বেনী গানৎস | |
---|---|
בני גנץ | |
ইসরায়েলের সংসদ 'নেসেট'-এর স্পিকার | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৬ মার্চ ২০২০ | |
পূর্বসূরী | ইউলি এডেলস্টাইন |
২০তম সেনাপ্রধান | |
কাজের মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ – ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ | |
প্রধানমন্ত্রী | বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু |
পূর্বসূরী | গাবি আশকেনাজি |
উত্তরসূরী | গাডি আইজেনকট |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কেফার আহিম, ইসরায়েল | ৯ জুন ১৯৫৯
দাম্পত্য সঙ্গী | রেভিতাল |
সন্তান | ৪ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয় |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | ইসরায়েল |
শাখা | ইসরায়েলী সেনাবাহিনী |
কাজের মেয়াদ | ১৯৭৭-২০১৫ |
পদ | রাভ আলুফ (লেঃ জেনারেল) |
বেনী গানৎস হচ্ছেন ইসরায়েলের একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল যিনি বর্তমানে একজন রাজনীতিবিদ।[১][২] তিনি ইসরায়েলী সেনাবাহিনীর ২০তম প্রধান ছিলেন, রাজনীতিতে তিনি আসেন হঠাৎ করেই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে। বেনী ইসরায়েলের সমাজে সত্যিকারের উদারনীতিবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তার নিজের রাজনৈতিক দল 'ইসরায়েল রেজিলিয়েন্স' গড়ে তোলেন এবং প্রধানমন্ত্রী পদে দুইবার নেতানিয়াহুর সাথে লড়াই করেন নির্বাচনের মাধ্যমে, প্রথমবার সময়মত নির্বাচনে আর দ্বিতীয়বার হচ্ছে মধ্যবর্তী নির্বাচনে, প্রথমবার বেনী হেরে গেলেও দ্বিতীয় বার প্রায় বিজয়ী হতে পেরেছিলেন তবে নেতানিয়াহু ইসরায়েলের নিরাপত্তার অজুহাতে পদত্যাগ করেননি, এখন বেনী ইসরায়েলের সংসদ নেসেটের স্পিকার।
বেনী ইসরায়েলের আইনে পরিবর্তন আনতে চান, তিনি বারবার বলেন যে, ইসরায়েলের সমাজ সত্যিকারের ধর্মনিরপেক্ষ নয়, ইসরায়েলের সমাজে বিয়ে করা কঠিন, বিয়ে করতে গেলে ধর্মীয় আইনের বাড়াবাড়ি দেখা যায়। বেনী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র সমর্থন করেননা তবে ফিলিস্তিনী 'দ্বি-রাষ্ট্র নীতি' তিনি পুনরায় আলোচনা করা যেতে পারে বলে মনে করেন, তিনি এও বলেন যে, ফিলিস্তিনীদের ইসরায়েলী পতাকাতলে আসা উচিত, আর ইসরায়েলে অনেক আগে থেকেই যেসব মুসলিমরা আছেন তারা তাদের সংস্কৃতি এবং আরবী ভাষা ভালো ভাবেই ব্যবহার করতে পারেন; তিনি বলেন যে, তিনি আশায় বিশ্বাস করেন এবং তিনি ইসরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত 'হাটিকভাহ' যার অর্থ হচ্ছে 'আশা' - এর উদাহরণ টেনে আনেন।[৩] বেনী তার দল 'ইসরায়েল রেজিলিয়েন্স'কে নিয়ে 'ব্লু এ্যান্ড হোয়াইট' নামের একটি জোট গঠন করেছিলেন যেখানে উদারনীতিবাদী 'ইয়েশ আতিদ' এবং 'তেলেম'-এর মত উদারনৈতিক রাজনৈতিক দলগুলো আছে।[৪]
১৯৫৯ সালে ইসরায়েলের কেফার আহিমে জন্মগ্রহণ করেন বেনী, তার পুরোনাম ছিলেন বেঞ্জামিন গানৎস। তার মা ছিলেন হলোকস্টে বেঁচে যাওয়া একজন মানুষ, হাঙ্গেরীর অধিবাসিনী ঐ নারীর নাম ছিলো মালকা আর বেনীর বাবার নাম ছিলো নাহুম যিনি রোমানিয়াতে থাকতেন।[৫][৬] বেনী ১৯৭৭ সালে ১৮ বছর বয়সে ইসরায়েলী সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন, এর আগে তিনি একটি বোর্ডিং স্কুলে পড়তেন যেটা রামাত হাশারোন শহরে ছিলো। বেনী সামরিক বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়তে ইতিহাস নিয়ে পড়তেন। ১৯৮০ সালে রেভিটাল নামের এক অল্পবয়সী মেয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বেনী, এই মেয়েকে বেনীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন বেনীর মা-বাবাই। রেভিটাল এবং বেনী চার সন্তানের জননী-জনক।[৭]
ডিসেম্বর ২০১৮-এ, গানৎস একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তবে মূলত তার মতামত বা সংগঠনের নাম প্রকাশ করেননি। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮-এ, গানৎস আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েল রেসিলিয়েন্স পার্টি (হিব্রু ভাষায় "হোসেন লেইসরেল") প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা এপ্রিল ২০১৯ এর ইসরায়েলী আইনসভা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল।
২৯ শে জানুয়ারী, ২০১৮-তে তার প্রথম বড় রাজনৈতিক বক্তৃতায় বেনী পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বন্দোবস্তকে আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে ইসরায়েল কখনই গোলান হাইটস ছেড়ে যাবে না। তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের দ্বন্দ্বের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে সমর্থন বা ত্যাগ করেননি। তিনি বলেছিলেন, "জর্দান উপত্যকা হবে আমাদের সীমান্ত, তবে আমরা বেড়া ছাড়িয়ে বাস করা কয়েক মিলিয়ন ফিলিস্তিনিকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসাবে আমাদের পরিচয় বিপন্ন করতে দেব না।" তার বক্তব্য শেষে গানৎস প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং ইসরায়েলী সশস্ত্র বাহিনী প্রধান জেনারেল মোশে ইয়ায়ালনের সাথে নির্বাচনী জোট ঘোষণা করেছিলেন।[৮]