ব্লান্ডস্টোন অ্যারিনা | |
প্রাক্তন নাম | নেই |
---|---|
অবস্থান | বেলেরিভ, তাসমানিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৪২°৫২′৩৮″ দক্ষিণ ১৪৭°২২′২৫″ পূর্ব / ৪২.৮৭৭২২° দক্ষিণ ১৪৭.৩৭৩৬১° পূর্ব |
মালিক | ক্ল্যারেন্স সিটি কাউন্সিল |
পরিচালক | তাসমানিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (টিসিএ) |
ধারণক্ষমতা | ১৬,২০০ |
উপরিভাগ | ঘাস |
নির্মাণ | |
কপর্দকহীন মাঠ | ১৯১৩ |
চালু | ১৯১৪ |
নির্মাণ ব্যয় | অজানা |
স্থপতি | বিভিন্ন |
ভাড়াটে | |
তাসমানিয়ান টাইগার্স (ক্রিকেট) ক্ল্যারেন্স রুজ (টিএসএল) হোবার্ট হারিকেন্স (ক্রিকেট) নর্থ মেলবোর্ন ফুটবল ক্লাব (এএফএল) |
বেলেরিভ ওভাল অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া অঙ্গরাজ্যের হোবার্টের পূর্ব উপকূল তীরবর্তী সিটি অব ক্ল্যারেন্সের বেলেরিভে অবস্থিত আন্তর্জাতিকমানের ক্রিকেটস্টেডিয়াম। ব্যবসায়িক সম্প্রচার স্বত্ত্বজনিত কারণে এটি ব্লান্ডস্টোন অ্যারিনা নামেও পরিচিত। এ স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবল মাঠ রয়েছে। তাসমানিয়ার একমাত্র মাঠ হিসেবে বর্তমানে এখানেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাগুলোর আয়োজন করা হয়। দর্শক ধারণ ক্ষমতা প্রায় ষোল হাজার হলেও ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার খেলায় ১৬,৭১৯ জন দর্শকের রেকর্ড ধারণ করা হয়েছে।
অত্র এলাকায় ফুটবল ও ক্রিকেট খেলা শুরু হবার পর ঊনবিংশ শতকের মধ্যভাগে বেলেরিভ ওভাল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৮৪ সালে কার্লটন ও বেলেরিভের মধ্যে প্রথম ফুটবল খেলার রেকর্ড করা হয়। ১৯১৩ সালে বীচ, চার্চ ও ডারওয়েন্ট স্ট্রীটের মধ্যকার একটুকরো জমি ক্ল্যারেন্স কাউন্সিলের কাছে বিক্রয় করা হয়। একবছর পর বেলেরিভ বিনোদন মাঠ ব্যবহারের উপযোগী করা হয়।
১৯৮৭ সালে টিসিএ চেয়ারম্যান ডেনিস রজার্সের নেতৃত্বে স্থানান্তর প্রক্রিয়া চলে। ১২ জুন, ১৯৮৮ তারিখে শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার একদিনের আন্তর্জাতিকের মাধ্যমে প্রথম আন্তর্জাতিক খেলার সূচনা ঘটে। খেলা দেখতে ৬,৫০০ দর্শক মাঠে আসেন।[১]
১৬-২০ ডিসেম্বর, ১৯৮৯ তারিখে তাসমানিয়ার বেলেরিভে প্রথম টেস্ট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।[২][৩] এর পরপরই নতুন ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড তৈরি করা হয়।
২০০৭ সালে প্রদেশের প্রথম পুরা কাপ জয় করে তাসমানিয়া রাজ্য ক্রিকেট দল টাইগার্স টাইগার্স। ২০০৮ সালে ফোর্ড র্যাঞ্জার কাপের চূড়ান্ত খেলা প্রথমবারের মতো আয়োজনের দায়িত্ব পায় এ মাঠ ও তাসমানিয়া কাপ জয় করে।
অক্টোবর, ২০১১ সালে সম্প্রচারস্বত্ত্বজনিত কারণে নাম পরিবর্তনে স্বাক্ষর করে ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম বড়ধরনের ক্রিকেট সুবিধাদি ভোগে অগ্রসর হয়। ব্লান্ডস্টোন ফুটওয়্যারের সাথে চুক্তি হওয়ার প্রেক্ষিতে এ মাঠ ব্লান্ডস্টোন অ্যারিনা নামে পরিচিতি পায়।[৪]
২০০৯ সালে মাঠে দিন-রাতের খেলা আয়োজনের জন্য A$৪.৮ মিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার বরাদ্দ করা হয়। এ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে মাঠের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায় ও একদিনের আন্তর্জাতিক এবং টুয়েন্টি২০ খেলায় স্বাগতিকের মর্যাদা পায়।[৫] ফ্লাডলাইট স্থাপনের ফলে বিচ্ছুরিত আলোর জন্য বিতর্কের জন্ম দেয়।[৬][৭]
১৪ জানুয়ারি, ২০০৩ তারিখে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মধ্যকার একদিনের আন্তর্জাতিকে সবচেয়ে বেশি ১৬,৭১৯জন দর্শক সমাগমের রেকর্ড করা হয়।[৮] ১২ জানুয়ারি, ১৯৮৮ তারিখে নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিকে ৬,১৮০জন দর্শক মাঠে এসেছিলেন।[৯] ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ তারিখে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে অনুষ্ঠিত টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে ১৫,৫৭৫ দর্শকের সমাগম ঘটেছিল। ঐ খেলাটি বেলেরিভ ওভালের প্রথম দিন-রাতের ক্রিকেট খেলা ছিল।
|শিরোনাম=
at position 29 (সাহায্য)