বৈঁচি Flacourtia indica | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Malpighiales |
পরিবার: | Salicaceae |
গণ: | Flacourtia |
প্রজাতি: | F. indica |
দ্বিপদী নাম | |
Flacourtia indica (Burm. f.) Merr. | |
প্রতিশব্দ | |
Flacourtia ramontchi |
বৈঁচি (ইংরেজি: governor’s plum, batoko plum, and Indian plum), (দ্বিপদ নাম: Flacourtia indica) বাংলাদেশে একধরনের বিলুপ্তপ্রায় এবং অপ্রচলিত ফল। এই ফল কাঁটাবহরী, বুঁজ, ডুংখইর ’পাইন্নাগুলা’ ইত্যাদি নামেও পরিচিত[১]।
বাংলাদেশে এই ফলের চাষ করা হয়না, ক্ষেতের পাশে ঝোপঝাড়ে বা পাহাড়ের ঢালে অযত্নে বৈঁচিগাছ বেড়ে ওঠে। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক জায়গায় এ ফল জন্মে। বৈঁচি ফুল ক্ষুদ্র আকারের, হালকা পীত রঙের। সাধারণত শীতের শেষে ফাল্গুন-চৈত্র মাসে বঁইচিগাছে ফুল ধরে। পাঁচ পাপড়িযুক্ত ক্ষুদ্রাকৃতির ফুল। পুরুষ ও স্ত্রী ফুল আলাদা গাছে ফোটে। জ্যৈষ্ঠ মাস (এপ্রিল-জুন) থেকে ফল পাকতে শুরু করে। কাঁচা ফল গোলাকার সবুজ। পাকলে গাঢ় বেগুনি রং ধারণ করে। এর স্বাদ টক-মিষ্টি এবং কস। [২] বাংলাদেশের গ্রামের শিশুরা পাকা ফলের মালা বানিয়ে গলায় পরে থাকতে পছন্দ করে এবং মালা থেকে ফল ছিঁড়ে খায়। চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৈঁচি ফলের শুদ্ধ বাংলা নাম নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। চট্টগ্রাম এলাকায় এটি পাইন্নাগুলা নামে পরিচিত।
এতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান আছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস।
দাঁতের গোড়া ফোলা, জন্ডিস ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় বৈঁচি ব্যবহৃত হয়।
বৈঁচি ফল ও গাছটি নানা দেশে নানা নামে পরিচিত। মালয় ভাষায় কেরকুপ কেচিল, থাই ভাষায় তা-খোপ-পা এবং লাও ভাষায় গেন [৩], এবং তাগালোগ ভাষায় বিতঙ্গল, বলং ও পাতুলান নামে পরিচিত। আফ্রিকার কয়েক জায়গায় একে কোকোউই এবং শ্রীলংকায় উগুরেসসা নামে ডাকা হয়। ফ্রেঞ্চ ভাষায় এর নাম প্রুনিয়ের দ্য মাদাগাস্কার এবং গ্রসে প্রুন দ্য কাফে। এর জার্মান নাম এচে ফ্লাকুর্তিয়ে, স্প্যানিশ নাম সিরুয়েলা গভের্নাদোরা এবং বার্মিজ নাম না-ইউ-ওয়ানি। চট্টগ্রাম এর ভাষায় 'পাইন্নাগুলা'
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |