বেরেটা এম নাইন | |
---|---|
বেরেটা এম নাইন | |
প্রকার | অর্ধস্বয়ংক্রিয় পিস্তল |
উদ্ভাবনকারী | ইটালি, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র |
ব্যবহার ইতিহাস | |
ব্যবহারকাল | ১৯৯০ থেকে বর্তমান পর্যন্ত |
ব্যবহারকারী | আমেরিকার সৈন্যবাহিনী |
যুদ্ধে ব্যবহার | Operation Just Cause পার্সির গাল্ফ যুদ্ধ আফগানিস্থানের যুদ্ধ ইরাকের বিপক্ষে হওয়া আমেরিকার যুদ্ধ |
উৎপাদন ইতিহাস | |
উৎপাদনকারী | Fabbrica d'Armi Pietro Beretta |
তথ্যাবলি | |
ওজন | ৯৫২ গ্রাম (খালী অবস্থায়) ১১৬২ গ্রাম (গুলিভর্তি অবস্থায়) |
দৈর্ঘ্য | ২১৭ মিলিমিটার |
ব্যারেলের দৈর্ঘ্য | ১২৫ মিলিমিটার |
কার্টিজ | ৯x১৯ মিলিমিটার পারাবেলাম |
কার্যপদ্ধতি/অ্যাকশন | কম দূরত্বের যুদ্ধে |
নিক্ষেপণ বেগ | ৩৮১ মিটার/সেকেন্ড |
কার্যকর পাল্লা | ৫০ মিটার |
ফিডিং | ১৫ রাউণ্ড গুলি ধরা ম্যাগাজিন |
সাইট | লো গঠিত |
বেরেটা এম নাইন (ইংরেজি: Beretta M9) একপ্রকার ৯x১৯ মিলিমিটার পারাবেলাম (9×19mm Parabellum) ধরনের পিস্তল। একে পূর্বে অর্ধস্বয়ংক্রিয় ৯ মি. মি. এম-নাইন পিস্তল (Pistol, Semiautomatic, 9 mm, M9) বলা হত৷ ১৯৮৫ সালে আমেরিকার সৈন্যবাহিনী একে প্রথমবারের জন্য তাদের ব্যবহারে লাগিয়েছিল।
১৯৮০ সালে আমেরিকার সৈন্যবাহিনীর জন্য কোনটি বেশি সহজে চালানোর মতো আগ্নেয়াস্ত্র (handgun), তা ঠিক করতে অনুষ্ঠিত হওয়া একটি প্রতিযোগিতায় এই এম-নাইন পিস্তল M1911A1 পিস্তলের বিপরীতে জয়ী হয়েছিল।[১] M1911A1-এর সঙ্গে SIGP226 -ও প্রতিযোগিতার তালিকায় ছিল। পরে ১৯৯০ সালে একে প্রকৃত স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।[২][৩] একে ধরনের অন্যরকমের পিস্তল হ’ল এম-১১ পিস্তল (M11 pistol)।
১৯৭০ সালে M1911 র সাথে অন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের কথা আলোচনার জন্য যৌথ ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্র পরিকল্পনা আয়োগ (Joint Services Small Arms Planning Commission) গঠন করা হয়েছিল। তাতে প্রধান পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রের কথা আলোচনা হয়েছিল। শেষে এম নাইনকে NATO দ্বারা উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যাবলীর সবকটি আছে বলে বিবেচনা করা হয়েছিল। ১৯৮০ সালে বেরেটা এস ৯২-১ (Beretta 92S-1) কে কোল্ট (Colt), স্মিথ এণ্ড ওয়েসন (Smith and Wesson), ওয়াল্টার (Walter), স্টার এম-২৮, ফেব্রিক নেসনালে (Fabric Nationale), হেক্লার এণ্ড কোছ (Heckler & Koch) ইত্যাদিকে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচনা করা হয়েছিল।
পরে সৈন্যবাহিনীর থেকে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়। ১৯৮৪ সালে স্মিথ এণ্ড ওয়েসন, ওয়াল্টার, ফেব্রিক নেসনালে (Fabric Nationale) ও হেক্লার এণ্ড কোছ থেকে নতুন নতুন কিছু মডেল আনানো হয়। এইগুলির মধ্যে বেরেটা শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হয়। বেরেটা ৯২-এফ নামের পিস্তলটি -৪০ ডিগ্রী থেকে ৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত উষ্ণতার তারতম্য বহন করতে সক্ষম হয়েছিল। তারপর কংক্রিটের ওপর বহু উচ্চতা থেকে কয়েকবার ফেলে দেয়ার পরেও, বালি, ও বরফে আটকে থেকেও কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। তদুপরি, এর MBRF (mean rounds before failure)র ছিল ৩৫,০০০ রাউণ্ড। এই সংখ্যা সাধারণ পিস্তলের পাঁচ-ছয়গুণ। ইরাক যুদ্ধর ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোঠায় কোঠায় প্রবেশ করে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য এই পিস্তলের যথেষ্ট ব্যবহার হয়েছিল।[৪]
এম নাইন হ’ল ছোট রিকয়েল (Short recoil), অর্ধস্বয়ংক্রিয়, একবার কার্য্য করা (single action)/দ্বিকার্য্য (double action) পিস্তল। এর ম্যাগাজিন একটা ১৫ রাউণ্ড গুলি ধরা দীর্ঘ বাক্স আকৃতির। এই পিস্তল একটি থেকে আরেকটি প্রতিবর্তী বাটনে ম্যাগাজিনটি ডানহাতি বা বাঁহাতি লোকের জন্য নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা থাকে। এম নাইনকে বিরাঞ্চি এম-১২ হলষ্টেরর সাথেও একসাথে ব্যবহার করা হয়। এর বিভিন্ন বৈশিষ্টসমূহ হ’ল:
২০০৬ সালে এম-নাইনকে পুনরায় উন্নীতকরণ করা হয় এবং একে এম নাইন এ ওয়ান (M9A1) নামে নামকরণ করা হয়।[৫] এতে পিকাটিনি রেল (Picatinny rail) নামে এটা অংশ সংযোগ করা হয়। পিকাটিনি রে’লে বিভিন্ন ধরনের লাইট, লেজার ইত্যাদিকে ধরে অন্য অন্য সরঞ্জাম সংযোগ করার ব্যবস্থা আছে। এই পিস্তল রিলোড (reload) করাটিও অন্যান্য সবের থেকে সহজ। তদুপরি, এর ম্যাগাজিনগুলিতে Physical vapor deposition পদ্ধতির একটা প্রলেপ দেয়া হয়। এই প্রলেপ একে ধূলিময় পরিবেশ হয়ে ক্ষয়-ক্ষতির থেকে সুরক্ষিত রাখে।[৬]
এতে এক বিশেষ ‘পিন ব্লক’ ব্যবহার করা হয়েছে যা ট্রিগার চাপলে ফায়ারিং পিনটিকে একস্থানে ধরে রাখে।
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |year= / |date= mismatch
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]