ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ব্রুনো মিগুয়েল বোর্গেস ফের্নান্দেস[১] | ||
জন্ম | [২] | ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪||
জন্ম স্থান | মাইয়া, পর্তুগাল | ||
উচ্চতা | ১.৭৯ মিটার (৫ ফুট ১০+১⁄২ ইঞ্চি)[২] | ||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ||
জার্সি নম্বর | ১৮ | ||
যুব পর্যায় | |||
২০০২–২০০৪ | ইনফেস্তা | ||
২০০৪–২০১২ | বোয়াভিস্তা | ||
২০০৫–২০১০ | → পাস্তেলেইরা (ধার) | ||
২০১২–২০১৩ | নোভারা | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০১২–২০১৩ | নোভারা | ২৩ | (৪) |
২০১৩–২০১৬ | উদিনেসে | ৮৬ | (১০) |
২০১৬–২০১৭ | সাম্পদোরিয়া | ৩৩ | (৫) |
২০১৭–২০২০ | স্পোর্চিং সিপি | ৮৩ | (৩৯) |
২০২০– | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ৫৪ | (২৯) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০১২ | পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৯ | ২ | (০) |
২০১৪ | পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-২০ | ৫ | (১) |
২০১৪–২০১৭ | পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-২১ | ১৭ | (৬) |
২০১৬ | পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-২৩ | ৪ | (০) |
২০১৭– | পর্তুগাল | ৩৩ | (৪) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৬:১৫, ৮ মার্চ ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৬:১৫, ৮ মার্চ ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
ব্রুনো মিগুয়েল বোর্গেস ফের্নান্দেস (পর্তুগিজ: Bruno Fernandes, ইউরোপীয় পর্তুগিজ: [ˈbɾunu fɨɾˈnɐ̃dɨʃ][টীকা ১]; জন্ম: ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪; ব্রুনো ফের্নান্দেস নামে সুপরিচিত) হলেন একজন পর্তুগিজ পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং পর্তুগাল জাতীয় দলের হয়ে একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত একজন আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় এবং দ্বিতীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলে থাকেন।
২০০২–০৩ মৌসুমে, পর্তুগিজ ফুটবল ক্লাব ইনফেস্তার যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে ফের্নান্দেস ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং পরবর্তীকালে বোয়াভিস্তা, পাস্তেলেইরা এবং নোভারার যুব দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০১২–১৩ মৌসুমে, পর্তুগিজ ক্লাব নোভারার মূল দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন, যেখানে তিনি মাত্র ১ মৌসুম অতিবাহিত করেছেন; নোভারার হয়ে তিনি ২৩ ম্যাচে ৪টি গোল করেছেন। ২০১৩–১৪ মৌসুমে তিনি ইতালীয় ক্লাব উদিনেসেতে যোগদান করেন। উদিনেসেতে ৩ মৌসুম অতিবাহিত করার পর ৬ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে সাম্পদোরিয়ার সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন,[৩] যেখানে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় ৩৫ ম্যাচে ৫টি গোল করেছেন। অতঃপর ২০১৭–১৮ মৌসুমে তিনি ৮.৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে স্বদেশী ক্লাব স্পোর্টিং সিপি যোগদান করেছেন,[৪] স্পোর্চিং সিপির হয়ে তিনি মার্সেল কেইজেরের অধীনে একই মৌসুমে তাসা দে পর্তুগাল এবং তাসা দা লিগার শিরোপা জয়লাভ করেছেন। ২০১৯–২০ মৌসুমে, তিনি প্রায় ৬৮ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে স্পোর্চিং সিপি হতে ইংরেজ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদান করেছেন।[৫][৬]
২০১২ সালে, ফের্নান্দেস পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে পর্তুগালের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় ৫ বছর যাবত পর্তুগালের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০১৭ সালে পর্তুগালের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; পর্তুগালের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ৩৩ ম্যাচে ৪টি গোল করেছেন। তিনি পর্তুগালের হয়ে এপর্যন্ত ১টি ফিফা বিশ্বকাপে (২০১৮) অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগতভাবে, ফের্নান্দেস বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে টানা ২ মৌসুম প্রিমেইরা লিগার মৌসুম সেরা খেলোয়াড় এবং স্পোর্চিং সিপির বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জয় অন্যতম। দলগতভাবে, ফের্নান্দেস এপর্যন্ত ৪টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ৩টি স্পোর্চিং সিপির হয়ে এবং ১টি পর্তুগালের হয়ে জয়লাভ করেছেন।
