ভগীরথ (সংস্কৃত: भगीरथ) ইক্ষ্বাকু রাজবংশের একজন কিংবদন্তি রাজা যিনি গঙ্গা দেবীকে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে আনয়ন করেন। সগর রাজবংশের রাজপুত্র হওয়ার পর তিনি তাঁর ষাটহাজার হতভাগ্য পূর্বপুরুষদের যন্ত্রণাদায়ক পরিণতির কথা জানতে পারেন। ভগীরথ মন্ত্রীর প্রতি রাজত্বের দায়িত্ব অর্পণ করেন এবং দুঃখের সাথে হিমালয়ে তপস্যা করতে গিয়েছিলেন। গুরু ত্রিথলের উপদেশে তিনি হাজার বছর ধরে ৬০,০০০ অভিশপ্ত পূর্বপুরুষদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেন ও কপিলমুনির অভিশম্পাত থেকে তাঁদের উদ্ধারের জন্য দেবী গঙ্গাকে সন্তুষ্ট করার প্রয়াস করেন। গঙ্গা ভগীরথের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে তাকে বলেন যে তিনি স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতরণ করার সময় তার প্রপাতের প্রচণ্ড বেগ নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তখন গঙ্গা দেবী ভগীরথকে বলেন যে তিনি যেন ভগবান শিবের কাছে প্রার্থনা করেন কারণ গঙ্গা (দেবী) যখন মর্ত্যে অবতরণ করবেন,তখন তাকে ধারণ করার মতো শক্তি শুধুমাত্র মহাদেবেরই রয়েছে। তখন ভগীরথ ভগবান শিবের তপস্যা আরম্ভ করেন ও তাকে গঙ্গাধারণের প্রার্থনা করেন। আশুতোষ (অল্পতেই সন্তুষ্ট হন যিনি) ভগবান শিব তখন ভগীরথের প্রার্থনা শোনেন ও স্বর্গ থেকে পতিত গঙ্গা দেবীকে তার জটায় ধারণ করেন ও নদীরূপে মর্ত্যে বাহিত করেন। তারপর থেকে মহাদেবের আর এক নাম হয় গঙ্গাধর (গঙ্গাকে ধারণ করেছেন যিনি)।
ভগীরথ | |
---|---|
সগর রাজার বংশধর | |
![]() গঙ্গার মর্ত্যে আগমন | |
অন্তর্ভুক্তি | গঙ্গা দেবীর পুণ্যার্থী |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
মাতাপিতা |
|
কিন্তু জহ্নুমুনি সমস্ত গঙ্গাজল পান করে ফেলেন। অবশেষে ভগীরথের প্রার্থনায় জহ্নুমুনি পুনরায় তাঁর উদর ছেদন করে গঙ্গাকে বাহিত করেন,তাই গঙ্গাকে জহ্নুমুনির কন্যা বা জাহ্নবীও বলা হয়।[১][২] ভগীরথের মর্ত্যে গঙ্গা আনয়নের স্মৃতি হিসেবে গঙ্গার মূল প্রবাহের নাম আজও ভাগীরথী যদিও দেবপ্রয়াগে গঙ্গার নাম অলকানন্দা ।