ধরন | দৈনিক সংবাদপত্র |
---|---|
ফরম্যাট | ট্যাবলয়েড[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
মালিক | |
প্রতিষ্ঠাতা |
|
প্রকাশক | ব্রুনাই প্রেস |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৫৩ |
রাজনৈতিক মতাদর্শ | স্বাধীন |
সদর দপ্তর | বন্দর সেরি বেগাওয়ান |
প্রচলন | ২০,০০০–২৫,০০০ |
ওয়েবসাইট | www |
দ্য বোর্নিও বুলেটিন ব্রুনাইয়ের একটি ইংরেজি ভাষার দৈনিক সংবাদপত্র। এটি ব্রুনাই প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়, যা একটি মালয়-ভাষার দৈনিক মিডিয়া পারমাটাও প্রকাশ করে থাকে। বুলেটিন সাপ্তাহিক কর্মদিবসগুলোতে প্রায় ২০,০০০ কপি এবং শনিবার ও রবিবার ২৫,০০০ কপি ছাপানো হয়। বোর্নিও বুলেটিন হলো স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং বিদেশী খবরের পাশাপাশি ব্যবসায়িক খবরের তথ্যের একটি অন্যতম প্রধান উৎস। ব্রুনাইয়ের ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীদের সুবিধার জন্য সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর এবং আঞ্চলিক স্টক এক্সচেঞ্জের বিস্তারিত স্টক মার্কেট প্রতিবেদন এখানে প্রকাশ করা হয়। দৈনিক বিভিন্ন গুরুতর খবর ছাড়াও, এই সংবাদপত্রে খেলাধুলা, জীবনধারা এবং অবসর পাতা রয়েছে। [১][২]
সংবাদপত্রটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৩ সালে ব্রুনাইয়ের প্রবাসীদের জন্য একটি সাপ্তাহিক কমিউনিটি সংবাদপত্র হিসেবে। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দুই ইংরেজ, উইলিয়াম ফ্রেডরিক রুনাগাল এবং জিওফ্রে উইয়ার কের। রুনাগাল ব্রুনাইয়ের কুয়ালা বেলাইতে ব্রুনাই প্রেস স্থাপনের জন্য সিঙ্গাপুরে তার প্রকাশনা ব্যবসা (দ্যা ক্রাফটসম্যান প্রেস) ছেড়ে দেন। কের সেই সময় ব্রুনাইয়ের সেরিয়ায় অবস্থিত শেল অয়েল কোম্পানির তথ্য পরিচালক ছিলেন। তখন বোর্নিও বুলেটিন ১২ পৃষ্ঠার ছিল এবং ৩,৫০০ কপির প্রচলন ছিল। ১৯৫৯ সালে, সংবাদপত্রটি সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইট টাইমসের কাছে বিক্রি হয়। [১] [২] তারপর সময়ের সাথে এর পরিসর বাড়তে থাকে যা একসময় বিষয়বস্তু এবং বিজ্ঞাপনসহ ৪০ পৃষ্ঠার হয়। এটি শুক্রবার প্রকাশিত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯৮৫ সালে, ব্রুনাইয়ের প্রথম পাবলিক-লিস্টেড কোম্পানি, কিউএএফ, স্ট্রেইট টাইমস থেকে ব্রুনাই প্রেসের শেয়ারের কিছু অংশ নিয়ে নেয়। ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বরে, কিউএএফ সম্পূর্ণ মালিকানা অর্জন করে এবং বোর্নিও বুলেটিন একটি দৈনিক (সোমবার - শনিবার) সংবাদপত্রে পরিণত হয়। [১] [২] ১৯৯১ সালে, এটি তার রবিবার সংস্করণ যোগ করে এবং এর মাধ্যমে এটি একটি পরিপূর্ণ দৈনিক সংবাদপত্রে পরিণত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
সংবাদপত্রটি ১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি একটি অনলাইন সংস্করণ চালু করেছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এর মধ্যে বেশকয়েকটি নিবন্ধ বিনামূল্যে পাওয়া যায়, কিন্তু সংবাদপত্রের অতীতের সংখ্যা পড়ার জন্য একটি সাবস্ক্রিপশন কিনতে হয়।[৩]
সংবাদপত্রের সাতটি প্রধান বিভাগ রয়েছে - স্থানীয় সংবাদ, বোর্নিও সংবাদ, আঞ্চলিক সংবাদ, বিশ্ব সংবাদ, আর্থিক, শ্রেণিবদ্ধ বা ক্লাসিফাইড এবং ক্রীড়া। স্থানীয় সংবাদ এবং কিছু বোর্নিও সংবাদ বাদ দিয়ে, অন্যান্য বিভাগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ পরিষেবার প্রতিবেদন রয়েছে। এতে ব্যবহৃত আন্তর্জাতিক সংবাদ পরিষেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে রয়টার্স, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), এজেন্স ফ্রান্স প্রেস (এএফপি) ডয়েচে প্রেস-এজেন্টুর (ডিপিএ), সিনহুয়া, বার্নামা, দ্য গার্ডিয়ান, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস । [৪] [২]মাঝে মাঝে বিশ্লেষণ এবং বিশেষ প্রতিবেদন রয়েছে যা বিস্তৃত বিষয়গুলোকে নিয়ে করা হয় যা বেশিরভাগ বিদেশী সংবাদ পরিষেবাগুলো থেকে সংগ্রহ করা হয়। সংবাদপত্রটি ব্রুনাই সরকারের ক্ষোভ এড়াতে বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে স্ব-সেন্সরশিপ অনুশীলন করে।
তবে, সম্পাদককে লেখা চিঠিতে প্রায়ই কিছু সামাজিক, অর্থনৈতিক, এবং পরিবেশগত সমস্যাগুলোর সরকার পরিচালনার সমালোচনামূলক মন্তব্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মাঝে মাঝে সরকার সামাজিক বা পরিবেশগত সমস্যা সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে জনমতের প্রতিক্রিয়া জানায়।[৫]