বেবিলন উইলো | |
---|---|
চীনা বেবিলন উইলো | |
NE
| |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
বিভাগ: | Magnoliophyta |
শ্রেণী: | Magnoliopsida |
বর্গ: | Malpighiales |
পরিবার: | Salicaceae |
গণ: | Salix |
প্রজাতি: | Salix babylonica |
বেবিলন উইলো (কাঁদুনে উইলো বা উইপিং উইলো; চীনা: 垂柳; ফিনিন: চুই লি) হলো উত্তর চীনের শুষ্ক অঞ্চলের একটি দেশীয় উইলো প্রজাতি, তবে এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলেও শতাব্দী ধরে এটি চাষ করা হচ্ছে, সিল্ক রোড দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপে এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Salix babylonica। [১][২]
Salix babylonica বা সালিক্স ব্যাবিলোনিকা একটি মাঝারি থেকে বড় আকারের পর্ণমোচী গাছ যা উচ্চতায় সাধারণত ২০–২৫ মি (৬৬–৮২ ফু) পর্যন্ত লম্বা হয়। এটি দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তবে মাত্র ৪০ থেকে ৭৫ বছর জীবিত রয় যা খুবই সংক্ষিপ্ত জীবনকাল। অঙ্কুরগুলো ছোট কুঁকড়িযুক্ত এবং হলুদ বর্ণের হয়। পাতাগুলি পর্যায়ক্রমিক এবং সর্পিলভাবে সাজানো, সরু ও হালকা সবুজ, ৪-৬ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ০.৫-২ সেমি প্রশস্ত। ফুলগুলো বসন্তের প্রথম দিকে উৎপাদিত ক্যাটকিনগুলোতে সাজানো থাকে; সজ্জাক্রম পুরুষ ও স্ত্রী বেবিলনে আলাদা বৈশিষ্ট্যের হয়।[১][৩]
১৭৩৬ সালে Salix babylonica বা স্যালিক্স বেবিলোনিকাকে ক্যারোলাস লিনিয়াস বৈজ্ঞানিকভাবে বর্ণনা এবং নামকরণ করেছিলেন।[৪]
পেকিং উইলো উত্তর চীনের একটি জনপ্রিয় আলংকারিক গাছ। কাঠ উৎপাদন ও সেখানে আশ্রমের জন্যও এটি লাগানো হয়। মরুভূমির বাতাস থেকে কৃষিজমি রক্ষা করে বিধায় বিশেষকরে গোবি মরুভূমি প্রান্তরের আশেপাশে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ গাছ হিসেবে বিবেচিত হয়।[৫]