ব্রুনো মিগুয়েল বোর্গেস ফের্নান্দেস ১৯৯৪ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর তারিখে পর্তুগালের মাইয়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন। তার বাবার নাম মাউরিয়ো ফের্নান্দেস এবং তার মাতার নাম সান্দ্রা কাসিয়া।
ফের্নান্দেস পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৯, পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-২০, পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-২১ এবং পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে পর্তুগালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১২ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর তারিখে পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন। পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে তিনি ২০১৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেছেন, তবে তার দল উক্ত প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র কোয়ার্টার-ফাইনাল পর্যন্ত অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছিল; উক্ত প্রতিযোগিতায় তিনি ৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে ২০১৫ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছেন। পর্তুগালের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি প্রায় ৫ বছরে ২৮ ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ৭টি গোল করেছেন।
২০১৭ সালের ১০শে নভেম্বর তারিখে, মাত্র ২৩ বছর ২ মাস ২ দিন বয়সে, ডান পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী ফের্নান্দেস সৌদি আরবের বিরুদ্ধে এক প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে পর্তুগালের হয়ে অভিষেক করেছেন। উক্ত ম্যাচের ৫৬তম মিনিটে মধ্যমাঠের খেলোয়াড় মানুয়েল ফার্নান্দেজের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মাঠে প্রবেশ করেন; ম্যাচে তিনি ৮ নম্বর জার্সি পরিধান করে একজন আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। ম্যাচটি পর্তুগাল ৩–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।[৭] পর্তুগালের হয়ে অভিষেকের বছরে ফের্নান্দেস সর্বমোট ২ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। ৪ দিন পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ম্যাচে পর্তুগালের একমাত্র গোলটিতে অ্যাসিস্ট করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম অ্যাসিস্টটি করেন।[৮] জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের ৭ মাস ২৭ দিন পর, পর্তুগালের জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেন; ২০১৮ সালের ৭ই জুন তারিখে, আলজেরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি করেন।[৯][১০][১১][১২]
ফের্নান্দেস রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ফের্নান্দো সান্তোসের অধীনে ঘোষিত পর্তুগাল দলে স্থান পাওয়ার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান।[১৩] ২০১৮ সালের ১৫ই জুন তারিখে, তিনি স্পেনের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে ফিফা বিশ্বকাপে অভিষেক করেছেন।[১৪] উক্ত বিশ্বকাপে তিনি ২ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
২০১৫ সালের ২৩শে ডিসেম্বর তারিখে, ফের্নান্দেস আনা পিনিয়োর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাদের উভয়ের মাতিলদে (২০১৫ সালে জন্মগ্রহণ) এবং গন্সালো (২০২০ সালে জন্মগ্রহণ) নামে দুইটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
দল | সাল | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
পর্তুগাল | ২০১৭ | ২ | ০ |
২০১৮ | ৯ | ১ | |
২০১৯ | ৮ | ১ | |
২০২০ | ৬ | ০ | |
২০২১ | ৮ | ২ | |
সর্বমোট | ৩৩ | ৪ |
গোল | তারিখ | মাঠ | প্রতিপক্ষ | স্কোর | ফলাফল | প্রতিযোগিতা | সূত্র |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ৭ জুন ২০১৮ | এস্তাদিও দা লুজ, লিসবন, পর্তুগাল | আলজেরিয়া | ২–০ | ৩–০ | প্রীতি ম্যাচ | [১১] |
২ | ১৭ নভেম্বর ২০১৯ | জসি বার্থেল স্টেডিয়াম, লুক্সেমবুর্গ সিটি, লুক্সেমবুর্গ | লুক্সেমবুর্গ | ১–০ | ২–০ | উয়েফা ইউরো ২০২০ বাছাইপর্ব | [১৫] |
৩ | ৯ জুন ২০২১ | হোসে আলভালাদে স্টেডিয়াম, লিসবন, পর্তুগাল | ইসরায়েল | ১–০ | ৪–০ | প্রীতি ম্যাচ | [১৬][১৭][১৮] |
৪ | ৪–০ |