![]() ১৯৬৪ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ব্যাসিল ডি’অলিভেইরা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ব্যাসিল লুইজ ডি’অলিভেইরা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কেপ টাউন, কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ৪ অক্টোবর ১৯৩১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৯ নভেম্বর ২০১১ ওরচেস্টার, ওরচেস্টারশায়ার, ইংল্যান্ড | (বয়স ৮০)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ডলি, ব্যাস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ড্যামিয়ান ডি’অলিভেইরা (পুত্র), ইভান ডি’অলিভেইরা (ভ্রাতা), ব্রেট ডি’অলিভেইরা (নাতি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৩২) | ১৬ জুন ১৯৬৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১০ আগস্ট ১৯৭২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৩) | ৫ জানুয়ারি ১৯৭১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৮ আগস্ট ১৯৭২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬০ - ১৯৬৩ | মিডলটন সি.সি. | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৪ - ১৯৮০ | ওরচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২ এপ্রিল ২০১৭ |
ব্যাসিল লুইজ ডি’অলিভেইরা, সিবিই (ইংরেজি: Basil D'Oliveira; জন্ম: ৪ অক্টোবর, ১৯৩১ - মৃত্যু: ১৯ নভেম্বর, ২০১১) কেপটাউনের সিগন্যাল হিলে জন্মগ্রহণকারী ও দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[১] আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে ‘ডলি’ ডাকনামে পরিচিত ছিলেন ব্যাসিল ডি’অলিভেইরা।[২] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে ইংল্যান্ড দলের সদস্য থাকাকালে মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে ভূমিকা রাখেন। কাউন্টি ক্রিকেটে ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্যবাদ চলাকালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখা হয় তাকে। এরফলে ইংল্যান্ডে অভিবাসিত হতে বাধ্য হন তিনি। অসম্ভব ক্রীড়া প্রতিভা থাকা স্বত্ত্বেও ১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ড দলের পূর্ব-নির্ধারিত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ডি’অলিভেইরা কেলেঙ্কারী’র কারণে তিনি বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে অধিক পরিচিতি পেয়েছেন।[৩]
কেপটাউনের সিগন্যাল হিল এলাকায় ভারতীয়-পর্তুগীজ বংশোদ্ভূত ধর্মপরায়ণ রোমান ক্যাথলিক পরিবারের সন্তান তিনি।[৪][৫] শৈশবেই কেপ টাউনের নিউল্যান্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের দিকে তার নজর ছিল। এ সময় গাছের মগডালে বসে ক্রিকেট খেলা উপভোগ করতেন তিনি।[৬] দক্ষিণ আফ্রিকার অ-শ্বেতাঙ্গ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব করেন। এছাড়াও অ-শ্বেতাঙ্গ জাতীয় দলের পক্ষে ফুটবল খেলায়ও অংশ নেন তিনি।[৭]
১৯৬০ সালে কেপটাউনের সেন্ট অগাস্টিন’স ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য ও সমর্থক জন আরলটের সহযোগিতায় ইংল্যান্ডে অভিবাসিত হন তিনি। সেখানে ক্রীড়া সাংবাদিক জন কে তাকে তার সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে অংশগ্রহণকারী মিডলটন দলে খেলার সুযোগ করে দেন।[১] ইংল্যান্ডে তিনি লক্ষ্য করলেন যে, শ্বেতাঙ্গরা তাকে রেস্তোঁরায় রেখে বাড়ীতে দাসোচিত কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।[৮] ব্রিটিশ নাগরিকত্ব লাভের পর ১৯৬৪ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে ওরচেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে যোগ দেন ডি’অলিভেইরা।[৯]
১৯৬৬ সালে অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলার জন্য ইংল্যান্ড দলের সদস্য মনোনীত হন। সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। খেলায় তিনি ২৭ রান করে রান আউটের শিকার হন। এছাড়াও উভয় ইনিংসে তিনি ১/২৪ ও ১/৪৬ লাভ করেন। তৃতীয় টেস্টে তিনি ৭৬ ও ৫৪ রানসহ ২/৫১ ও ২/৭৭ পান। তা স্বত্ত্বেও ট্রেন্ট ব্রিজের ঐ টেস্টে সফরকারীরা ১৩৯ রানে জয় পায়। হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত ৪র্থ টেস্টে ৮৮ রান করলেও ইংল্যান্ড দল ইনিংস ও ৫৫ রানে পরাজিত হয়। চূড়ান্ত টেস্টে তিনি আরও কার্যকর ভূমিকা রাখেন। এরফলে ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ায় ও ইনিংস ও ৩৪ রানে জয়লাভ করলেও ৩-১ ব্যবধানে সিরিজে পরাজিত হয়।
ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ১ম টেস্টে তিনি ১০৯ রান করেন। ঐ টেস্টে ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়সহ সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের উভয় ইনিংসে অর্ধ-শতক লাভ করেন। ঐ সিরিজে ইংল্যান্ড ২-০ ব্যবধানে জয়ী হয়।[১০]
১৯৬৮ সালের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যান। কিন্তু পাঁচ টেস্টের ঐ সিরিজে তিনি ২৭.৪০ গড়ে মাত্র ১৩৭ রান ও মাত্র ৩ উইকেট দখল করেন। তবে, ওভারপিছু তিনি বেশ কম রান দেন। ইংল্যান্ডে ফিরে পাঁচ টেস্টের অ্যাশেজ সিরিজে অংশ নেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া দল প্রথম টেস্টে মাত্র ১৫৯ রানে ইনিংস গুটিয়ে দেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ডি’অলিভেইরা দলের পক্ষে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৭* রান করেন। তা স্বত্ত্বেও তাঁকে পরবর্তী ৩ টেস্টে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখা হয়। অতঃপর দল নির্বাচকমণ্ডলী তাঁকে ওভালে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত টেস্টে অন্তর্ভুক্ত করে। প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রান তোলার ফলে ১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবার জন্য মনোনীত হন।[১] কিন্তু নিজ মাতৃভূমির বিপক্ষে তাঁর বোলিং তেমন সুবিধাজনক হবে না বিবেচনায় এনে তাঁকে দলের বাইরে রাখা হয়। জুন, ১৯৬৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন টেস্ট সিরিজ খেলার জন্য তাঁকে দলে রাখা হয়।
এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-টেস্টের সিরিজ ও অস্ট্রেলিয়ার সফরে ৭-টেস্টের অ্যাশেজ খেলেন। অ্যাশেজে তিনি ৩৬.৯০ গড়ে ৩৬৯ রান তোলেন। তন্মধ্যে, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ৫ম টেস্টে ১১৭ রানের মনোরম সেঞ্চুরি করেন। নিউজিল্যান্ড সফরে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে দুই টেস্টে খেলার জন্য মনোনীত হন। প্রথম টেস্টে ১০০ ও পরের টেস্টে ৫৮ ও ৫ রান করেন। ১৯৭১ সালে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৬০.২৫ গড়ে ২৪১ রান করেন। তবে, ভারতের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজে তেমন সুবিধা করতে পারেননি ডি’অলিভেইরা। কিন্তু, জুন, ১৯৭২ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে বেশ ভাল অবস্থানে ছিলেন।
লো ব্যাকলিফট ও শক্তিশালী স্ট্রোক আদায় করে সফলতম ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পান।[১] এছাড়াও তিনি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলোয়াড়ী মনোভাবের কারণে পরিচিতি পেয়েছেন। ১৯৭০-৭১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে ২-০ ব্যবধানে জয়ের পর স্বাক্ষাৎপ্রার্থী প্রত্যেক অস্ট্রেলীয়র বুকে তর্জনী রেখে বলেছিলেন ‘আমরা তোমাদের দেখে নিয়েছি’।[১১]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি ৪১ টেস্টে অংশ নেন। ৪০.০৬ গড়ে ২,৪৮৪ রান তোলেন। তন্মধ্যে ৫ শতক ও ১৫ অর্ধ-শতক লাভ করেন। এছাড়াও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তিনি ৩৯.৫৫ গড়ে ৪৭ উইকেট তুলেন নেন।
