বেঙ্কটগিরি | |
---|---|
নগর | |
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: স্ক্রিপ্ট ত্রুটি: ফাংশন "কোড" নেই। ১৩°৫৮′০০″ উত্তর ৭৯°৩৫′০০″ পূর্ব / ১৩.৯৬৬৭° উত্তর ৭৯.৫৮৩৩° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | অন্ধ্রপ্রদেশ |
জেলা | নেল্লোর |
আয়তন[১] | |
• মোট | ২৫.৪৩ বর্গকিমি (৯.৮২ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৬০ মিটার (২০০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১)[২] | |
• মোট | ৫১,৭০৮ |
• জনঘনত্ব | ২,০০০/বর্গকিমি (৫,৩০০/বর্গমাইল) |
ভাষা সমূহ | |
• সরকারি | তেলুগু |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন | ৫২৪১৩২ |
বেঙ্কটগিরি হল ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের নেল্লোর জেলার একটি শহর। এটি একটি পৌরসভা এবং ভেঙ্কটগিরি মণ্ডলের মণ্ডলগুলির সদর দপ্তর।[৩] ভেঙ্কটগিরির পুরাতন নাম "কালি মিলি"।[৪] এখানে হস্তচালিত তাঁতে বোনা শাড়ি প্রসিদ্ধ। ভেঙ্কটগিরি অঞ্চলটি এখানকার ইতিহাস এবং শাড়ির জন্য বিখ্যাত। এটি একটি ক্ষুদ্র রাজ্যের অংশ ছিল যা পরে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সাথে সংযুক্ত হয়।
বেঙ্কটগিরি ১৭শ শতাব্দী অবধি কালিমিলি নামে পরিচিত ছিল এবং বিজয়নগর সাম্রাজ্যবিজয়নগর সাম্রাজ্যের অধীনে গোব্বুরি পলিগার (পালেগার ও বলা হত, দক্ষিণ ভারতের নায়ক শাসকদের দ্বারা নিযুক্ত এক শ্রেণির আঞ্চলিক প্রশাসনিক ও সামরিক শাসকদের সামন্ত পদবী) দ্বারা শাসিত হত। তারা মাদুরন্তকমের নায়ক এবং ভেলুগডু রাজার ভাগিনেয় রেচারলা ভেঙ্কটাদ্রি নাইডুর কাছে পরাজিত হয়েছিল। ভেলুগডু রাজা ছিলেন বিজয়নগরের আরাভিদু রাজবংশের দ্বিতীয় ভেঙ্কটপতি রায়ের অধীনে আরেকজন সামন্ত। এর পরে গ্রামটির নামকরণ করা হয়েছিল ভেঙ্কটগিরি।[৫] ১৭শ শতকের মাঝামাঝি নাগাদ ভেলোগোঠি শাসকেরা তাঁদের রাজধানী বেঙ্কটগিরিতে স্থানান্তরিত করেন এবং স্বাধীনতা অবধি তাঁরা জমিদারী হিসাবে কাজ চালিয়ে গেছেন।[৬] এই অঞ্চলটি কৈভাল্যা নদী এবং গড্ডেরু নদীর মাঝে অবস্থিত ছিল।
বেঙ্কটগিরির মন্দিরগুলির মধ্যে আছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির, রামলিঙ্গেশ্বর স্বামী মন্দির, প্রসন্ন ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দির, পোলেরাম্মা মন্দির এবং পেরুমল্লা স্বামী মন্দির।
বেঙ্কটগিরি ১৩°৫৮′০০″ উত্তর ৭৯°৩৫′০০″ পূর্ব / ১৩.৯৬৬৭° উত্তর ৭৯.৫৮৩৩° পূর্ব অবস্থিত।[৭] এটির গড় উচ্চতা হল ৬০ মিটার (১৯৭ ফুট)।
ভারতের আদমশুমারি ২০০১-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ],[৮] ভেঙ্কটগিরি মণ্ডলের জনসংখ্যা ছিল ২০০,০০০। ৫৮টি রাজস্ব গ্রাম নিয়ে বেঙ্কটগিরি গ্রামীণ গঠিত। ৬ই জানুয়ারি ২০০৫ সালে বেঙ্কটগিরি, চেভিরেড্ডিপল্লী, পেরিয়াবরম, বঙ্গারুপেট, আম্মাভারিপেট এবং মনুলালাপেট পঞ্চায়েতগুলিকে মিলিয়ে বেঙ্কটগিরি পৌরসভা গঠিত হয়েছিল। পৌরসভার মোট জনসংখ্যা ৫২,৪৭৮ জন। এখানে সাক্ষরতার হার ৬৭%, যা জাতীয় গড় ৫৯.৫% এর চেয়ে বেশি। পৌরসভাটি মোট ২৩.৫০ কিমি২ অঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠেছে।
নাগরিক প্রশাসন
ভেঙ্কটগিরি পৌরসভা ২০০৫ সালে তৃতীয় শ্রেণীর পৌরসভা হিসাবে গঠিত হয়েছিল এবং এর ব্যাপ্তি ২৫.৪৩ কিমি২ (৯.৮২ মা২) অঞ্চল জুড়ে।[১][৯]
বেঙ্কটগিরি শহর এবং তার আশেপাশের শহরগুলিতে বোনা বেঙ্কটগিরি শাড়ি হল অন্ধ্রপ্রদেশের অন্যতম ভৌগোলিক স্বীকৃতি এবং ভৌগোলিক সূচকসমূহের (নিবন্ধকরণ এবং সুরক্ষা) আইন, ১৯৯৯ দ্বারা নিবন্ধিত হয়েছে।[১০][১১]
বেঙ্কটগিরি শহরটি অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভার বেঙ্কটগিরি বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে পড়ে। সেটি আবার তিরুপতি লোকসভা কেন্দ্রের একটি অংশ। অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নেদুরমল্লী জনার্দন রেড্ডি ১৯৮৯-১৯৯৪ সাল পর্যন্ত বেঙ্কটগিরি এসি থেকে বিধায়ক হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী নেদুরমল্লী রাজ্যলক্ষ্মী, ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, ২০১২ - এখনো পর্যন্ত ওয়াইএসআরসিপি দলের অনাম রামনারায়ণ রেড্ডি ।
এখানে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা, সাহায্য প্রাপ্ত এবং বেসরকারী বিদ্যালয়ে, রাজ্যের 'স্কুল শিক্ষা বিভাগের' অধীনে সরকার প্রদান করে।[১২][১৩] বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অনুসৃত শিক্ষার মাধ্যম হল ইংরেজি, তেলুগু। বেঙ্কটগিরি শহরের খুব পুরানো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে আছে এপি রেসিডেন্সিয়াল স্কুল, আরভিএম উচ্চ বিদ্যালয়, আরভিআরকেওয়াই জেডপি গার্লস হাই স্কুল, এপি আবাসিক জুনিয়র কলেজ, আইআইএইচটি, বিশ্বোদয় সরকারি কলেজ এবং ইএসএস ডিগ্রি কলেজ। বেঙ্কটগিরিতে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি কেন্দ্রীয় সরকারি বিদ্যালয়ও রয়েছে।
বেঙ্কটগিরি রেলস্টেশনটি গুডুর-কাটপাডি শাখা লাইনে অবস্থিত। রাজ্য সরকার কর্তৃক পরিচালিত এপিএসআরটিসির বাসগুলি কাছাকাছি এবং দীর্ঘ দূরত্ব উভয় বিভাগেই আছে।