ব্যাটিং ক্রিকেট খেলায় ব্যবহৃত একটি পরিভাষা। ব্যাটিং কলা-কৌশল একধরনের শিল্প যা ক্রিকেট ব্যাটের সাহায্যে ক্রিকেট বলকে আঘাতের মাধ্যমে রান সংগ্রহ করা হয় অথবা নিজের উইকেট রক্ষার কাজে ব্যবহার করা হয়। একজন খেলোয়াড় যদি বর্তমানে ব্যাটিং অবস্থায় থাকেন, তাহলে তিনি ব্যাটসম্যান হিসেবে চিহ্নিত হবেন। বলকে আঘাত করার কৌশলকে শট বা স্ট্রোক নামে অভিহিত করা হয়। স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান পরিভাষাটি সচরাচর শুধু ব্যাটিংয়ে পারদর্শী খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে তাকে ব্যাটসম্যানরূপে অভিহিত করা হয়ে থাকে। এছাড়াও, ব্যাটিংয়ে অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়াড়কেই ব্যাটার বলা হয়। আগে যা ব্যাটসম্যান বলা হতো। একইভাবে স্পেশালিস্ট বোলার পরিভাষাটি শুধু বোলিংয়ে পারদর্শী খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যদি একজন ব্যাটসম্যান ব্যাটিং এবং বোলিং - উভয় বিভাগেই সমান পারদর্শিতা অর্জন করেন, তাহলে তিনি অল-রাউন্ডারের মর্যাদা পান।
মহিলাদের ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী ব্যাটসম্যানকে ব্যাটসওম্যান পরিভাষা থাকলেও তাকে ব্যাটার নামে অভিহিত করা হয়। কিন্তু ব্যাটার শব্দটি পুরুষ ও নারী উভয় ধরনের ক্রিকেটে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয় সেপ্টেম্বর ২০২১ থেকে। ডন ব্রাডম্যান, সচিন তেন্ডুলকর বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসে শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যানরূপে পরিচিত ব্যক্তিত্ব।
ব্যাটিংকারী দলের প্রত্যেক ব্যাটসম্যানেরই মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে কীভাবে নিরাপদে বোলারের বিরুদ্ধে ব্যাট করে রান সংগ্রহ করা যায়। সেলক্ষ্যে ব্যাটসম্যানকে অবশ্যই বোলারের কৌশল, ফিল্ডারদের অবস্থান, পিচের অবস্থা, নিজের শক্তিমত্তা ও দূর্বলতাসহ বিভিন্ন দিকসম্পর্কে অবহিত হতে হয়। বোলারের বিভিন্নভাবে বল ছোঁড়ার সাথে তাল মিলিয়ে নির্দিষ্ট দিকে বলকে ঠেলে দিয়ে সর্বনিম্ন আউটের ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটসম্যানকে অগ্রসর হতে হয়। এ সফলতা অর্জনে গভীর মনোযোগ ও কলা-কৌশল অবলম্বন করতে হয়। খেলার অবস্থার উপর ব্যাটসম্যানের আগ্রাসী ভূমিকা ও কৌশল নির্ভরশীল। রান রেট ও নিজের উইকেট হারানোর হিসাব-নিকাশ এর সাথে জড়িত। টি২০ ক্রিকেট, টেস্ট ক্রিকেট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট - এ তিনধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ের কৌশল ভিন্নতর হয়ে থাকে।
