ব্র্যাড ডেলসন | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | ব্র্যাডফোল্ড ফিলিপ ডেলসন |
উপনাম |
|
জন্ম | [১] ১ ডিসেম্বর ১৯৭৭ অ্যাগুরা, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র |
ধরন | |
পেশা |
|
বাদ্যযন্ত্র |
|
কার্যকাল | ১৯৯৫-বর্তমান |
লেবেল | |
ওয়েবসাইট | linkinpark |
ব্র্যাড ডেলসন (জন্ম ১ ডিসেম্বর, ১৯৭৭) একজন মার্কিন সঙ্গিতশিল্পী এবং রেকর্ডিং প্রযোজক, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের রক বেন্ড, লিঙ্কিন পার্কের গিটার শিল্পী এবং প্রথম প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে একজন হিসেবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত।
ব্র্যাড ডেলসন লস অ্যাঞ্জেলেস এর উন্নত শহরতলী অ্যাগুরা হিলস -এ অ্যাগুরা উচ্চ বিদ্যালয়ে তার শৈশবের বন্ধুদের সাথে পড়াশোনা করেন। লিঙ্কিন পার্ক -এ আরেকজন সদস্য, মাইক সিনোডা একই তার সাথে একই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করা সময়ে তিনি বিভিন্ন বেন্ডের সাথে যুক্ত হন, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য রিলেটিভ ডিগ্রি, যেখানে তার সাথে ড্রাম শিল্পী, রোব বার্ডেন এর পরিচয় এবং বন্ধুত্ব হয়। রিলেটিভ ডিগ্রি -এর লক্ষ ছিল একটি প্রদর্শনী করা এবং সেই লক্ষ পূরণ হলে তারা বেন্ডটি ভেঙে ফেলে।
১৯৯৫ সালে, স্নাতক শেষ করে বোর্ডেন, শিনোডা এবং ডেলসন জিরো নামক একটি ব্যান্ড গঠন করে, যা ছিল লিঙ্কিন পার্ক এর শুরু। ডেলসন রিজেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃত্তি লাভ করে ইউসিএলএ -তে হিসেবে ভর্তি হন। সেখানে তিনি যোগাযোগ অধ্যায়ন বিষয়ে মানবিক এ ব্যাচেলর এবং ব্যবসা এবং পরিচালনা বিষয়ে একটি বিশেষায়িত স্নাতক লাভ করতে পড়াশোনা করেন। সেখানে অধ্যায়নের চার বছরের মধ্যে তিন বছর তার সাথে লিঙ্কিন পার্ক ব্যান্ড এর আরেকজন ভবিষ্যত সদস্য, ডেভ ফ্যারেল তার সাথে একই ডর্ম কক্ষে থাকতেন। ডেলসন তার অধ্যায়নের অংশ হিসেবে সঙ্গিত জগতের একজন সদস্যের সাথে আলোচনা করার সুযোগ পান এবং ওয়ার্নার ব্রস. রেকর্ড -এর একজন এএনআর প্রতিনিধি, জেফ ব্লু এর সাথে কাজ করেন। তিনি জিরো নামক ((ইংরেজি)) চার ট্রাকের একটি নমুনা টেপে রেকর্ড করা জিরো -এর ডেমোগুলোর উপর গঠনমূলক সমালোচনা করেন। এই টেপটি ১৯৯৬ সালে প্রকাশ করা হয়। জেফ ব্লু তাদের সাথে চেস্টার বেনিংটন এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।
১৯৯৮ সালে, তিনি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া থেকে সুম্ম কুম লাউদে এবং ফি বেটা কাপ্পা সহ স্নাতক লাভ করেন এবং লিঙ্কিন পার্ক এর সাথে সঙ্গিত জগতে কর্মজীবন তৈরি করতে আইন বিদ্যালয়ে না ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
জিরো নামক ব্যান্ডটির প্রধান কন্ঠশিল্পী, মার্ক ওয়েকফিল্ড এর পরিবর্তে অ্যারিজোনার স্থানীয়, চেস্টার বেনিংটন ব্যান্ডটিতে যোগ দেন এবং ব্যান্ডটি তাদের নাম পরিবর্তন করে “লিঙ্কিন পার্ক” রাখে। শ্রীঘই ডেলসন এবং মাইক একই নামের একটি ছয় ট্রাকের ইপি তৈরি করেন। তারা এটি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার মাধ্যমে জমসমর্থন সৃষ্টি করে। ২০০০ সালের মধ্যেই তারা ব্যান্ডটির নাম পরিবর্তন করে “লিঙ্কিন পার্ক” রাখে এবং শ্রীঘই ওয়ার্নার ব্রস. তাদের যুক্ত নেয়।
