ব্যাংকার (প্রাচীন)

একজন ব্যাংকার প্রাচীন মেসোপটেমিয়া, প্রাচীন গ্রিস এবং প্রাচীন রোমান যুগে আর্থিক কার্যক্রমে নিযুক্ত ছিলেন। প্রাচীনযুগে আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী ব্যক্তিকে ব্যাংকার বলা হত।

মেসোপটেমিয়া

[সম্পাদনা]

একটি সুত্র অনুসারে, মেসোপটেমিয়ার কিছু পরিবারকে ব্যাংকিং পরিবার হিসাবে ভাবা হলেও এই পরিবারের আর্থিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড ছিল না। কারণ, ওই পরিবারগুলি আমানতের উপর এবং ঋণের জন্য একই রকম চার্জ বা সুদ নিত। ফলে এই কার্যক্রম ব্যাংকিং থেকে আলাদা ছিল। সাধারণ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আমানতের থেকে ঋণের উপর বেশি চার্জ বা সুদ নেয়া হয়। এই দুই সুদের পার্থক্যই ব্যাংকের মুনাফার মূল উৎস। নব্য-ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যের সময়কালে এগিবি হাউস, মুরাশুর হাউজ এবং ই-ইলুটা-বানি পরিবার তিনটি মার্চেন্ট ব্যাংকার হিসাবে পরিচিত ছিল।[] [] []

প্রাচীন গ্রিস

[সম্পাদনা]

প্রাচীন গ্রীক ব্যাংকাররা τραπεζίται (ট্রাপিজিটিই ) বা ট্রাপিজিটেস নামে পরিচিত ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীর দিকে তারা ব্যাংকিং কার্যক্রমে সক্রিয় ছিল। তারা বিভিন্ন ধরনের আর্থিক পরিষেবা প্রদান যেমন-প্রাথমিকভাবে অর্থ-পরিবর্তন, জমাকৃত অর্থের উপর সুদ প্রদান, প্যানব্রোকারিং, নোটারি হিসেবে কাজ করা এবং মূল্যবান জিনিসপত্রের সুরক্ষা প্রদান করতো। [] [] [] [] []

স্বতন্ত্র ব্যাংকার

[সম্পাদনা]

ফিলোস্টেফানোসকে (করিন্থের) প্রাচীন সমাজের প্রথম স্বতন্ত্র ব্যাংকার হিসেবে ভাবা হয়। []

আর্কেস্ট্রাটোস এবং অ্যান্টিসথেনিস পেইরাইউসের একটি ব্যাংকিং ফার্মের অংশীদার ছিলেন। প্যাশন নামক একজন ক্রীতদাসকে তার মেটিক ক্লাস শেষে ওই ফার্মে নিয়োগ দেয়া হয়। পরবর্তীতে, প্যাশন অ্যাথেন্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকার হয়ে ওঠে। প্যাশন ৩৯৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৩৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত ব্যাংকার হিসাবে কাজ করেছিলেন। উত্তরাধিকারসূত্রে তার ব্যবসার ফোর্মিও নামের তার নিজেরই একজন ক্রীতদাস পায়। [১০] [১১] [১২] [১৩] [১৪] [১৫]

প্রাচীন রোম

[সম্পাদনা]

প্রাচীন রোমে ব্যাংকাররা প্রাথমিকভাবে মেনসারি, মেনসুলারী এবং নুমুলারি বাআর্জেনটারি নামে পরিচিত ছিল। তখন ব্যাংকারদের সরকার কর্তৃক নিয়োগ দেয়া হত এবং তারা কর সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করতো। পরবর্তী সময়ে তারা স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়েছিল।[][১৬] [১৭] [১৮]

