বেতোয়া নদী | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ |
শহর সমূহ | বিদিশা, সাঁচী, ওড়ছা |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
উৎস | বিন্ধ্য পর্বতমালা |
• অবস্থান | ঝিরি গ্রাম, সেহোরে, মধ্যপ্রদেশ, ভারত |
মোহনা | যমুনা |
• অবস্থান | হামিরপুর, উত্তরপ্রদেশ, ভারত |
• স্থানাঙ্ক | ২৫°৫৫′০৩″ উত্তর ৮০°১২′৪৫″ পূর্ব / ২৫.৯১৭৫০° উত্তর ৮০.২১২৫০° পূর্ব |
নিষ্কাশন | |
• অবস্থান | রাজঘাট বাঁধ[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
• গড় | ৬৫৮ মি৩/সে (২৩,২০০ ঘনফুট/সে)[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
• সর্বোচ্চ | ৩,১৭৮ মি৩/সে (১,১২,২০০ ঘনফুট/সে) |
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য | |
উপনদী | |
• বামে | সিন্ধু (আশোক নগর-গুনা) |
• ডানে | বিনা (নদী), ধাসান |
বেতোয়া বা বেত্রবতী উত্তর ভারতের একটি নদী এবং যমুনার একটি উপনদী। এটি মধ্যপ্রদেশের হোশঙ্গাবাদের ঠিক উত্তরে বিন্ধ্য পর্বতমালা (রাইসেন) থেকে উৎপন্ন হয়েছে এবং উত্তর পূর্ব দিকে মধ্যপ্রদেশ এবং ওড়ছা হয়ে উত্তরপ্রদেশ পর্যন্ত প্রবাহিত হয়। এর প্রায় অর্ধেক যাত্রাপথ অগম্য এবং সেই অংশটি মালওয়া মালভূমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বেতোয়া ও যমুনা নদীর সঙ্গমস্থল হল ওড়ছার কাছাকাছি উত্তর প্রদেশের হামিরপুর শহর।[১]
বেতোয়া নদীর সম্মানে, ভারতীয় নৌবাহিনী, তাদের একটি রণতরীর নাম দিয়েছে আইএনএস বেতোয়া।[২]
সংস্কৃতে "বেতোয়া" হল বেত্রবতী। এই নদীটির নাম মহাভারতে চর্মনবতী বা চম্বল নদীর সাথে উল্লেখ করা হয়েছে।[৩] উভয়ই যমুনার উপ নদী। বেত্রবতী আবার শুক্তিমতী নামেও পরিচিত ছিল। চেদি সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল এই নদীর তীরে। নদীর উৎপত্তিস্থল থেকে যমুনার সঙ্গম পর্যন্ত এই নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৫৯০ কিলোমিটার (৩৭০ মা), এর মধ্যে ২৩২ কিলোমিটার (১৪৪ মা) মধ্য প্রদেশে অবস্থিত এবং বাকি অংশ, ৩৫৮ কিলোমিটার (২২২ মা) উত্তর প্রদেশে। ১৯৭৩ সালে উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের মধ্যে একটি আন্তঃরাজ্য চুক্তি অনুসারে, বেতোয়া নদী বোর্ড আইন, ১৯৭৬ এর অধীনে বেতোয়া নদী বোর্ড (বিআরবি) গঠিত হয়েছিল। কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রণালয় বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্য প্রদেশের অর্থ, সেচ ও বিদ্যুৎ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা এর সদস্য।[৪]
কিছুসংখ্যক পৌরাণিক সাধুও তাদের মত প্রকাশ করেন যে ভোপালের কোলার বাঁধ অঞ্চলের কাছে মা বেত্রবতী বেতোয়া নদীর উৎপত্তি ঘটেছে।
মধ্যপ্রদেশের নদী সংযোগ প্রকল্পের অংশ হিসাবে বেতোয়া নদীকে কেন নদীর সাথে যুক্ত করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ন্যাশনাল বোর্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ (এনবিডব্লিউএল) কেন-বেতোয়ার নদীসমূহের আন্তঃসংযোগের (আইএলআর) প্রকল্পের ছাড়পত্র দিয়েছে। বেতোয়া নদীর আরও একটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হল মাতাতিলা বাঁধ, যেটি উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের মধ্যে নেওয়া একটি চুক্তির মাধ্যমে বাস্তবায়িত। এই অঞ্চলটি পরিযায়ী পাখিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।[৫] কেন এবং বেতোয়া নদীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প একটি অনন্য মানুষ-প্রাণী সংঘাতের মঞ্চে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রীয় জল মন্ত্রকের নেতৃত্বে এই প্রকল্পের সমর্থকদের বক্তব্য প্রস্তাবিত দাউদন বাঁধ এবং প্রকল্পের মূল কাঠামো - ২৩০ কিলোমিটার খাল, যেটি কেনের উত্তর প্রদেশ বিভাগ থেকে উদ্বৃত্ত জল মধ্য প্রদেশের বেতোয়ায় এনে ফেলবে, সেটি খুবই প্রয়োজন দুর্ভিক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত বুন্দেলখণ্ডের প্রায় ৭,০০,০০০ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য।
টেমপ্লেট:Hydrography of Madhya Pradesh টেমপ্লেট:Hydrography of Uttar Pradesh