বেট্সি ব্লেয়ার | |
---|---|
Betsy Blair | |
![]() ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে ব্লেয়ার | |
জন্ম | এলিজাবেথ উইনিফ্রেড বোগার ১১ ডিসেম্বর ১৯২৩ ক্লিফসাইড পার্ক, নিউ জার্সি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ১৩ মার্চ ২০০৯ | (বয়স ৮৫)
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৪৭-২০০৩ |
দাম্পত্য সঙ্গী | জিন কেলি (বি. ১৯৪১; বিচ্ছেদ. ১৯৫৭) ক্যারেল রাইৎস (বি. ১৯৬৩; মৃ. ২০০২) |
সন্তান | ১ |
বেট্সি ব্লেয়ার (জন্ম এলিজাবেথ উইনিফ্রেড বোগার;[১] ১১ ডিসেম্বর ১৯২৩ - ১৩ মার্চ ২০০৯) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি আট বছর বয়সেই অভিনয় জীবন শুরু করেন এবং অপেশাদার নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর তিনি বেতারে কণ্ঠ দেন, মডেল হিসেবে কাজ করেন এবং ১৯৪০ সালে বিলি রোজের ডায়মন্ড হর্সহো-এ দলে যোগ দেন। সেখানে তিনি জিন কেলির সাথে পরিচিত হন, তারা পরের বছর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর। ১৬ বছর সংসার করার পর ১৯৫৭ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
মঞ্চে কাজের পর ব্লেয়ার আ ডাবল লাইফ (১৯৪৭) ও অ্যানাদার পার্ট অব দ্য ফরেস্ট (১৯৪৮) চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র কর্মজীবন শুরু করেন। মার্ক্সবাদের প্রতি তার আগ্রহের ফলে হাউজ আন-আমেরিকান অ্যাক্টিভিটিজ কমিটি তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে এবং কিছু সময়ের জন্য তাকে হলিউডের কালোতালিকাভুক্ত করা হয়, কিন্তু তিনি মার্টি (১৯৫৫) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বিপুল সমাদৃত হন এবং পুনরায় পুরোদমে কাজ শুরু করেন। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং শ্রেষ্ঠ বিদেশি অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন।
ব্লেয়ার ১৯২৩ সালের ১১ই ডিসেম্বর নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের ক্লিফসাইড পার্কে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা উইলিয়াম কিড বোগার ছিলেন একটি ছোট বিমা কোম্পানির অংশীদার এবং মাতা ফ্রেডরিকা আমোন ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তারা দুজনেই এপিস্কোপালিয়ান ছিলেন।[২] আট বছর বয়সে তিনি সুইফট সিস্টার্স স্কুল অব ড্যান্সে ভর্তি হন এবং ১৯৩৩ সালে এলিনর রুজভেল্টের সামনে নৃত্য প্রদর্শন করেছিলেন এবং এর কিছুদিন পর একটি অপেশাদার নৃত্য প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করেছিলেন। এরপর তিনি একটি সফররত অপেশাদার অনুষ্ঠান ও স্থানীয় বেতারে পরিবেশনা করেন।[২] তিনি জন রবার্ট পাওয়ার্সের মডেলিং এজেন্সিতে যোগ দেন এবং ১২ বছর বয়সেই তার নিয়মিত চাহিদা দেখা যায়। তিনি প্রফেশনাল চিলড্রেন্স স্কুলেও ভর্তি হন, কিন্তু তার মাতা তাকে স্থানীয় বিদ্যালয়ে ফেরত নিয়ে আসেন, যাতে তিনি কলেজেও পড়তে পারেন। তিনি পনেরো বছর বয়সে বিদ্যালয়ের পাঠ সমাপ্ত করেন এবং সারা লরেন্স কলেজে বৃত্তি পান। ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনাকারী বোর্ড সেখানে ভর্তির জন্য অপরিপক্ক বিবেচনা করে তাকে আরও এক বছর অপেক্ষা করার সুপারিশ করেন।
ব্লেয়ার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৯ সালের ১৩ই মার্চ লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার এক কন্যা, তিন সৎসন্তান ও কয়েকজন নাতী-নাতনী ছিল।[৩]