প্রধান কার্যালয় | জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া |
---|---|
প্রতিষ্ঠিত | ১ জুলাই ১৯৫৩ |
মালিকানা | ইন্দোনেশিয়া সরকার |
গভর্নর | পেরি ওয়ারজিও |
এর কেন্দ্রীয় ব্যাংক | ইন্দোনেশিয়া |
মুদ্রা | ইন্দোনেশিয়ান রুপিয়া এইডিআর (আইএসও ৪২১৭) |
পূর্বসূরি | ডি জাভাশে ব্যাংক (ব্যাংক অব জাভা) |
ওয়েবসাইট | www |
ব্যাংক ইন্দোনেশিয়া (বিআই)(ইংরেজি: Bank Indonesia) হল ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পেরি ওয়ারজিও ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর।[১]
নেদারল্যান্ডের রাজা প্রথম উইলিয়াম ১৮২৬ সালে ইন্ডিজে একটি বেসরকারি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার অধিকার প্রদান করেন যার নাম ছিল ডি জাভাশে ব্যাংক (ব্যাংক অব জাভা )। এটি ১৮২৮ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং পরে ডাচ ইস্ট ইন্ডিজের প্রচলন ব্যাংকে পরিনত হয়েছিল। এটি তখন নেদারল্যান্ডস ইন্ডিজ মুদ্রা গুল্ডেন মুদ্রণ, প্রচলন ও নিয়ন্ত্রণ করত।
১৮৮১ সালে আমস্টারডামে ডি জাভাশে ব্যাংকের একটি শাখা অফিস খোলা হয়। পরবর্তীতে, নিউইয়র্কে আরকেটি শাখা অফিস খোলা হয়। ১৯৩০ সালের মধ্যে ব্যাংকটি ডাচ ইস্ট ইন্ডিজে ষোলটি শাখা অফিসের মালিক হয়: অফিসগুলো ছিলো বান্দুং, সিরেবন, সেমারাং, যোগকার্তা, সুরাকার্তা, সুরাবায়া, মালাং, কেদিরি, বান্দা আচেহ, মেদান, পাদাং, পালেমবাং, বানজারমাসিন, পন্টিয়ানাক, মাকাসার এবং মানাডোতে।
ডি জাভাশে ব্যাংক বেসরকারি ব্যাংক হিসাবে পরিচালিত হত, এজন্য ব্যক্তি এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানও এই ব্যাংকের বিভিন্ন অফিস থেকে ব্যাংকিং সেবা নিতে পারতো।[২]
নেদারল্যান্ডস কর্তৃক ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতার স্বীকৃতির তিন বছর পর, ১৯৫৩ সালের ১ জুলাই ডি জাভাশে ব্যাংক জাতীয়করণের মাধ্যমে ব্যাংক ইন্দোনেশিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়।[৩]
প্রতিষ্ঠার পরবর্তী ১৫ বছরের ব্যাংক ইন্দোনেশিয়া বাণিজ্যিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি দেশের জাতীয় ব্যাংক হিসাবে কাজ করে এবং ইন্দোনেশিয়ান রুপিয়া মুদ্রণ ও জারি করার দায়িত্ব পালন করে রয়েছে। ১৯৬৮ সালের ১৩ নং আইনের মাধ্যমে ব্যাংক ইন্দোনেশিয়াকে জাতীয় ব্যাংক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রূপান্তর করা হয়।
পরবর্তীকালে, ১৯৯৯ সালের ২৩ নং আইন দ্বারা আগের আইনটি প্রতিস্থাপিত হয়। এই আইনের মাধ্যমে ব্যাংক ইন্দোনেশিয়াকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে স্বাধীনতা প্রদান করা হয়। তখন থেকে ব্যাংকটি রাষ্ট্রপতির পরিবর্তে জাতীয় সংসদে (ডিপিআর ) রিপোর্ট করে আসছে এবং ব্যাংকের গভর্নর পদে মন্ত্রিসভার কোনো সদস্য নিয়োগ দেয়া হয় না।
একজন গভর্নর, একজন সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর এবং চার থেকে সাতজন ডেপুটি গভর্নরের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড অব গভর্নরদের নেতৃত্বে ব্যাংকটি পরিচালিত হয়।
