ব্রায়ান হজসন | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৩ মে ১৮৯৪ | (বয়স ৯৪)
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | পক্ষীবিজ্ঞান প্রাকৃতিক ইতিহাস প্রাণিবিজ্ঞান |
ব্রায়ান হাটন হজসন (জন্ম: ফেব্রুয়ারি ১, ১৮০০ (মতান্তরে ১৮০১)[১] – মৃত্যু: মে ২৩, ১৮৯৪[২]) একজন ব্রিটিশ পক্ষীবিদ, প্রাণীবিদ এবং প্রকৃতিবিদ। তার প্রধান কর্মক্ষেত্র ছিল ব্রিটিশ ভারত ও নেপালে। এসব অঞ্চলে তিনি ব্রিটিশ সরকারের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি প্রথমবারের মত হিমালয় অঞ্চলের অসংখ্য পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর বিবরণ দেন। তার নামে কয়েক প্রজাতির পাখির নামকরণ করা হয়েছে। এসব নামের অধিকাংশই অ্যাডওয়ার্ড ব্লাইদের দেওয়া। এছাড়া তিব্বতি বৌদ্ধ মতবাদ নিয়ে গভীর গবেষণা করেন। ভাষাবিজ্ঞান ও ধর্মতত্ত্বের মত আরও অনেক বিচিত্র বিষয়েও তার রচনার সন্ধান পাওয়া যায়। তিনি ভারতীয় বিদ্যালয়সমূহের শিক্ষাপদ্ধতি ইংলিশে করার ব্যাপক বিরোধিতা করেন।
হজসন নেপাল, সিকিম ও বাংলা থেকে প্রচুর প্রাকৃতিক ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত জীববৈজ্ঞানিক নমুনা সংগ্রহ করেন। তার সংগ্রহকৃত পাখির নমুনা ও বিভিন্ন প্রাণীর চামড়া তিনি পরে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে দান করে দেন। তিনি তিব্বতি অ্যান্টিলোপ নামে সম্পূর্ণ নতুন এক প্রজাতির অ্যান্টিলোপ আবিষ্কার করেন। তার নামানুসারে প্রাণীটির নাম রাখা হয় Pantholops hodgsonii। এছাড়া তিনি আরও ৩৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী ও ১২৪ প্রজাতির পাখির বর্ণনা দেন যেগুলো কেউ আগে কখনও বর্ণনা করেনি। ব্রিটিশ মিউজিয়ামে হজসন ১৮৪৩ থেকে ১৮৫৮ সালের মধ্যে প্রায় ১০,৪৯৯টি জীববৈজ্ঞানিক নমুনা দান করেন। তার দান করা জিনিসপত্রের মধ্যে ছিল স্থানীয় আঁকিয়েদের অঙ্কিত বিপুল পরিমাণে ভারতীয় জীবজন্তুর রঙিন ছবি আর স্কেচ। পরবর্তীতে এসকল নমুনার সিংহভাগ জ্যুলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডনে স্থানান্তরিত হয়।[৩]
তার অবদান ও কর্মকাণ্ড যথাযথ স্বীকৃতি পায়। রয়েল এশিয়াটিক সোসাইটি এবং লন্ডনের লিনিয়ান সোসাইটি তাকে সদস্য নির্বাচিত করে। জ্যুলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডন তাকে প্রশংসাপত্র প্রদান করে।
পক্ষীবিদ বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |