বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব | |
হাঙ্গুল | 부산국제영화제 |
---|---|
হাঞ্জা | 釜山國際映畵祭 |
সংশোধিত রোমানীকরণ | Busan-Gukje-Yeonghwaje |
ম্যাক্কিউন-রাইশাওয়া | Pusan-Kukche-Yŏnghwache |
বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (Busan International Film Festival (BIFF) পূর্বে পুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (Pusan International Film Festival, PIFF) নামে পরিচিত ছিল। প্রতি বছর দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরের হেউন্দে বীচ সংলগ্ন এলাকায় এই চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।[১] ১৯৯৬ সালের ১৩ থেকে ২১ নভেম্বর প্রথম অনুষ্ঠিত এই চলচ্চিত্র উৎসব কোরিয়ার প্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। বর্তমানে এই চলচ্চিত্র উৎসব এশিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব হিসেবে বিবেচিত হয়।[২][৩]
প্রতি বছর উৎসবে প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলোকে বিভিন্ন বিভাগে একাধিক পদক দেয়া হয়।
এশীয় পরিচালকদের মধ্যে তাদের প্রথম অথবা দ্বিতীয় চলচ্চিত্রের মধ্যে সেরা দুই চলচ্চিত্র নির্মাতাকে দেয়া নিউ কারেন্টস অ্যাওয়ার্ড। দুইটি চলচ্চিত্র এই ক্যাটাগরিতে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার পান।[৪]
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী উৎসবে প্রদর্শিত সেরা চলচ্চিত্রের জন্য ২০০৯ সাল থেকে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দেওয়া হয়।
কোরীয় ও এশীয় নির্মাতা নির্মিত সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের জন্য প্রায় ১৭ হাজার মার্কিন ডলার সমমূল্যের পদক দেয়া হয়।
কোরিয়া ও এশিয়ার সেরা প্রামান্যচিত্র নির্মাতাকে প্রায় সাড়ে আট হাজার মার্কিন ডলার সমমূল্যের পদক দেয়া হয়।
২০১৪ সাল থেকে বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেতা ও অভিনেত্রী পদক দেওয়া হয়।
বুসান শহরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা এই পদকের জন্য চলচ্চিত্র নির্বাচন করে। শহরটি ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র বিষয়ক অনুষদের ৭১ জন শিক্ষার্থী এই পদকের জুরি বোর্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৭ সালে মে মাসে বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের ফাউন্ডিং সদস্য ও চলচ্চিত্র পরিচালক কিম জিসক মৃত্যুবরণ করেন।[৫] কিম জিসকের তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল চলচ্চিত্র নির্মাতাদের খুঁজে বের করা এবং এশীয় চলচ্চিত্রের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদানের মত কর্মকে স্মরণীয় করে রাখতে সেই বছর থেকে কিম জিসক পদকের পত্তন করা হয়। [৬]
২০০৯ সালে মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মুক্তি পায়। ২০১৩ সালে ফারুকী তার টেলিভিশন চলচ্চিত্রের জন্য APSA গ্রান্ড জুরি পদক লাভ করেন।[৭] আরেক বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা, আবু শাহেদ ইমন তার প্রথম চলচ্চিত্র "জালালের গল্প"-এর জন্য ২০১৪ সালে এই উৎসব থেকে আর্থিক সহায়তা পান।[৮] জালালের গল্প ৮৮তম একাডেমি পদকের বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে বাংলাদেশ থেকে মনোনীত হয়।[৯] ২০১৮ সালের বাংলাদেশের ১১ জন তরুণ নির্মাতার নির্মিত ইতি, তোমারই ঢাকা চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়।[১০] ২০২৩ সালে বিপ্লব সরকারে পরিচালিত আগুন্তুক ও ইকবাল হোসাইন চৌধুরী পরিচালিত বলি এই ফ্যাস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয় এবং বলি নিউ কারেন্টস সেকশনে পুরস্কৃত হয়। একি বছর ফ্যাস্টিভালের আরেকটি নির্মিতব্য চলচ্চিত্র সেকশন এশিয়ান প্রোজেক্ট মার্কেটে রবিউল আলম রবির সুরাইয়া চলচ্চিত্রটি নির্বাচিত হয়।সে সময় উৎসব প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ নাইটস নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজনও করে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকি।[১১]
|title=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]