ব্লু জেসমিন | |
---|---|
পরিচালক | উডি অ্যালেন |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা | উডি অ্যালেন |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
চিত্রগ্রাহক | হাভিয়ের আগুয়েররাসারোবে |
সম্পাদক | আলিসা লেপসেল্টার |
পরিবেশক | সনি পিকচার্স ক্লাসিকস |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ৯৮ মিনিট[১] |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $১৮ মিলিয়ন[২] |
আয় | $৯৯.১ মিলিয়ন[৩] |
ব্লু জেসমিন ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি আমেরিকান হাস্যরসাত্মক নাট্য চলচ্চিত্র।[৪] উডি অ্যালেন ছবিটির পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। ম্যানহাটনের প্রাক্তন অভিজাত (কেট ব্লানচেট) যখন সব হারিয়ে সান ফ্রান্সিসকো শহরে তার শ্রমজীবী বোনের (স্যালি হকিন্স) অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করার সময়কালের অভিজ্ঞতাই এখানে চিত্রায়িত হয়েছে।
২০১৩ সালের ২৬ জুলাই নিউ ইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলেস-এ সীমিত আকারে ছবিটি মুক্তি পায়। ২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছবিটির মুক্তি দেওয়া হয়। ছবিটি, বিশেষ করে ব্লানচেটের অভিনয় সমালোচকের প্রশংসা কুড়োতে সক্ষম হয়।[৫][৬] ব্লানচেট সেরা অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। হকিন্স ও অ্যালেন সেরা সহ অভিনেত্রী ও সেরা চিত্রনাট্যকার বিভাগেও মনোনয়ন পান। ব্লানচেট গোল্ডেন গ্লোব, বাফটা পুরস্কার ও এসএজি পুরস্কার লাভ করেন। ১৮ মিলিয়ন ডলারের বাজেটে নির্মিত ছবিটি ৯৯.১ মিলিয়ন ডলার আয় করে।
জেসমিন ফ্রান্সিস নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে সান ফ্রান্সিসকো শহরে আগমন করে। সে জিঞ্জারের অ্যাপার্টমেন্টে একটি ট্যাক্সি নিয়ে যায়। জিঞ্জার জেনে ব্যথিত হয়, তার বোন নিজেকে দেউলিয়া দাবি করা সত্ত্বেও প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করে। জেসমিন সম্প্রতি মানসিক অসুস্থতায় ভুগেছে। ঋণগ্রস্ত হয়ে সে এখন বোনের বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করবে।
জেসমিনের স্বামী হাল ফ্রান্সিস একজন আর্থিক ব্যবস্থাপক, যে তার গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল। জিঞ্জার ও তার স্বামী অগি হালের অন্যতম শিকার। অগি লটারি জিতে ২,০০,০০০ ডলার পেয়েছিল। হাল প্রতারণা করে সেই ২,০০,০০০ ডলার ছিনিয়ে নেয়। ফলস্বরূপ অগি ও জিঞ্জারের বিয়ে ভেঙে যায়। জনসমক্ষে অপমানিত হওয়ার পর হাল আত্মহত্যা করে। জেসমিনের সৎ ছেলে ড্যানি হার্ভার্ডে লেখাপড়ার পরিসমাপ্তি ঘটায়। সে জেসমিনের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়। ড্যানি বিশ্বাস করে, হালের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জেসমিনও সম্পৃক্ত। হালের মৃত্যুর পর জেসমিন প্রচুর পরিমাণে মদ্যপান শুরু করে, এমনকি দুশ্চিন্তারোধী ওষুধও অনিয়ন্ত্রিত হারে গ্রহণ করতে থাকে। সে নিজের সাথে নিজের অতীত সম্পর্কে কথা বলতে থাকে।
জিঞ্জার বর্তমানে চিলি নামের একজন মেকানিকের সাথে প্রেম করছে। জেসমিন তার নিচুশ্রেণির স্বভাব দুচোখে দেখতে পারে না। সে একজন অভ্যন্তরীণ নকশাকারী হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু তার মৌলিক কম্পিউটার দক্ষতাই নেই। প্রাথমিক দক্ষতা অর্জনের জন্য সে একটি কম্পিউটার ক্লাসে যোগদান করার সিদ্ধান্ত নেয়। ক্রুদ্ধ জেসমিন একজন দন্তচিকিৎসকের অভ্যর্থনাকারীর চাকরি নেয়। কিন্তু দন্তচিকিৎসক তাকে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে। অতঃপর তার শরীরের উপর হামলে পড়লে জেসমিন চাকরি থেকে অব্যাহতি নেয়।