ব্যাটসম্যানের দাঁড়ানোর উপর পায়ের অবস্থান নির্ভরশীল। এর উপরই তার আউট হওয়া নির্ভর করে। আদর্শভাবে পায়ের অবস্থান হতে হবে আরামপ্রদ, স্বতঃস্ফূর্ত এবং ভারসাম্যপূর্ণ। দুই পায়ের ব্যবধান হবে সমান্তরালে ফাঁক রেখে ৪০ সেন্টিমিটার দূরত্বে।[১] পাশাপাশি সম্মুখের কাঁধ উইকেট বরাবর, মাথা বোলারের দিকে, ওজন সমান ও ভারসাম্য এবং ব্যাট পিছনের পায়ের পাতার কাছে। বল ছোড়া হলে ব্যাটসম্যান তার ব্যাটকে উপরে তুলবেন ও স্ট্রোক মারবেন। প্রয়োজনে নিজস্ব ওজনকে কাজে লাগিয়ে ও পায়ের উপর নির্ভর করে বলের উপর বল প্রয়োগ করে স্ট্রোক মারবেন। এর ফলে তিনি সহজেই বলকে গন্তব্যস্থানে প্রেরণ করতে পারবেন যা বোলারের হাত থেকে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল। সাইড-অন স্ট্যান্স একটি সাধারণ বিষয় হলেও শিবনারায়ণ চন্দরপলের ন্যায় কিছুসংখ্যক আন্তর্জাতিকমানের ব্যাটসম্যান ওপেন অথবা স্কয়ার অন স্ট্যান্স ব্যবহার করে থাকেন।
যতদূর সম্ভব দলীয় রানকে উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ টেস্ট ক্রিকেটে লক্ষ্য করা যায়। এ স্তরের ক্রিকেটে ওভার সংখ্যা সীমাহীন থাকে। ফলে একজন ব্যাটসম্যান রান সংগ্রহের জন্য যথেষ্ট সময় পেয়ে থাকেন। পাঁচদিনব্যাপী টেস্টের প্রতিদিন সাধারণতঃ ৯০ ওভার খেলা হয়। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানদ্বয়রূপে তাদের কলা-কৌশল ও উইকেট রক্ষায় সক্ষমতাকে যাচাইপূর্বক মাঠে নামানো হয়। সকালে শুরু হওয়া ইনিংসের প্রথম ১-২ ঘণ্টা সাধারণতঃ বোলিংয়ের জন্য চমৎকার সময়। পেস ও পিচে বাউন্স তোলা যায় এবং বলকে বাতাসের সাহায্য কাজে লাগানো যায়।
আইসিসি শীর্ষ ১০ টেস্ট ব্যাটসম্যান | ||
---|---|---|
অবস্থান | নাম | রেটিং |
১ | কেন উইলিয়ামসন | ৮৮৩ |
২ | জো রুট | ৮৫৯ |
৩ | স্টিভ স্মিথ | ৮৪২ |
৪ | বাবর আজম | ৮২৯ |
৫ | মারনাস লাবুশেন | ৮২৬ |
৬ | ট্রাভিস হেড | ৮১৮ |
৭ | উসমান খাজা | ৭৯৬ |
৮ | ড্যারিল মিচেল | ৭৯২ |
৯ | হ্যারি ব্রুক | ৭৭৩ |
১০ | রোহিত শর্মা | ৭৫৯ |
তথ্যসূত্র: আইসিসি প্লেয়ার র্যাঙ্কিংস ৩১ জুলাই, ২০২৩ |
আইসিসি শীর্ষ ১০ ওডিআই ব্যাটসম্যান | |||
---|---|---|---|
অবস্থান | খেলোয়াড়ের নাম | দলের নাম | রেটিং |
১ | বাবর আজম | পাকিস্তান | ৮৬৫ |
২ | বিরাট কোহলি | ভারত | ৮৫৭ |
৩ | রোহিত শর্মা | ভারত | ৮২৫ |
৪ | রস টেলর | নিউজিল্যান্ড | ৮০১ |
৫ | অ্যারন ফিঞ্চ | অস্ট্রেলিয়া | ৭৯১ |
৬ | জনি বেয়ারস্টো | ইংল্যান্ড | ৭৮৫ |
৭ | ফখর জামান | পাকিস্তান | ৭৭৮ |
ফাফ দু প্লেসিস | দক্ষিণ আফ্রিকা | ৭৭৮ | |
৯ | ডেভিড ওয়ার্নার | অস্ট্রেলিয়া | ৭৭৩ |
শাই হোপ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ৭৭৩ | |
তথ্যসূত্র: রিলায়েন্স-আইসিসি র্যাঙ্কিংস, ইএসপিএন ৭ এপ্রিল, ২০২১ |
আইসিসি শীর্ষ-১০ টি২০আই ব্যাটসম্যান | ||||
---|---|---|---|---|
অবস্থান | পরিবর্তন | খেলোয়াড়ের নাম | দলের নাম | রেটিং |
১ | দাউদ মালান | ইংল্যান্ড | ৮৯২ | |
২ | অ্যারন ফিঞ্চ | অস্ট্রেলিয়া | ৮৩০ | |
৩ | বাবর আজম | পাকিস্তান | ৮২৮ | |
৪ | ডেভন কনওয়ে | নিউজিল্যান্ড | ৭৭৪ | |
৫ | বিরাট কোহলি | ভারত | ৭৬২ | |
৬ | রাসি ফন ডার ডাসেন | দক্ষিণ আফ্রিকা | ৭৫৬ | |
৭ | লোকেশ রাহুল | ভারত | ৭৪৩ | |
৮ | গ্লেন ম্যাক্সওয়েল | অস্ট্রেলিয়া | ৬৯৪ | |
৯ | মার্টিন গাপটিল | নিউজিল্যান্ড | ৬৮৮ | |
১০ | মোহাম্মাদ রিজওয়ান | পাকিস্তান | ৬৪০ | |
তথ্যসূত্র: আইসিসি প্লেয়ার র্যাঙ্কিংস, ২৫ এপ্রিল, ২০২১ |
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |