ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ব্যারি অ্যান্ডারসন রিচার্ডস | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ডারবান, নাটাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ২১ জুলাই ১৯৪৫||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৩৪) | ২২ জানুয়ারি ১৯৭০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৫ মার্চ ১৯৭০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৪-১৯৮৩ | নাটাল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৮-১৯৭৮ | হ্যাম্পশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭০-১৯৭১ | সাউথ অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৫ | গ্লুচেস্টারশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ |
ব্যারি অ্যান্ডারসন রিচার্ডস (ইংরেজি: Barry Richards; জন্ম: ২১ জুলাই, ১৯৪৫) নাটাল প্রদেশের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ব্যারি রিচার্ডস দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। তাকে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সফলতম ক্রিকেটার হিসেবে মনে করা হয়।[১][২]
ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ার, হ্যাম্পশায়ার; অস্ট্রেলিয়ায় সাউথ অস্ট্রেলিয়া; ঘরোয়া ক্রিকেটে নাটাল ও ট্রান্সভালসহ বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।
সীমিত পর্যায়ে অংশগ্রহণের ক্ষেত্র থাকায় ১৯৬৪ থেকে ১৯৮৩ মেয়াদকালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে মনোনিবেশ করেন রিচার্ডস। এসময়ে তিনি ২৮,৩৫৮ রান তোলেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৫৬ রানসহ ৮০ সেঞ্চুরির অধিকারী হন তিনি। এছাড়াও, একদিনের ক্রিকেটে ১৬ সেঞ্চুরিসহ ৮,৫০৬ পান।
হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে অনেকগুলো বছর কাউন্টি ক্রিকেট খেলেন। প্রথম মৌসুমেই তিনি ২,৩৯৫ রান পান যা দেশের যে-কোন খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি। ১৯৬৮ সালের পূর্ব-পর্যন্ত হ্যাম্পশায়ার দল নিচেরসারির দিকে চলে যেতে থাকে। ঐ বছর ব্যারি রিচার্ডস দলে যোগ দেন। এ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়নশীপের দশম স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে চলে আসে ক্লাব দলটি। ১৯৭০ সাল থেকে কাউন্টি ক্রিকেটে গর্ডন গ্রীনিজের সাথে অন্যতম সফল উদ্বোধনী জুটির অংশীদারত্বের সাথে সম্পৃক্ত হন।
১৯৭০-৭১ মৌসুমে বহিরাগত খেলোয়াড় হিসেবে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলেন। তন্মধ্যে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ডেনিস লিলি, গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জি, টনি লক ও টনি মানের ন্যায় বোলিং আক্রমণ রুখে দিয়ে একদিনেই ৩২৫ রান তোলেন।[৩] ঐ মৌসুমে ১০ খেলায় তিনি ১০৯.৮৬ গড়ে ১,৫৩৮ রান তোলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি কেবলমাত্র চারটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। সবগুলো টেস্টই অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে। সিরিজে তিনি ৭২.৫৭ গড়ে ৫০৮ রান সংগ্রহ করেন। বিল লরি'র নেতৃত্বাধীন দলটির বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। তন্মধ্যে ১৪০ রানের সেঞ্চুরিও ছিল তার। গ্রেইম পোলকের (২৭৪) সাথে ১০৩ রানের জুটি স্মরণীয় হয়ে থাকে।[১][৪] এর পরপরই ১৯৭০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আন্তর্জাতিকভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়।
১৯৮৪ সালে ক্রিকেট জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর সাউথ আফ্রিকান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনসহ দক্ষিণ আফ্রিকার এমনেট সুপারস্পোর্টের সাথে বেশ কয়েক মৌসুমে ধারাভাষ্যকাররূপে কর্মরত থাকেন। এছাড়াও তিনি যুক্তরাজ্যে টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল, চ্যানেল ফোর ও ফাইভে ধারাভাষ্যকার ছিলেন।
১৯৬৮ সালে রিচার্ডসকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। ১৯৬৯ সালে উইজডেন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাকে বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত করা হয়। এ প্রসঙ্গে তাকে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রতিভাবান ক্রিকেটার হিসেবে বর্ণনা করা হয়।[১][২]
১৯৭০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গন থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বহিষ্কারের ফলেই তার খেলোয়াড়ী জীবনের অকাল সমাপ্তি ঘটেছিল।[৫] সবচেয়ে কম ৪ টেস্ট খেললেও আইসিসি’র শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে ফিকা’র সহায়তায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ দুবাইয়ে ২ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে প্রণীত আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমের ৫৫জনের তালিকায় তাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বিখ্যাত আম্পায়ার ডিকি বার্ডের দেখা স্বপ্নের দলের অন্যতম সদস্য হন। এছাড়াও স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের বিংশ শতকের দলের সদস্যসহ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে মনোনীত হন।