বেগম জান একজন ডাক্তার এবং উপজাতি নারী কল্যাণ সমিতির (ট্রিবাল উইমেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন) প্রতিষ্ঠাতা, যেটা উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের উপজাতীয় নারীদেরকে তাদের অধিকার সম্পর্কে শিক্ষা দেন এবং তাদেরকে চিকিৎসা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।[১][২][৩][৪] তিনি পাকিস্তানের একটি রক্ষণশীল এলাকা, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে বড় হয়েছিলেন, কিন্তু তার বাবা তাকে ডাক্তার হতে উৎসাহিত করেন।[৪] তিনি শিশু থাকা অবস্থায় ছেলেদের জন্য তৈরি একটি স্কুলে যোগদান করেন কারণ মেয়েদের জন্য কোন স্কুল ছিল না, এবং যখন তার উপজাতীয় বয়স্করা উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য তাকে নিষেধ করে তখন তিনি একজন শিক্ষকের কাছে পড়াশুনা করেন।[৩]
২০০৭ সালে, আত্মঘাতী বোমা হামলা ও অন্যান্য সহিংসতার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী নারী প্রতিবাদে,বেগম জান উপজাতি নারী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে প্রতিবাদ মূলক নেতৃত্ব দেয়।[৫] ২০০৮ সাল অনুযায়ী, তিনি উপজাতি নারী কল্যাণ সমিতির একজন চেয়ারম্যান হয়।[১]
তিনি ২০০৮ সালের আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার লাভ করেন, এই পুরস্কার লাভের জন্য তাকে প্রথম পাকিস্তানি নারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।[২][৩]