২০০০ সালের অক্টোবর মাসের ২৪ তারিখে লিঙ্কিন পার্ক তাদের অত্যন্ত সফল অ্যালবাম, হাইব্রিড থিওরি প্রকাশ করে। পরবর্তী বছর, ডেলসন তাদের রিমিক্স অ্যালবাম, রিঅ্যানিমেশন তৈরি করতে কাজ করেন। সেখানে তাদের গান, ”পুশিং মি অ্যাওয়ে” -এর রিমিক্স সংস্করণে ("P5hng Me A*wy") তিনি তার নিজের সৃজণশীল ধারণা যোগ করেন।
রিঅ্যানিমেশন এর পর লিঙ্কিন পার্ক এর দ্বিতীয় স্টুডিও অ্যালবাম, মিটিওরা ২০০৩ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এই অ্যালবাম এ হাইব্রিড থিওরি এর চেয়ে গুরুতর গিটার রিফ ছিল।
২০০৭ সালের মে মাসের ১৫ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রে লিঙ্কিন পার্ক এর তৃতীয় স্টুডিও অ্যালবাম, মিনিটস টু মিডনাইট প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবাম তৈরির ক্ষেত্রে, হাইব্রিড থিওরি ও মিটিওরা অ্যালবামে তাদের ব্যবহৃত নিখুঁত নিউ ম্যাটাল স্টাইল উপেক্ষা করে একটি সম্পূর্ণ নতুন ধরনের সাউন্ড তৈরি করে। এ কারণে ডেলসনকে নতুন পুরাতন বিভিন্ন গিটার এবং অ্যাম্প নিয়ে পরিক্ষা নিরিক্ষা করতে হয়। এ কারণে তাকে গিটার সোলো প্রতি অনিচ্ছা দূর করতে হয়। “হোয়াট আই’ভ ডান”, “ইন পিসেস” এবং “দ্যা লিটল থিংস গিভ ইউ অ্যাওয়ে” -এই তিনটি ট্রাকে তার গিটার সোলো অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
“লিটল থিংস গিভ ইউ অ্যাওয়ে” -গানটি তৈরির সময়ে তিনি ইবাউ দিয়ে নিয়ে পরিক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করেন। ইবাউ -এর পরিক্ষামূলক ব্যবহারের সময়ে ব্যান্ডটি “ইবাউ আইডিয়া” নামক নতুন একটি গান তৈরি করে, যার নাম পরে “নো মোর সোরো”। “গিভেন আপ” -গানটিতে তাকে কি বাজাতে শোনা যায়। এটি এবং হাত তালি দিয়ে বিভিন্ন ট্রাক তৈরি করার ধারণার জন্য তাকে অ্যালবামটির পুস্তিকায় কৃতিত্ত্ব প্রদান করা হয়। তাকে কিছু সরাসরি প্রদর্শনীতে “হ্যান্ডস হেল্ড হাই” -গানটির সাথে পিয়ানো বাজাতেও দেখা গিয়েছে।
“নিউ ডিভাইড” -গানটিতে ব্র্যাড তার নিজের পরিকল্পনা যুক্ত করেন। সেই ট্রাকটি ২০০৯ সালে লিঙ্কিন পার্ক ট্রান্সফরমারস রিভেন্জ অব দ্য ফোলেন- দ্য অ্যালবাম এর জন্য রচনা এবং উপস্থাপন করে। তাদের অ্যালবাম তৈরির জন্য ব্যান্ড এর সকলে তাদের পার্শ্ব প্রকল্পগুলো বাদ দিয়ে একত্র হওয়ার পূর্বে এটাই ব্র্যাডের শেষ গান। তাদের চতূর্থ অ্যালবাম, এ থাউজেন্ড সানস ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৪ তারিখে প্রকাশিত হয়। তাদের পরবর্তী অ্যালবাম, লিভিং থিংস ২০১২ সালের জুন মাসের ২৬ তারিখে প্রকাশিত হয়। অ্যালবামটির দশম গান, “আনটিল ইট ব্রেকস” -এ ব্র্যাড কন্ঠ দিয়েছেন। ব্র্যাড গানটির শেষের দিকের একটি সুরেলা গাওয়ার মাধ্যমে তিনি প্রথমবারের মতো কোনো রেকর্ড প্রধান কন্ঠ দেন।