ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ব্রায়ান ফ্রেডরিক হ্যাস্টিংস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | আইল্যান্ড বে, নিউজিল্যান্ড | ২৩ মার্চ ১৯৪০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ-ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, রেফারি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১১৬) | ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৪ জানুয়ারি ১৯৭৬ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৭) | ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৮ জুন ১৯৭৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৭–১৯৫৮ | ওয়েলিংটন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬০–১৯৬১ | সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬১–১৯৭৭ | ক্যান্টারবারি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২০ জানুয়ারি ২০১৮ |
ব্রায়ান ফ্রেডরিক হ্যাস্টিংস (ইংরেজি: Brian Hastings; জন্ম: ২৩ মার্চ, ১৯৪০) ওয়েলিংটনের আইল্যান্ড বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম শক্তিধর সদস্য ছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ওয়েলিংটন, সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস ও ক্যান্টারবারির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন ব্রায়ান হ্যাস্টিংস।
শক্তিধর ক্রীড়াশৈলীর অধিকারী ব্রায়ান হ্যাস্টিংস বলকে সঠিকভাবে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে মোকাবেলা করতেন। খুবই দ্রুততার সাথে কাট কিংবা হুক, লেগের দিকের ফাস্ট মিডিয়াম বলগুলোকে অবলীলাক্রমে ক্লিপ করতে পারতেন। গালি অঞ্চলে ফিল্ডিংয়ে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ১৭ বছর বয়সে ওয়েলিংটনের পক্ষে খেলতে শুরু করেন।
মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন তিনি। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৬ সময়কালে নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষে ৩১ টেস্ট ও ১১টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন ব্রায়ান হ্যাস্টিংস। ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের নিয়মিত সদস্যরূপে ৪নং অবস্থানে ব্যাটিংয়ে নামতেন। তবে তার সক্ষমতার বিষয়টি দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বেশ সময় নেয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেয়ার প্রায় ১১ বছর পর নিউজিল্যান্ড দলে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি।
২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ তারিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে ব্রায়ান হ্যাস্টিংসের। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। ১৯৬৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল নিউজিল্যান্ড সফরে আসে। ক্রাইস্টচার্চের ল্যাঙ্কাস্টার পার্কে অনুষ্ঠিত নিজস্ব তৃতীয় টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ১১৭ রানের ইনিংস উপহার দেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়।
স্থিরতার মূর্তিময় পরিচায়ক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ দিয়েছেন ব্রায়ান হ্যাস্টিংস। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে ১১০ রান তুলে নিজস্ব তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করেন। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে শেষ উইকেট জুটিতে রিচার্ড কলিঞ্জের সাথে ১৫১ রানের জুটি গড়েন।[১] তবে টেস্টটি ড্রয়ের দিকে গড়ায়।
১৯৭৫ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে গ্লেন টার্নারের নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন।[২] ঐ প্রতিযোগিতায় তার দল সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পেরেছিল।
খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে ছিলেন।