গভর্নর এবং ডেপুটি গভর্নররা পাঁচ বছরের মেয়াদে কাজ করেন এবং সর্বোচ্চ দুই মেয়াদের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেতে পারে। গভর্নর এবং সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর ডিপিআর কাউন্সিল থেকে অনুমোদন নিয়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত এবং নিযুক্ত হন। ডেপুটি গভর্নররা গভর্নর কর্তৃক মনোনীত হন এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ডিপিআর-এর অনুমোদন সাপেক্ষে নিযুক্ত হন। রাষ্ট্রপতি বোর্ডের কোনো সদস্যকে বরখাস্ত বা অপসারণ করতে পারে না, যদি না সে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন, স্থায়ীভাবে প্রতিবন্ধী হন বা ফৌজদারি অপরাধে দোষী প্রমাণিত হন। সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর পরবর্তীদের অফিস শূন্যতার ক্ষেত্রে গভর্নর হিসাবে কাজ করেন।
বোর্ড অব গভর্নরস সভা হল ব্যাংকের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ফোরাম। এটি মাসে অন্তত একবার আর্থিক নীতি বিষয়ে সাধারণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এবং সপ্তাহে অন্তত একবার নীতি বাস্তবায়নের মূল্যায়ন বা অন্যান্য কৌশলগত ও নীতিগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংক ইন্দোনেশিয়া আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নীতি প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি জোটের নেতৃস্থানীয় সদস্য। এটি ২০১০ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত আর্থিক অন্তর্ভুক্তি জোটের দ্বিতীয় বার্ষিক বৈশ্বিক পলিসি ফোরাম আয়োজন করে। [১] ২০১২ সালের ১৪ মে ব্যাংক ইন্দোনেশিয়া ঘোষণা করেছে যে এটি মায়া ঘোষণার অধীনে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দেবে।
ব্যাংক ইন্দোনেশিয়ার কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলি হচ্ছে:[২] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ জুন ২০০৮ তারিখে
ব্যাংক ইন্দোনেশিয়ার লক্ষ্য হল আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সমস্ত অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) একীভূত করা। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মন্দিরি ব্যাংক এবং ব্যাংক সেন্ট্রাল এশিয়ার এটিএম (প্রিমা এটিএম) এর মধ্যে আন্তঃসংযোগ চালু করার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। [৪]
ব্যাংকটি ইন্দোনেশিয়া জুড়ে ৩৭টি শাখা অফিস এবং নিউ ইয়র্ক সিটি, লন্ডন, টোকিও, সিঙ্গাপুর এবং বেইজিং-এ পাঁচটি প্রতিনিধি অফিস পরিচালনা করে। এছাড়াও, এটি সুগঠিত একটি জাদুঘরও পরিচালনা করে (মিউজিয়াম ব্যাংক ইন্দোনেশিয়া) যেটি জাকার্তায় (কোটা) সাবেক ডি জাভাশে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ভবনে অবস্থিত।
ইন্দোনেশিয়ার প্রায় সব বড় শহরে ব্যাংক ইন্দোনেশিয়ার শাখা রয়েছে।
নাম | সময়কাল |
সেজাফরুদ্দিন প্রবীরনেগার | ১৯৫৩-১৯৫৮ |
লোকমান হাকিম | ১৯৫৮-১৯৫৯ |
সোটিকেনো স্লামেট | ১৯৫৯-১৯৬০ |
সোয়েমার্নো | ১৯৬০-১৯৬৩ |
জুসুফ মুদা দালাম | ১৯৬৩-১৯৬৬ |
ব্যাসার্ধ প্রভিরো | ১৯৬৬-১৯৭৩ |
রাছমত সালেহ | ১৯৭৩-১৯৮৩ |
আরিফিন সিরেগার | ১৯৮৩-১৯৮৮ |
আদ্রিয়ানাস মুই | ১৯৮৮-১৯৯৩ |
জে. সোয়েদ্রাদজাদ জিওয়ানদোনো | ১৯৯৩-১৯৯৮ |
সাহরিল সাবিরিন | ১৯৯৮-২০০৩ |
বুরহানউদ্দিন আবদুল্লাহ | ২০০৩-২০০৮ |
বোয়েডিওনো | ২০০৮-২০১০ |
ডারমিন ন্যাসুশন | ২০১০-২০১৩ |
আগুস মার্তোয়ারদোজো | ২০১৩-২০১৮ |
পেরি ওয়ারজিও | ২০১৮-বর্তমান |