ব্যাংক অব চায়না টাওয়ার | |
---|---|
中銀大廈 | |
সাধারণ তথ্য | |
অবস্থা | সম্পূর্ণ |
ধরন | বাণিজ্যিক ভবন |
অবস্থান | ১ গার্ডেন রোড সেন্ট্রাল, হংকং |
স্থানাঙ্ক | ২২°১৬′৪৫″ উত্তর ১১৪°০৯′৪১″ পূর্ব / ২২.২৭৯১৭° উত্তর ১১৪.১৬১৩৯° পূর্ব |
নির্মাণকাজের আরম্ভ | ১৮ এপ্রিল ১৯৮৫ |
নির্মাণকাজের সমাপ্তি | ১৯৯০ |
কার্যারম্ভ | ১৭ মে ১৯৯০ |
উচ্চতা | |
স্থাপত্যগত | ৩৬৭.৪ মি (১,২০৫.৪ ফু) |
ছাদ পর্যন্ত | ৩১৫.০ মি (১,০৩৩.৫ ফু) |
শীর্ষ তলা পর্যন্ত | ২৮৮.৩ মি (৯৪৫.৯ ফু) |
কারিগরী বিবরণ | |
তলার সংখ্যা | ৭২ (+৪ ভূগর্ভস্থ ) |
তলার আয়তন | ১,৩৫,০০০ মি২ (১৪,৫০,০০০ ফু২) |
উত্তোলক (লিফট) সংখ্যা | ৪৯ |
নকশা এবং নির্মাণ | |
স্থপতি | আই.এম. পেই এন্ড পার্টনারস্ শেরমান কুং এন্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড, থমাস বোদা এস.এল। |
কাঠামো প্রকৌশলী | লেসলি ই, রবার্টসন অ্যাসোসিয়েটস আর.এল.এল.পি। |
প্রধান ঠিকাদার | এইচ.কে.সি (হোল্ডিং) লি. কুমাগাই এইচ.কে |
তথ্যসূত্র |
ব্যাংক অফ চায়না টাওয়ার (সংক্ষিপ্ত- বিওসি টাওয়ার) সেন্ট্রাল, হংকংয়ের সবচেয়ে সুউচ্চ ভবন গুলোর মধ্যে একটি। ব্যাংক অব চায়না টাওয়ার (হংকং) ভবনটি ১ গার্ডেন রোডে অবস্থিত। টাওয়ারটি ব্যাংক অফ চায়না (হংকং) লিমিটেড সদর দপ্তর।[৫]
ভবনটির নকশা তৈরি করেছেন আই.এম. পেই এবং এল.সি পেই এন্ড পার্টনারস। এটি একটি সুউচ্চ ভবন ভবনটির একপাশের উচ্চতা ৩১৫.০ মি (১,০৩৩.৫ ফু) এবং অন্য পাশের উচ্চতা ৩৬৭.৪ মি (১,২০৫.৪ ফু)।[৫]
এটি হংকংয়ের সবচেয়ে সুউচ্চ ভবন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে প্রথম, ১৯৮৯ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত ব্যাংক অব চায়না টাওয়ার (হংকং) এশিয়ার সবচেয়ে সুউচ্চ ভবন ছিল। এর আগে সুউচ্চ ভবনটি ছিল ৩০৫ মি (১,০০০.৭ ফু)।
বর্তমানে এটি হংকংয়ের চতুর্থ সুউচ্চ ভবন। অন্যান্য ভবনগুলো হচ্ছে, ইন্টারন্যাশনাল কমার্স সেন্টার, ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স সেন্টার এবং সেন্ট্রাল প্লাজা।
৬,৭০০ মিটার (৭২,০০০ বর্গফুট) এলাকটি মুরে হাউসের কাছাকাছি নির্মাণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। নির্মাণ সামগ্রী আনার পর, হংকং সরকার ভবিষ্যত সার্বভৌমত্বের কথা ভেবে ১৯৮২ সালের আগস্ট মাসে "একমাত্র $১ বিলিয়ন" এলাকাটি বিক্রি করে দিয়েছিল।
বিল্ডিংটি চায়না ব্যাংক (হংকং) শাখার জন্য প্রাথমিকভাবে নির্মিত হয়েছিল। ভবনটির উপরের চারটি এবং নিচের ১৯ টি তলা ব্যাংকের জন্য ব্যবহৃত হয়। তারপরে মালিকানাটি বিওসিএইচকে-তে স্থানান্তরিত করা হয় এবং হংকংয়ের কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকের অব্যবহৃত মেঝে গুলো ভাড়া দিয়ে দিয়েছিল।
সরকার স্পষ্টতই চীনা কোম্পানিগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছিল এবং আবারো বিওসিএইচকে-এর মাধ্যমে পক্ষপাতিত্বের জন্য সরকার সমালোচিত হয়েছিল।[৬]
নির্মাণ ভূমিটির পরিমাণ ছিল ৭২,০০০ বর্গফুট, যার জন্য এমটিআর কর্পোরেশন ১.৮ কোটি ডলার মূল্য নির্ধারণ করে চুক্তি করেছিল। বিওসি ৬০ মিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক অর্থ নগত প্রদান করবে, বাকি অর্থ পরবর্তী ১৩ বছরে ৬% সুদ সহ প্রদান করবে।
বিক্রির চুক্তি খারাপভাবে পরিচালিত হবার কারণে এর প্রভাব হ্যাং সেন সূচক এরমধ্যে পরে এবং ৮০ পয়েন্ট কমে যায় এবং পরের দিন এইচকে $ তার মূল্যের ১.৫% হারে কমে গিয়েছিল।[৬]
টাওয়ারটি জাপানি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কুমাগাই গুমি দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। মে ১৯৮৬ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।[৭]
টাওয়ারটি একটি ইস্পাত ফ্রেম দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি নির্মাণে তাপ ও আগুনরোধী উপাদান ব্যবহার করা হয়, এটি মোনোকোট এমকে-৫ নামে পরিচিত একটি পণ্য, এটি অ্যাসবেস্টস যুক্ত ছিল বিধায় বিতর্কের ঝড় উঠে ছিল।[৭] সেই সময়ে হংকংয়ে অ্যাসবেস্টসের ব্যবহার আংশিকভাবে নিষিদ্ধ ছিল।
১৯৮৯ সালে তিয়ানানম্যান চত্বরে বিল্ডিংয়ের নকশা পরিবর্তন ও নির্মাণ নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রতিবাদ করা হয়েছিল। প্রতিবাদ করার দুই সপ্তাহ আগে ২৪ মে ১৯৮৯ সালে একটি প্রেস কনফারেন্সের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেখানে এই ভবনটির "নকশা সহ আসবাবপত্র" প্রদর্শন করার কথা ছিল, কিন্তু বেইজিং এর ছাত্র বিক্ষোভের কারণে এটি বাতিল করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে "দক্ষিণ চীন মর্নিং পোস্ট" এ প্রতিষ্ঠানটি ব্যাখ্যা করেছে যে "এই পরিস্থিতিতে, ব্যাংকটি চীনের সাথে সকল প্রকার প্রচার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"[৮]
৮ আগস্ট ১৯৮৮ সালে মূল প্রকল্পটি সমাপ্ত করার কথা ছিল। তবে, প্রকল্প সমস্যার কারণে, মার্চ ১৯৮৫ সালে প্রায় দুই বছর বিলম্ব হয়েছিল। এটি ১৯৮৯ সালে সমাপ্তির দিকে ছিল এবং ১৫ জুন ১৯৯০ এ পুরোপুরি সমাপ্ত হয়েছিল।[৬]