লুয়া ত্রুটি মডিউল:এর_২ এর 15 নং লাইনে: bad argument #1 to 'main' (string or table expected, got nil)।
বেলা বোস | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী |
দাম্পত্য সঙ্গী | আশীষ কুমার (অভিনেতা) (বি. ১৯৬৭) |
বেলা বোস হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী। তিনি মূলত ১৯৬০ এবং ৭০ এর দশকে হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। [১]
বেলা বোস কলকাতায় এক সচ্ছল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা পেশায় ছিলেন কাপড় ব্যবসায়ী এবং মা ছিলেন গৃহিণী। ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার ঘটনায় তাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। ভাগ্যান্বেষনে তারা ১৯৫১ সালে বোম্বেতে চলে আসেন। সড়ক দুর্ঘটনায় তার বাবার মৃত্যুর পর পরিবারকে সহায়তা করার জন্য তিনি একটি নাচের দলে যোগদান করেন। পাশাপাশি পড়ালেখাও চালিয়ে যান। শিক্ষার পাঠ চুকানোর পর তিনি আরও চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে থাকেন।
বোস ১৯৫০ এর দশকের শেষদিক থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করা শুরু করেন। তার ক্যারিয়ারে বড় সাফল্য আসে রাজ কাপুরের সাথে ম্যায় নশে মে হুঁ চলচ্চিত্রে আইটেম নম্বরে নেচে। ২১ বছর বয়সে গুরু দত্তের বিপরীতে সউতেলা ভাই (১৯৬২) ছবিতে তার প্রথম প্রধান ভূমিকা ছিল। তিনি বাংলা নাটকে অভিনয় করে তার অভিনয় দক্ষতাকে বাড়িয়েছিলেন। তিনি ১৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। হাওয়া মহল (১৯৬২) চলচ্চিত্রে তিনি হেলেনের বোনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। [২] তাকে প্রায়ই ভ্যাম্প চরিত্রে অভিনয় করার জন্য ডাকা হতো। বাস্তব জীবনে রক্ষণশীল হওয়ায় পর্দায় সাঁতারের পোশাক পরিধান করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন তিনি। যার কারণে কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ হারিয়েছিলেন। [৩]
তিনি বিমল রায় পরিচালিত বন্দিনী (১৯৬৩), এফসি মেহরা পরিচালিত প্রফেসর (১৯৬২) এবং আম্রপালি, আত্মারাম পরিচালিত শিকার, উমং, ইয়ে গুলিস্তান হামারা, দিল অর মহব্বত, জিন্দেগি অর মউত এবং ওয়াহান কে লগে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরে, তিনি গল্পনির্ভর চলচ্চিত্রে অভিনয় করা শুরু করেন এবং হিট পৌরাণিক চলচ্চিত্র জয় সন্তোষী মা- তে খলনায়ক ভগ্নিপতির ভূমিকায় অভিনয় করেন।
তার স্বামী আশীষ কুমার ছিলেন একজন অভিনেতা। [৪] তিনি ১৯৬৭ সালে বোস তাকে তাকে বিয়ে করেন। তাদের ঘর আলো করে আসে একটি পুত্র ও কন্যা সন্তান। সন্তান জন্মদানের পর বোস ধীরে চলচ্চিত্র থেকে সরে আসেন।