছিলো ৩৩৮৩৯ জন। শহরের প্রধান জনগোষ্ঠী সুন্নি মুসলিম হলে অল্প পরিসরে শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ও বাস করে।[৩]
বুশরার আছে প্রাচীন ইতিহাস এবং রোমান যুগে এটা ছিল একটি সমৃদ্ধ প্রাদেশিক রাজধানী ও মহানগর আর্চবিশপ যা এন্টিওখ ও সমগ্র পূর্বের ইস্টার্ন অর্থোডক্স প্যাট্রিয়কের এখতিয়ারাধীন ছিলো। ইসলামী যুগেও এটা প্রশাসনিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। কিন্তু উসমানীয় শাসনামলে এটা গুরুত্বহীন হতে থাকে। আজকের দিনে এটা একটি প্রত্নস্থল এবং ইউনেস্কো স্থানটিকে একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছে।
৩য় থুতমোজ এবং আখেনাতেন এর নথিতে সর্বপ্রথম বসতি স্থাপনের কথা উল্লেখ আছে। ২য় খ্রিস্টপূর্বাব্দে বুশরা ছিলো প্রথম নাবেতিয় শহর। ১০৬ সালে ট্রোজান সেনাপতি কর্নেলিয়াস পালমা এই নাবেতিয় রাজ্য জয় করেন।
রোমান সাম্রাজ্যকালে বুশরার নামকরণ করা হয় নোভা ট্রোজানা বস্ত্রা এবং এখানে লেজিও ৩য় সাইরেনেইকা বাস করতেন। এটাকে আরব পেত্রায় রোমান প্রদেশের রাজধানী করা হয়। শরহটি বিকশিত হয় এবং বিভিন্ন বাণিজ্যপথের কেন্দ্রস্থলে মহানগরী তে পরিণত হয়। একটি রোমান রাস্তা যা ট্রোজান নোভা হয়ে দামাস্কাসকে লোহিত সাগরের সংগে যুক্ত করে। এটা খাদ্য উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয় এবং সম্রাট ফিলিপ দ্যা আরবের সময়ে বস্ত্রা তার নিজস্ব মুদ্রা তৈরী [৪]। ২৪৬ ও ২৪৭ সালে বুশরাতে দুটি আরব কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
৫ম শতাব্দীতে বাইজেন্টাইন পর্ব শুরু হলে বুশরাতে খ্রিস্টান ধর্ম প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। শহরটি আর্চবিশপ আসনের মহানগরী হয়ে ওঠে এবং ৬ষ্ঠ শতকে বিশাল একটি ক্যাথেড্রাল নির্মাণ করা হয়। ৭ম শতকের শুরুর দিকে সাসানি পারসিগণ বুশরা দখল করে কিন্তু বাইজেন্টাইন অভিযানে পুনর্দখল করে বাইজান্টাইনরা।
ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (স:) এর প্রাকজীবনে বুশরার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা আছে। খ্রিষ্টান পাদ্রি বাহিরার বর্ণনায় বুশরার উল্লেখ আছে। ৬৩৪ সালে বুশরা যুদ্ধে খালিদ বিন ওয়ালিদের নেতৃত্বে খেলাফায়ে রাশিদুনের সৈন্যবাহিনী বাইজান্টাইনদের হারিয়ে বুশরা দখল করেন। ইসলামী শাসনামলে বুশরা দামেস্কের সর্ব দক্ষিণের ফাঁড়ি হিসেবে পরিগণিত হতো। ইসলামী শাসনামলের প্রথমদিকে বুশরা নগরীর স্থাপত্য শৈলীতে কোনরূপ পরিবর্তন আনা হয়নি। যখন বুশরার অধিকাংশ নাগরিক ধীরে ধীরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে শুরু করে তখন রোমান যুগের পবিত্র স্থানসমূহ মুসলিম গণ ধর্মাচারের জন্য ব্যবহার করতে শুরু করে।[৫] ৯ম শতকের ইয়াকুবি লিখেছেন। বুশরা হাউরান প্রদেশের রাজধানী ছিলো।[৬]
একদা ৮০০০০ অধিবাসী সংবলিত অঞ্চল আজ ধ্বংসাবশেষ এর মাঝে একটি গ্রাম মাত্র। ২য় শতকের রোমান থিয়েটার সম্ভবত ট্রোজান নির্মাণ করেন। এটা ৪৮১ থেকে ১২৩১ সাল পর্যন্ত দুর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
আরো অনেক নাবাতিয় এবং রোমীয় সৌধ, খ্রিস্টান গির্জা, মুসলিমদের মসজিদ এবং মাদ্রাসা দেখতে পাওয়া যায় অর্ধ ধ্বংস হয়ে যাওয়া শহরের মধ্যে। ইসলামের ইতিহাসে আল ওমরি মসজিদ টিকে থাকা পুরাতন মসজিদের মধ্যে অন্যতম।[৭]