![]() | |
ধরন | পাবলিক |
---|---|
আইএসআইএন | INE397D01024 |
শিল্প | টেলিযোগাযোগ |
প্রতিষ্ঠাকাল | ৭ জুলাই ১৯৯৫[১] |
প্রতিষ্ঠাতা | সুনীল ভারতী মিত্তল |
সদরদপ্তর | Nelson Mandela Road, নতুন দিল্লি, ভারত[১] |
বাণিজ্য অঞ্চল | বৈশ্বিক |
প্রধান ব্যক্তি |
|
পণ্যসমূহ | |
আয় | ![]() |
![]() | |
![]() | |
মোট সম্পদ | ![]() |
মোট ইকুইটি | ![]() |
মালিকসমূহ | ভারতী এন্টারপ্রাইজ (64%) সিংটেল (36%)[৩][৪] |
সদস্যসমূহ | 457.96 million [৫] (Dec-2020) |
কর্মীসংখ্যা | ১৭,৯১৭ (Q৩ ২০২০) [৫] |
অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান | |
ওয়েবসাইট | www |
ভারতী এয়ারটেল লিমিটেড, (এয়ারটেল নামেও পরিচিত), একটি ভারতীয় বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ভারতের নতুন দিল্লিতে অবস্থিত। এটি দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকা জুড়ে ১৮ টি দেশের পাশাপাশি চ্যানেল দ্বীপপুঞ্জে ব্যবসা পরিচালনা করে। পরিচালিত দেশের উপর নির্ভর করে এয়ারটেল ২জি, ৪জি এলটিই, ৪জি+ মোবাইল পরিষেবা, ফিক্সড লাইন ব্রডব্যান্ড এবং ভয়েস পরিষেবা সরবরাহ করে। এয়ারটেল তার ভিওএলটিই প্রযুক্তি সমস্ত ভারতীয় টেলিকমে সরবরাহ করে।[৬] এটি ভারতে ৩৫৫ মিলিয়ন গ্রাহক নিয়ে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর এবং ৪৫৭.৯৬ মিলিয়ন (৪৫.৭৯৬ কোটি) এর বেশি গ্রাহক নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর।[৫][৭] মিলওয়ার্ড ব্রাউন এবং ডব্লিউপিপি পিএলসি এর প্রথম ব্র্যান্ডজ র্যাঙ্কিংয়ে এয়ারটেলকে ভারতের দ্বিতীয় মূল্যবান ব্র্যান্ডের মর্যাদা দিয়েছিল।[৮]
১৯৮৪ সালে, সুনীল মিত্তল ভারতে পুশ-বাটন ফোন তৈরি করা শুরু করেন,[৯] যা তিনি আগে আমদানি করতেন সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানি, সিঙ্গটেল থেকে । এই ফোন দেশে ব্যবহৃত পুরানো আমলের, ভারী রোটারি ফোনগুলিকে প্রতিস্থাপন করে। ভারতী টেলিকম লিমিটেড (বিটিএল) ইলেকট্রনিক পুশ-বাটন ফোন তৈরির জন্য জার্মানির সিমেনস এজি-র সাথে একটি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ১৯৯৯ এর দশকের গোড়ার দিকে, ভারতী ফ্যাক্স মেশিন, তারহীন ফোন এবং অন্যান্য টেলিকম সম্পর্কিত বস্তু তৈরি করত। [১০] তিনি তার প্রথম পুশ-বাটন ফোনের নাম দেন 'Mitbrau'।
১৯৯২ সালে, সুনীল মিত্তাল ভারতে নিলাম করা চারটি মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক লাইসেন্সের একটি সফলভাবে ক্রয় করেন। [১০] দিল্লি সেলুলার লাইসেন্সের শর্তসমূহের মধ্যে একটি ছিল যে নিলামে দরদাতার টেলিকম অপারেটর হিসাবে কিছু অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাই মিত্তল ফরাসি টেলিকম গোষ্ঠী ভিভেন্ডির সাথে একটি চুক্তি করেন। তিনি প্রথম ভারতীয় উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন যিনি মোবাইল টেলিকম ব্যবসাকে একটি প্রধান উন্নতির ক্ষেত্র হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন। তার পরিকল্পনা অবশেষে ১৯৯৪ সালে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়। [৯] তিনি ১৯৯৫ সালে দিল্লিতে পরিষেবা চালু করেন। এই সময়েই ভারতী সেলুলার লিমিটেড (BCL) গঠিত হয় AirTel ব্র্যান্ড নামের অধীনে সেলুলার পরিষেবা প্রদানের জন্য। কয়েক বছরের মধ্যে, ভারতী প্রথম টেলিকম কোম্পানি হয়ে ওঠে যারা ২০ লক্ষ মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা অতিক্রম করেছিল। ভারতী 'ইন্ডিয়া ওয়ান' ব্র্যান্ড নামে ভারতে STD/ISD সেলুলার রেটও কমিয়ে এনেছিল। [৯]
