ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ভরত রেড্ডি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ১২ নভেম্বর, ১৯৫৪ চেন্নাই, ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৪৪) | ১২ জুলাই ১৯৭৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩০ আগস্ট ১৯৭৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২৭) | ৩ জানুয়ারি ১৯৭৮ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৮ জানুয়ারি ১৯৮১ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ জুলাই ২০২০ |
ভরত রেড্ডি (তেলুগু: భరత్ రెడ్డి; জন্ম: ১২ নভেম্বর, ১৯৫৪) চেন্নাই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭০-এর দশকের শেষার্ধ্ব থেকে ১৯৮০-এর দশকের সূচনাকাল পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে তামিলনাড়ু দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি।
১২ নভেম্বর, ১৯৫৪ তারিখে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে ভরত রেড্ডি’র জন্ম। জুলাই ও আগস্ট, ১৯৭৩ সালে ভারতের বিদ্যালয় দল নিয়ে গড়া একাদশের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। মিডল্যান্ড কাউন্টিজ বিদ্যালয় দলের বিপক্ষে শতরানের ইনিংস খেলেন।[২] কয়েক সপ্তাহ পর ১৮ বছর বয়সে বাজির সুলতান টোব্যাকো কোল্টস একাদশের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। অধিনায়কের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নয়জন খেলোয়াড়ের একযোগে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল।[৩]
১৯৭৩-৭৪ মৌসুম থেকে ১৯৮৫-৮৬ মৌসুম পর্যন্ত ভরত রেড্ডি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ব্যাটিংয়ের তুলনায় উইকেট-রক্ষণেই অধিক সফলতা পান। ইরানি কাপে বাদ-বাকী ভারত এবং দিলীপ ট্রফিতে দক্ষিণ অঞ্চলের পক্ষে উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হন। তামিলনাড়ুর পক্ষে রঞ্জী ট্রফিতে অভিষেক ঘটে তার। এ সবগুলো প্রতিযোগিতাই ১৯৭৩ সালের শেষদিকে হয়েছিল। এছাড়াও, ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমের পূর্বে ভারতীয় একাদশের সদস্যরূপে বাদ-বাকী ভারত দলের বিপক্ষে দুইটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন এবং ভারত দলের শ্রীলঙ্কায় সংক্ষিপ্ত সফরে নিয়মিত উইকেট-রক্ষক পোচিয়া কৃষ্ণমূর্তি’র সহকারী ছিলেন। শ্রীলঙ্কা বোর্ড সভাপতি একাদশের বিপক্ষে একটি খেলায় অংশ নেন।[৪]
১৯৮১-৮২ মৌসুমে ব্যাট হাতে নিয়ে নিজস্ব স্বর্ণালী মৌসুম অতিবাহিত করেন। এ পর্যায়ে তিনি তিনটি অর্ধ-শতরান সহযোগে ৩২.৬০ গড়ে ৩২৬ রান তুলেন।[৫] তন্মধ্যে, কেরালার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৮৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন।[৬]
১৯৮২-৮৩ মৌসুম থেকে ১৯৮৫-৮৬ মৌসুম পর্যন্ত তামিলনাড়ু দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। তন্মধ্যে, ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে কেরালার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ছয়টি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেন। সবমিলিয়ে ঐ খেলায় তিনি আটটি ক্যাচ নিয়েছিলেন।[৭]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে ও তিনটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ভরত রেড্ডি। সবগুলো টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ১২ জুলাই, ১৯৭৯ তারিখে বার্মিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩০ আগস্ট, ১৯৭৯ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ড সফরকে ঘিরে বিস্ময়করভাবে কিরমানীকে বাদ দিলে ভারতের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ হয় তার। যথেষ্ট ভালো খেলেন। ইংল্যান্ডের মাটিতে এগারোটি ডিসমিসাল ঘটিয়ে নতুন ভারতীয় রেকর্ড গড়েন।
নিয়মিত উইকেট-রক্ষক ফারুক ইঞ্জিনিয়ারের অবসর গ্রহণের পর রেড্ডি কিংবা কৃষ্ণমূর্তিকে টেস্ট দলে স্থলাভিষিক্ত না করে দল নির্বাচকমণ্ডলী সৈয়দ কিরমানীকে মনোনীত করে। ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের তিনটি খেলার একটিতে রেড্ডিকে উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলানো হয়। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে ভারত দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমনের সুযোগ পান। এ সফরে তিনি কিরমানীর সহকারী হিসেবে থাকেন। পরের মৌসুমে পাকিস্তান গমন করেন। একই দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
সৈয়দ কিরমানীর বিকল্প হিসেবে তাকে দলে রাখা হতো। কিরমানীকে দল থেকে বাদ দেয়া হলে টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের প্রত্যেকটিতেই তার অংশগ্রহণ ছিল। ভারত দল ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। কিন্তু, তার ভূমিকা তেমন আশাপ্রদ ছিল না।[৮] ১৯৮০-৮১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমন করেন। কিরমানীর সহকারী হিসেবে থাকেন ও কোন টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি তিনি।
১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ সালের মধ্যে তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছিলেন। প্রতিপক্ষীয় দলগুলো ছিল - পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর চেন্নাইভিত্তিক চেম্পলাস্টে স্যানমারে কাজ করেন। এছাড়াও, চেন্নাইয়ে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করেন। এখানেই দিনেশ কার্তিক ও লক্ষ্মীপতি বালাজি’র ন্যায় ভবিষ্যতের টেস্ট খেলায়াড়কে শনাক্ত করা হয়।[৯]
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী শ্রিয়া রেড্ডি নাম্নী তার এক কন্যা রয়েছে। ২০০৮ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা বিক্রম কৃষ্ণা’র সাথে তাকে বিয়ে দেন।