বোরকা | |
---|---|
পৌরসভার ধরন-সি | |
আরবি প্রতিলিপি | |
• আরবি | بُرقة |
দেশ | ফিলিস্তিন |
গভর্নেটর | রামাল্লাহ ও বিরহ |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
উচ্চতা[১] | ৭৩৮ মিটার (২,৪২১ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০০৬) | |
• মোট | ২,০৯০ |
Name meaning | "The speckled ground"[২] |
বোরকা (আরবি: بُرقة) রামাল্লাহ ও আল-বিরহ গভর্নরেটের একটি ফিলিস্তিনি শহর, উত্তর পশ্চিম তীরে রামাল্লার পূর্বে অবস্থিত। ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (পিসিবিএস) মত অনুসারে, ২০০৭ সালের আদমশুমারিতে শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২০৯০ জন।
বোরকা, রামাল্লার ৫ কিলোমিটার (৩.১ মা) (অনুভূমিকভাবে)পূর্বে অবস্থিত। এর সীমান্তে রয়েছে-উত্তর ও পূর্বে দেইর দিবওয়ান, উত্তরে বেইতিন, পশ্চিমে আল-বিরহ , আর দক্ষিণে মুকমান এবং কাফর আকাব।
১৫৯৬ সালে অটোমান কর রেজিস্টার থেকে জানা যায়, বোরকা কুদস এর নেহিয়ার লিওয়ায় অবস্থিত। এর ২৮টি মুসলিম পরিবারের মধ্যে জনসংখ্যা ছিল সীমাবদ্ধ। গ্রামবাসীরা গম, বার্লি, জলপাই, ফলের গাছ, ছাগল এবং/অথবা মৌমাছি সহ বিভিন্ন কৃষিজাত পণ্যের উপর ৩৩.৩% হারে একটি নির্দিষ্ট কর দিয়েছে; যার মোট পরিমাণ হচ্ছে ৪৯৪০ একসি।[৩] ১৮৩৮ সালে এডওয়ার্ড রবিনসন এটিকে একটি মুসলিম গ্রাম হিসেবে উল্লেখ করেন, বোরকা, জেরুজালেমের অব্যবহিত উত্তরে অবস্থিত।[৪] এটিকে "পাহাড়ের দিক থেকে উঁচুতে" দেখা যায়।[৫] ১৮৬৩ সালে ভিক্টর গুয়েরিন এতে প্রায় ত্রিশটি ঘর দেখতে পান। এখানে একজন মুসলিম শেখ ইউসেফের মাজার লক্ষনীয় ছিল।[৬] ১৮৭০ সালের এক অটোমান গ্রামের তালিকা দেখায় যে, বোরকার জনসংখ্যা ছিল ১৫২ জন, যেখানে মোট ৩১টি বাড়ি রয়েছে, যদিও জনসংখ্যার গণনা শুধুমাত্র পুরুষদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৭] ১৮৮৩ সালে পিইএফ এর পশ্চিম ফিলিস্তিন সার্ভে বোরকার এভাবে বর্ণনা দিয়েছে "এটি ভাল আকারের গ্রাম, যা দক্ষিণে উপত্যকায় একটি খালি পাহাড়ের গায়ে উচ্চ হয়ে দাঁড়িয়ে এক বসন্তের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।"[৮] ১৮৯৬ সালে বোরকার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২৭০ জন।[৯]
ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ ম্যান্ডেট কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত ১৯২২ সালের আদম শুমারিতে, বোরকার জনসংখ্যা ছিল ২৬৮ জন, তারা সবাই মুসলিম ছিল।[১০] ১৯৩১ সালের আদমশুমারিতে ৩২০ জন ও ৬৬টি পরিবার ছিল, যারা সবাই মুসলিম ছিল।[১১] ১৯৪৫ সালের পরিসংখ্যানে, জনসংখ্যা ছিল ৩৮০ জন ও সবাই মুসলমান ছিল।[১২] সরকারী ভূমি ও জনসংখ্যা জরিপ অনুসারে মোট ভূমি এলাকা ছিল ৬০০১ ডুনাম।[১৩] এর মধ্যে ১২৯৭ ডুনাম আবাদ এবং সেচযোগ্য জমির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল, ২৪৬০ ডুনাম শস্যের জন্য,[১৪] যেখানে ২২ ডুনামকে নির্মাণ এলাকা হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল।[১৫]
১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ১৯৪৯ সালের যুদ্ধ চুক্তির পর, বোরকা জর্ডানের শাসনের অধীনে আসে। ১৯৬১ সালের জর্ডানের আদমশুমারিতে ৫৮২ জন বাসিন্দা পাওয়া গেছে।[১৬]
১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধের পর থেকে , বোরকা ইসরায়েলের দখলে রয়েছে । ১৯৯৫ সালের চুক্তির পর, গ্রামের ৮.৫% জমিকে এলাকা বি জমি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল, বাকি ৯১.৫% এলাকা সি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল।[১৭] ইসরাইল কোখাভ ইয়াকভের ইসরায়েলি বসতি নির্মাণের জন্য বোরকা থেকে জমি বাজেয়াপ্ত করে। মাইগ্রন ফাঁড়ি, মাতেহ বিনয়ামিন বোরকার পূর্বে বোরকা এবং দেইর দিবওয়ানের বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিতে অবস্থিত। ২০১২ সালে মিগরোন থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল এবং তারপর থেকে এলাকাটি জনশূন্য।[১৮][১৯][২০][২১]