১৯৯৯ সালে ভারতী এন্টারপ্রাইজ JT হোল্ডিংস-এর নিয়ন্ত্রণ অধিগ্রহণ করে এবং কর্ণাটক ও অন্ধ্র প্রদেশে সেলুলার পরিষেবা সম্প্রসারিত করে। ২০০০ সালে, ভারতী চেন্নাই ,তামিলনাড়ুতে স্কাইসেল কমিউনিকেশনের নিয়ন্ত্রণ অধিগ্রহণ করে। ২০০১ সালে, কোম্পানিটি কলকাতায় স্পাইস সেলের নিয়ন্ত্রণ অধিগ্রহণ করে। ভারতী এন্টারপ্রাইজ ২০০২ সালে পাবলিক হয়ে যায় এবং কোম্পানিটি বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত হয়। পরের বছর তাদের অধীনে থাকা সব সেলুলার ফোন অপারেশনগুলিকে একক এয়ারটেল ব্র্যান্ডের অধীনে একত্রিত করে পুনরায় ব্র্যান্ড করা হয়েছিল। ২০০ সালে, ভারতী Hexacom-এর নিয়ন্ত্রণ অধিগ্রহণ করে এবং রাজস্থানে প্রবেশ করে। ২০০৫ সালে, ভারতী তার নেটওয়ার্ক আন্দামান ও নিকোবরে প্রসারিত করে। এই সম্প্রসারণের ফলে এই কোম্পানি সমগ্র ভারত জুড়ে ভয়েস পরিষেবা অফার করতে সক্ষম হয়।
এয়ারটেল ২০০৪ সালের জুলাই মাসে "হ্যালো টিউনস", একটি কলার রিং ব্যাক টোন পরিষেবা ( রিং টোন ) চালু করেছিল যা ছিল ভারতে প্রথম ৷ এ আর রহমানের সুর করা এয়ারটেল থিম গানটি সে বছর সবচেয়ে জনপ্রিয় সুর হয়ে ওঠে। [১১]
২০০৮ সালের মে মাসে শোনা যায় যে এয়ারটেল আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের 21টি দেশে কভারেজ সহ দক্ষিণ আফ্রিকা-ভিত্তিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা MTN গোষ্ঠী কেনার সম্ভাবনা ভেবে দেখছে। ফিনান্সিয়াল টাইমস রিপোর্ট করে যে ভারতী এমটিএন-এর ১০০% অংশীদারিত্বের জন্য ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অফার করার কথা বিবেচনা করছে, যা একটি ভারতীয় সংস্থার দ্বারা সর্বকালের বৃহত্তম বিদেশী অধিগ্রহণ হবে। যাইহোক, উভয় পক্ষই আলোচনার অস্থায়ী প্রকৃতির উপর জোর দেয়, যখন দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকা লেখে, "If anything,Bharti would be marrying up," কারণ MTN-এর বেশি সংখ্যক গ্রাহক, অধিক বিক্রয়লব্ধ আয় এবং বৃহত্তর ভৌগোলিক কভারেজ রয়েছে। [১২] যাইহোক, আলোচনা ভেস্তে যায় কারণ এমটিএন গ্রুপ ভারতীকে তাদের কোম্পানির প্রায় একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান করে আলোচনাটির অভিমুখ ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। [১৩] ২০০৯ সালের মে মাসে, ভারতী এয়ারটেল আবার নিশ্চিত করে যে তারা MTN এর সাথে আলোচনা করছে এবং কোম্পানিদ্বয় ৩১ জুলাই ২০০৯ এর মধ্যে সম্ভাব্য লেনদেন নিয়ে আলোচনা করতে সম্মত হয়েছে। আলোচনা শেষ পর্যন্ত চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়, কিছু সূত্রের মাতে এর কারণ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের বিরোধিতা। [১৪]
২০০৯ সালে, ভারতী ফিক্সড-লাইন ব্যবসার জন্য নেটওয়ার্ক পরিকাঠামো পরিচালনা করার জন্য তার কৌশলগত অংশীদার আলকাটেল-লুসেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে। পরে, ভারতী এয়ারটেল সারা দেশে ইন্টারনেট প্রোটোকল অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য আলকাটেল-লুসেন্টকে তিন বছরের চুক্তি প্রদান করেছিল। এটি গ্রাহকদের মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলিতে দ্রুত গতিতে উচ্চ মানের ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে সহায়তা করবে। [১৫]
ওই বছরেই এয়ারটেল শ্রীলঙ্কায় প্রথম আন্তর্জাতিক মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করে। [১৬] জুন ২০১০-এ, ভারতী ১০.৭ বিলিয়ন ডলারে জেইন টেলিকমের আফ্রিকার ব্যবসা অধিগ্রহণ করে যা একটি ভারতীয় টেলিকম সংস্থার সর্ববৃহৎ অধিগ্রহণ। [১৭] ২০১২ সালে, ভারতী ওয়ালমার্ট নামক খুচরা বিক্রেতা কোম্পানির সাথে গাঁটছড়া বাঁধে, ভারত জুড়ে বেশ কয়েকটি খুচরা দোকান শুরু করতে। [১৮] ২০১৪ সালে ভারতী লুপ মোবাইল কেনার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু পরে চুক্তি বাতিল করা হয়। [১৯]