ক্যালিস্ট্রাটাসের মতে প্রাচীন রোমান আইনে মহিলাদের ব্যাংকার হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা ছিল।[১৯]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. M. Hudson (২০১২)। "The Invention of Enterprise: Entrepreneurship from Ancient Mesopotamia to Modern Times"Entrepreneurs: From the Near Eastern Takeoff to the Roman Collapse। The Kauffman Foundation Series on Innovation and Entrepreneurship। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 18, 19। আইএসবিএন 978-1400833580। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৯-০৮ 
  2. K Rhea Nemet-Nejat (১৯৯৮)। Daily Life in Ancient MesopotamiaGreenwood Publishing Group। পৃষ্ঠা 266আইএসবিএন 9780313294976। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-২৭ 
  3. < Specie > was sourced at The Free Dictionary, specifically Princeton University 2003-2008., Clipart.com, Farlex Inc [Retrieved 2015-09-08]
  4. Piotr Niczyporuk। Mensarii, bankers acting for public and private benefit। Central European Journal of Social Sciences and Humanities 2011। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-৩০ (please see also the same source linked in full here)
  5. Leonhard Schmitz (১৮৭৫)। A Dictionary of Greek and Roman Antiquities (p.130‑132)John Murray। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-৩১ 
  6. Benjamin Geva (২০১১-১১-০১)। The Payment Order of Antiquity and the Middle Ages: A Legal History। Bloomsbury Publishing, Hart Monographs in Transnational and International Law। পৃষ্ঠা 784। আইএসবিএন 9781847318664। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-৩০ 
  7. David Eugene Smith (জুন ১৯৫৮)। History of Mathematics, Volume 2। Courier Corporation। পৃষ্ঠা 736। আইএসবিএন 9780486204307। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৯-০২ 
  8. H. Bolkestein - Economic Life in Greece's Golden Age published by E.J.Brill 1958 [Retrieved 2015-08-31]
  9. SL Budin - The Ancient Greeks: New Perspectives ABC-CLIO, 2004 Retrieved 2012-07-17 আইএসবিএন ১৫৭৬০৭৮১৪০
  10. Edward Cohen (১৯৯৭-০১-২৬)। Athenian Economy and Society: A Banking PerspectivePrinceton University Press। পৃষ্ঠা 312। আইএসবিএন 0691015929। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-৩১ 
  11. David Matz (মার্চ ২০১২)। Voices of Ancient Greece and Rome: Contemporary Accounts of Daily Life। ABC-CLIO, 1 Mar 2012। আইএসবিএন 9780313387388। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-১২ 
  12. A Dictionary of Greek and Roman Antiquities। John Murray। ১৮৯০। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-১৫Perseus of Tufts University-এর মাধ্যমে। 
  13. R Osborne - Greek History Psychology Press, 6 Jul 2004 Retrieved 2012-06-15
  14. W Slatyer - Life/Death Rhythms of Ancient Empires - Climatic Cycles Influence Rule of Dynasties: A Predictable Pattern of Religion, War, Prosperity and Debt Trafford Publishing, 21 May 2012 Retrieved 2012-07-15 আইএসবিএন ১৪৬৬৯২৬৫০৩
  15. T Amemiya - Economy and Economics of Ancient Greece Retrieved 2012-07-15
  16. Smith, William (১৮৫৩)। Dictionary of Greek and Roman Antiquities (ইংরেজি ভাষায়)। C.C. Little and J. Brown। 
  17. J W Gilbart (১৮৩৪)। The history and principles of banking: The laws of the currency, etc। G. Bell, 1866। পৃষ্ঠা 9। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১২ 
  18. D.B. Hollander (২০০৭-০২-২৬)। Money in the Late Roman Republic। Columbia Studies in the Classical Tradition। BRILL। পৃষ্ঠা 55। আইএসবিএন 9789047419129। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৯-০৯ 
  19. N. Benke (২০১২)। "Gender and the Roman Law of Obligations"Obligations in Roman Law: Past, Present, and Future। Volume 33 of Papers And Monographs Of The American Academy In Rome। University of Michigan Press। পৃষ্ঠা 226। আইএসবিএন 978-0472118434। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৯-১০