ভগৎ সাইন


সাঁঈ
(সাইন)
মূল অকাল তখত কাঠামো থেকে রেওয়ার রাজা রামের দরবারে ভগৎ সাইন নাপিতকে চিত্রিত করা দেয়ালচিত্র।
জন্ম১৩৪৩ (1343)
বিতর্কিত। সোহল (তরন তারন জেলা, পাঞ্জাব), রেওয়া (মধ্যপ্রদেশ) বা মহারাষ্ট্র
মৃত্যু১৪৪০ (বয়স ৯৬–৯৭)
পেশা
পরিচিতির কারণগুরু গ্রন্থ সাহিবের একটি স্তোত্রের রচয়িতা।
দাম্পত্য সঙ্গীবিবি সাহিব দেবী
সন্তানভাই নাই
পিতা-মাতাবাবা মুকন্দ রাই
মাতা জীবনী

ভগৎ সাঁঈ, বা, ভগৎ সাইন (আনু. ১৪-১৫শ শতক[]), যিনি সেনা ভগৎ[] নামেও পরিচিত, হলেন একজন হিন্দু রহস্যবাদী কবি এবং ভক্তি আন্দোলনের সাধক যিনি চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে এবং পঞ্চদশ শতাব্দীর শুরুতে বসবাস করতেন। ঈশ্বরের প্রতি ভক্তির কারণে ঘরে ঘরে তার নাম পরিচিত ছিল। ভগৎ সাঁঈ ছিলেন রেওয়ার শাসক রাজা রাম সিংয়ের রাজদরবারের একজন নাপিত।[][] তিনি রামানন্দের শিষ্য ছিলেন।

জন্মস্থান

[সম্পাদনা]

তার জন্মস্থান সম্পর্কে চারটি মত রয়েছে:

  1. একটি মত হলো যে, তিনি মহারাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং বিদার রাজার দরবারে নাপিত হিসাবে কাজ করতেন। এই মতামতকে সমর্থন করার একমাত্র পন্থা হল সাধু সাঁঈর নামে মারাঠি ভাষায় অনেক ভক্তিমূলক গানের অস্তিত্ব।
  2. দ্বিতীয় মত হলো যে, তিনি মধ্যপ্রদেশের রেওয়াতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি বান্ধবগড়ের রাজা রাম সিংয়ের সেবা করেছিলেন।
  3. তৃতীয় মত হলো, সন্ত সাঁঈর জন্ম পাঞ্জাব রাজ্যের তরন তারন জেলার সোহল গ্রামে। তার পিতার নাম বাবা মুকন্দ রায় এবং মাতার নাম ছিল মাতা জীবনী।
  4. অন্য একটি মতানুসারে তিনি রাজস্থানের একজন নাপিত ছিলেন।[]
  5. সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি হলো যে, তিনি পাঞ্জাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কিন্তু সমগ্র ভারত ভ্রমণ করেছিলেন যেখানে তিনি বান্ধবগড় এবং বিদার উভয় রাজার সেবা করেন।[] ৬ ডিসেম্বর তারিখটি পাঞ্জাবে তার জন্মবার্ষিকী হিসাবে পালিত হয়। পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলার পারতবপুরায় যেখানে তিনি ধ্যান করতেন সেখানে এখন একটি গুরুদ্বার এবং একটি পবিত্র জলাধার (সরোবর) স্থাপন করা হয়েছে।[]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Datta, Amaresh (১৯৮৭)। Encyclopaedia of Indian Literature: A-Devo, Volume 1। Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা 79। আইএসবিএন 9788126018031 
  2. Kang, Kanwarjit Singh (১৯৮৮)। "14. The Akal Takht"। Punjab Art and Culture। Atma Ram & Sons। পৃষ্ঠা 74। আইএসবিএন 9788170430964 
  3. Page 2750, The Indian Encyclopaedia: Gautami Ganga-Himmat Bahadur, Subodh Kapoor, Genesis Publishing Pvt Ltd, 2002
  4. Page 238, Selections from the Sacred Writings of the Sikhs, Orient Blackswan, 01-Jan-2000
  5. Chauhan, Dr G. S. (২০০৬)। Bani Of Bhagats (ইংরেজি ভাষায়)। Hemkunt Press। পৃষ্ঠা 102। আইএসবিএন 978-81-7010-356-1 
  6. Kainth, Gursharan Singh (১৯৯৯)। The Granth be Thy Guru: Guru Maneyo Granth (ইংরেজি ভাষায়)। Regency Publications। পৃষ্ঠা 78–79। আইএসবিএন 978-81-86030-97-4 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]