"বৈষ্ণব জন তো" | |
---|---|
লতা মঙ্গেশকর জগজিৎ সিং এম. এস. সুব্বুলক্ষ্মী প্রমুখ শিল্পীবৃন্দ কর্তৃক সঙ্গীত | |
ভাষা | গুজরাতি |
প্রকাশিত | খ্রিস্টীয় ১৫শ শতাব্দী |
ধারা | ভজন |
লেখক | নরসিং মেহতা |
"বৈষ্ণব জন তো" হল সর্বাধিক জনপ্রিয় হিন্দু ভজনগুলির অন্যতম। ১৫শ শতাব্দীর কবি নরসিং মেহতা এই ভজনটি গুজরাতি ভাষায় রচনা করেছিলেন। গানটি মহাত্মা গান্ধীর দৈনিক প্রার্থনার অন্তর্গত ছিল। গানটিতে এক বৈষ্ণবের জীবন, আদর্শ ও মানসিকতার কথা বলা হয়েছে।
এই ভজনটির কথা নিম্নরূপ:
গুজরাতি | বাংলা লিপি | বঙ্গানুবাদ |
---|---|---|
વૈષ્ણવ જન તો તેને કહિયે જે પીડ પરાયી જાણે રે |
বৈষ্ণব জন তো তেনে কহিয়ে জে পীড় পরায়ী জাণে রে |
বৈষ্ণব তিনিই যিনি, |
સકળ લોકમાં સહુને વંદે, નિંદા ન કરે કેની રે |
সকল় লোকমাঁ সহুনে বন্দে, নিন্দা ন করে কেনী রে |
বৈষ্ণবগণ সমগ্র জগৎকে সম্মান করেন, |
સમદૃષ્ટિ ને તૃષ્ણા ત્યાગી પરસ્ત્રી જેને માત રે |
সমদৃষ্টি নে তৃষ্ণা ত্যাগী, পরস্ত্রী জেনে মাত রে |
বৈষ্ণবগণ সকলকে সমদৃষ্টিতে দেখেন, লোভ ও চাহিদা ত্যাগ করেন, |
મોહ માયા વ્યાપે નહિ જેને, દૃઢ વૈરાગ્ય જેના મનમાં રે |
মোহ মায়া ব্যাপে নহি জেনে, দৃঢ বৈরাগ্য জেনা মনমাঁ রে |
বৈষ্ণবগণ জাগতিক বিষয়ে আকৃষ্ট হন না, |
વણ લોભી ને કપટ રહિત છે, કામ ક્રોધ નિવાર્યાં રે |
বণ লোভী নে কপট রহিত ছে, কাম ক্রোধ নিবার্যা রে |
লোভ ও অহংকারশূন্যতা বৈষ্ণবদের ভরিয়ে রাখে, |
এই ভজনটি একাধিক ব্যক্তিত্বকে অনুপ্রাণিত করেছিল। এঁদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলেন মহাত্মা গান্ধী।[১]