ভাদোহী জেলা | |
---|---|
উত্তর প্রদেশের জেলা | |
উত্তর প্রদেশে ভাদোহী জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরপ্রদেশ |
বিভাগ | মির্জাপুর |
সদর দপ্তর | জ্ঞানপুর |
তহশিল | ৩ |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | ভাদোহী |
আয়তন | |
• মোট | ১,০৫৫.৯৯ বর্গকিমি (৪০৭.৭২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৫,৫৪,২০৩ |
• জনঘনত্ব | ১,৫০০/বর্গকিমি (৩,৮০০/বর্গমাইল) |
জনসংখ্যার উপাত্ত | |
• সাক্ষরতা | ৮৯.১৪% |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
প্রধান মহাসড়ক | এনএইচ ২ |
ওয়েবসাইট | http://bhadohi.nic.in |
ভাদোহী জেলা উত্তর ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা।[১] জ্ঞানপুর শহরটি জেলা সদর। ভাদোহী ভারতের গালিচা (কার্পেট) শিল্পের অন্যতম বৃহ্ৎ একটি কেন্দ্র এবং ' কার্পেট শহর' নামে পরিচিত। ভাদোহীর কার্পেট ' ভৌগোলিক স্বীকৃতি (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) ' (জিআই) পেয়েছে। অবস্থানের কারণে ভাদোহীর বিশেষ এক ভৌগোলিক তাৎপর্য রয়েছে, এটি দুটি সংস্কৃতিগত গুরুত্বপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী শহর প্রয়াগরাজ এবং বারাণসীর মধ্যে অবস্থিত।
মহাকাব্য মহাভারত অনুসারে, পঞ্চপাণ্ডব লাক্ষাগৃহ থেকে একটি সুড়ঙ্গ দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং এখানে সেম্রাধনাথ নামে একটি জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। আরও বলা হয় যে ভগবান রাম যখন তাঁর স্ত্রী সীতাকে ত্যাগ করেছিলেন, তখন তিনি এখানে মহর্ষি বাল্মিকির আশ্রমে থাকতেন। এখানে, লব এবং কুশ জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং মাতা সীতা এখানে পাতাল প্রবেশ করে দেবী ধরিত্রীর কোলে চলে গিয়েছিলেন।
এই অঞ্চলটি সন্ত রবিদাসের নামের সাথেও যুক্ত, যেজন্য এক সময় এই জেলার নাম সাধু রবিদাস নগর দেওয়া হয়েছিল। [১]
এই অঞ্চলের ভর রাজ দের নাম থেকে ভাদোহী নামটি এসেছে বলে মনে করা হয়, ভাদোহী তাদের রাজধানী ছিল। ভর শাসকদের কিছু চিহ্ন ধ্বংসপ্রাপ্ত ঢিবি এবং পুরাতন জলাশয়গুলির নামে পাওয়া গেছে। এরা ছিল কনৌজ রাজ্যের একটি শাখা, যা মধ্যযুগের প্রথমদিকে জৌনপুর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। মোগল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে, ভাদোহিকে দস্তুর করা হয়েছিল এবং এলাহাবাদ সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যে ভর দের মনাস রাজপুত রা পরাজিত করে। এদের বংশের প্রথম প্রধান ছিলেন সাগর রাই, এবং তাঁর নাতি যোধ রাই মুঘল সম্রাট শাহ-ই-জাহানের কাছ থেকে এই অঞ্চল 'জমিদারী সনদ' (দলিল) হিসাবে পেয়েছিলেন।
তবে প্রায় ১৭৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে জমির রাজস্ব বকেয়া পরিশোধ না করার কারণে, প্রতাপগড়ের রাজা প্রতাপ সিংহ, তাঁর বকেয়া পরিশোধের পরিবর্তে পুরো পরগনা বেনারসের বলবন্ত সিংকে দিয়েছিলেন, পরবর্তীকালে ১৭৭৭০ খ্রিস্টাব্দে তিনি এটিকে ব্রিটিশদের অধীনস্থ আওধের নবাব সুজা-উদ-দৌলা কাছ থেকে সনদ হিসেবে পেয়েছিলেন।
১৯১১ সালে, ভাদোহী, সদ্য নির্মিত বেনারস রাজত্বের প্রথম রাজা, মহারাজা প্রভু নারায়ণ সিংহের অধীনে আসে। এটি ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বেনারসের হাতেই ছিল।[২][৩][৪]
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১৭।