ব্রেন্ডন জুলিয়ান

ব্রেন্ডন জুলিয়ান
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ব্রেন্ডন পল জুলিয়ান
জন্ম (1970-08-10) ১০ আগস্ট ১৯৭০ (বয়স ৫৪)
হ্যামিল্টন, নিউজিল্যান্ড
ডাকনামবিজে
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৫৭)
৩ জুন ১৯৯৩ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৮ ডিসেম্বর ১৯৯৫ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই অভিষেক২৩ মে ১৯৯৩ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ ওডিআই৩০ মে ১৯৯৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯০–২০০১ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া
১৯৯৬সারে
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৫ ১৩৮ ১১৬
রানের সংখ্যা ১২৮ ২২৪ ৪,০৭৪ ১,১২৬
ব্যাটিং গড় ১৬.০০ ১৩.১৭ ২৫.৪৬ ১৪.৬২
১০০/৫০ ০/১ ০/০ ৪/২০ ০/১
সর্বোচ্চ রান ৫৬* ৩৫ ১২৪ ৬৪
বল করেছে ১,০৯৮ ১,১৪৬ ২৩,৯৮৮ ৫,০২২
উইকেট ১৫ ২২ ৪৩৫ ১৩০
বোলিং গড় ৩৯.৯৩ ৪৫.৩১ ৩০.৫৬ ৩০.৯৯
ইনিংসে ৫ উইকেট ২১
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৪/৩৬ ৩/৪০ ৭/৩৯ ৪/৪১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/– ৮/– ৮৮/– ৩৯/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৭ জুন ২০১৫

ব্রেন্ডন পল জুলিয়ান (ইংরেজি: Brendon Julian; জন্ম: ১০ আগস্ট, ১৯৭০) নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনে জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেন। ৬ ফুট ৫ ইঞ্চির দীর্ঘ উচ্চতার অধিকারী ব্রেন্ডন জুলিয়ান মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী। এছাড়াও মাঝারিসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে দক্ষতা প্রদর্শন করে অল-রাউন্ডারের মর্যাদা লাভকারী হিসেবেও বিবেচিত তিনি।

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৮৯ সালে এইআইএস অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট একাডেমি থেকে বৃত্তি লাভকারী ছিলেন তিনি।[] অস্ট্রেলিয়া দলে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দুই ধাপে টেস্ট ক্রিকেট খেলেন। ১৯৯৩ সালের অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তেজ্যোদীপ্ত অপরাজিত ৫৬* রান তোলেন। এরপর ১৯৯৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মিতব্যয়ী ও ক্ষুরধার বোলিং করে ইতিহাস গড়েন। এসময় দলে ক্রেইগ ম্যাকডারমটডেমিয়েন ফ্লেমিংয়ের আঘাতের কারণে পল রেইফেলকে নিয়ে নতুন বলে ইনিংস উদ্বোধনে নামতেন।

১৯৯৮ থেকে ১৯৯৯ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক দলে নিয়মিত সদস্য হিসেবে অংশ নেন। তন্মধ্যে ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে থাকলেও অধিকাংশ সময়ই তাকে বেঞ্চে অবস্থান করতে হয়। বিশ্বকাপের পর তিনি দল থেকে বাদ পড়েন।

১৯৯৭-৯৮ ও ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমের শেফিল্ড শিল্ডের ফাইনালে খেলেছেন তিনি। উভয় ফাইনালে ১২৫ ও ৮৪ রান তুলে ওয়েস্টার্ন ওয়ারিয়র্সকে পরপর দুইবার শিরোপ বিজয়ে সহায়তা করেন।

২০০১ সালে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে বিদায় নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় চ্যানেল নাইনের ভ্রমণবিষয়ক অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন। পরবর্তীতে ন্যাশনাল নাইন নিউজের খেলাধুলা সংবাদ উপস্থাপক হন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার ফক্স স্পোর্টসে চলে যান। ফক্স স্পোর্টসে তিনি ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার ধারাভাষ্যকার মনোনীত হন। এছাড়াও ইনসাইড ক্রিকেট ও ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে খেলার সংবাদ প্রদানের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণ করেন।

ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ

[সম্পাদনা]
ক্রমিক প্রতিপক্ষ মাঠ তারিখ খেলায় অবদান ফলাফল
ইংল্যান্ড লর্ড’স ক্রিকেট গ্রাউন্ড, লন্ডন ২৩ মে, ১৯৯৩ ডিএনবি; ১১-১-৫০-৩  অস্ট্রেলিয়া ১৯ রানে বিজয়ী[]
পাকিস্তান আরবাব নিয়াজ স্টেডিয়াম, পেশাওয়ার ৮ নভেম্বর, ১৯৯৮ ১০-৩-৪০-৩; ডিএনবি  অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে বিজয়ী[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Excellence : the Australian Institute of Sport। Canberra: Australian Sports Commission। ২০০২। 
  2. "1993 England v Australia - 3rd Match - London"। Howstat। ১০ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৫ 
  3. "1998-1999 Pakistan v Australia - 2nd Match - Peshawar"। Howstat। ১০ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
জেমস ব্রেশ
পেশাদার নেলসন ক্রিকেট ক্লাব
১৯৯০
উত্তরসূরী
জো সুদেরি