১৯৬৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট কর্মকর্তাগণ উপলব্ধি করলেন যে, সফরকারী ইংল্যান্ড দলে ডি’অলিভেইরার অন্তর্ভুক্তিতে সফর বাতিল হতে পারে ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বহিষ্কার করা হবে। এমসিসি’র শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের চাপে তাঁকে দলে না রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরফলে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ক্রিকেট সম্পর্ক বজায় থাকবে। এরপূর্বেই ওয়ারউইকশায়ারের টম কার্টরাইট আঘাত পেলে ডি’অলিভেইরাকে দলে ডাকা হয়।[১]
দক্ষিণ আফ্রিকান প্রধানমন্ত্রী বি. জে. ভরস্টার জানিয়েছেন যে, ডি’অলিভেইরা’র অন্তর্ভুক্ত গ্রহণযোগ্য নয়। অনেক আলাপ-আলোচনা স্বত্ত্বেও সফরটি পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়। স্পষ্টতঃই দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়।[১২] ডি’অলিভেইরা কেলেঙ্কারীর ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে গুরুতর প্রভাব ফেলে। এর প্রভাব দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়া এমনকি সমাজেও প্রভাব ফেলে।
১৯৬৭ সালে তিনি উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন।[১৩] দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে না খেলেও ২০০০ সালে তাঁকে শতাব্দীর সেরা ১০ দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারের একজন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[১৪] ২০০৪ সালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টেস্ট সিরিজে স্মারকসূচক ট্রফি প্রদান করা হয় ও এর নামকরণ করা হয় ব্যাসিল ডি’অলিভেইরা ট্রফি। ২০০৫ সালে রাণীর জন্মদিনের সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁকে সিবিই পদবীতে ভূষিত করা হয়।[১৫] একই বছর তাঁর সম্মানার্থে ওরচেস্টারের নিউ রোডে একটি স্ট্যান্ড স্থাপন করা হয়।
খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নিয়ে ১৯৮০ সালে ‘টাইম টু ডিক্লেয়ার’ শিরোনামে বিবিসি’র ক্রীড়া সাংবাদিক প্যাট মার্ফি’র সাথে যৌথভাবে আত্মজীবনী লেখেন। গ্রন্থে তিনি প্রথমবারের মতো বিবৃত করেন যে, ‘১৯৭০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বাদ দেয়ায় তিনি সন্তুষ্টি লাভ করেছিলেন। সফর পরিচালিত হলে ব্যাপক জনরোষে বেশ ক্ষয়-ক্ষতি হতো।’[৬] ২০০৪ সালে পিটার অবর্ন নামীয় এক সাংবাদিক ‘ব্যাসিল ডি’অলিভেইরা: ক্রিকেট অ্যান্ড কন্সপাইরেসি’ শিরোনামে জীবনী গ্রন্থ লেখেন। ঐ গ্রন্থটি বর্ষসেরা উইলিয়াম হিল স্পোর্টস বুক পুরস্কার লাভ করে।[১৬]
‘নাওমি’ নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন তিনি। ঐ দম্পতির সন্তান ড্যামিয়ান ডি’অলিভেইরা ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন। তার ছোট ভাই ইভান সংক্ষিপ্তকালের জন্য লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেছেন।[৭] তার নাতি ব্রেট ডি’অলিভেইরা বর্তমানে ওরচেস্টারশায়ারের সাথে চুক্তিবদ্ধ ও ২০১১ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে অভিষিক্ত হয়।
শেষ জীবনে দূরারোগ্য পার্কিনসন্স রোগে আক্রান্ত হন ডি’অলিভেইরা।[১৭] ১৯ নভেম্বর, ২০১১ তারিখে ৮০ বছর বয়সে ইংল্যান্ডে তার দেহাবসান ঘটে।[১৮][১৯][২০] দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় পরিকল্পনাবিষয়ক মন্ত্রী|ট্রেভর ম্যানুয়েল তার শবযাত্রার বিষয়ে টাইম সাময়িকীর ২০১১ সালের শেষ সংখ্যায় প্রবন্ধ লেখেন। ঐ প্রবন্ধে ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসেবে ব্যক্তিগত সাফল্যসহ দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়া ও সমাজে তার ব্যক্তিগত প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়।[২১]