১৮ নভেম্বর ২০১০-এ, এয়ারটেল একটি বিশ্বব্যাপী পুনঃব্র্যান্ডিং কৌশলের প্রথম ধাপে ভারতে নিজেদের পুনরায় ব্র্যান্ড করেছে। ছোট হাতের অক্ষরে লেখা 'airtel' সহ একটি নতুন লোগো উন্মোচন করে সংস্থাটি। লন্ডন-ভিত্তিক ব্র্যান্ড এজেন্সি, সুপারইউনিয়ন এই লোগো তৈরি করেছিল। [২০] ঐ বছরের ২৩ নভেম্বরে, এয়ারটেলের আফ্রিকা পরিষেবাগুলিকে'এয়ারটেল'-এ পুনঃব্র্যান্ড করা হয়েছিল। শ্রীলঙ্কা ২৮ নভেম্বর ২০১০এ অনুসরণ করে।ওয়ারিদ টেলিকম বাংলাদেশে 'এয়ারটেল'-এ পুনঃব্র্যান্ড করে।
২০২৪ সালের মে মাসে গুগল ক্লাউড এয়ারটেলের সাথে অংশীদারিত্ব ঘোষণা করেছে। [২১][২২]
২০০৬ সালের মে মাসে, শোনা যায় যে এয়ারটেল আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের ২১টি দেশে ব্যবসা থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা ভিত্তিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা MTN গ্রুপ কেনার সম্ভাবনা অন্বেষণ করছে। যাইহোক, আলোচনা ভেস্তে যায় কারণ এমটিএন গ্রুপ ভারতীকে নিজেদের কোম্পানির প্রায় একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান করে আলোচনার অভিমুখ ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। [২৩]
২০০৯ সালের মে মাসে, এয়ারটেল নিশ্চিত করে যে তারা MTN এর সাথে আবার আলোচনায় রয়েছে এবং উভয় কোম্পানিই ৩১ জুলাই ২০০৯ এর মধ্যে সম্ভাব্য লেনদেন নিয়ে আলোচনা করতে সম্মত হয়েছে [২৪] এয়ারটেল ঘোষণা করে"Bharti Airtel Ltd is pleased to announce that it has renewed its effort for a announce that it has renewed its effort for a significant partnership with MTN Group"। [২৫] শেষ পর্যন্ত কোনো সমঝোতা ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়। [২৬]
একটি সমাধান প্রস্তাব করা হয়েছিল যেখানে নতুন কোম্পানি দুটি স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হবে, একটি দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং একটি ভারতে। যাইহোক, ভারতীয় আইন দ্বারা কোনো কোম্পানির দ্বৈত তালিকাভুক্তির অনুমতি নেই। [২৭]
২০১০ সালের জুন মাসে ১৫টি আফ্রিকান দেশে ব্যাবসা করা জেইনের ব্যাবসা কেনার জন্য একটি চুক্তি করে। এই চুক্তি ভারতের কোনো কোম্পানীর দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদেশী অধিগ্রহণ । প্রথমটি হলো টাটা স্টিলের ১৩ বিলিয়ন $এর বিনিময়ে ভারতের Corus এর ক্রয় । ভারতী এয়ারটেল $১০.৭ বিলিয়ন এর বিনিময়ে ৮ জুন ২০১০-এ কুয়েতি মালিকদের থেকে আফ্রিকান ব্যবসাটির অধিগ্রহণ সম্পূর্ণ করে। মোট গ্রাহক সংখ্যার হিসেবে এয়ারটেল বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ওয়্যারলেস ক্যারিয়ারে পরিণত হয়। [২৮] এয়ারটেল এর বক্তব্য অনুসারে ২০১০ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে তাদের আয় ৫৩% বেড়ে US$৩.২ বিলিয়ন হয়েছে আগের বছরের তুলনায় । জাইন এর আফ্রিকা বিভাগ ৯১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রেখেছে ।
২০১০ সালে ওয়ারিদ টেলিকম তাদের কোম্পানির ৭০.৯০% অংশীদারিত্ব ভারতী এয়ারটেলের কাছে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি করে। [২৯] বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ৪ জানুয়ারী ২০১০ তারিখে চুক্তিটি অনুমোদন করে ।[৩০] ভারতী এয়ারটেল লিমিটেড কোম্পানিটির এবং এর বোর্ডের ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং ২০ ডিসেম্বর ২০১০ থেকে কোম্পানির পরিষেবাগুলিকে তাদের নিজস্ব "এয়ারটেল" ব্র্যান্ডের অধীনে পুনরায় ব্র্যান্ড করে। [৩১][৩২] ওয়ারিদ টেলিকম তার অবশিষ্ট ৩০% শেয়ার ভারতী এয়ারটেলের সিঙ্গাপুর ভিত্তিক অংশ ভারতী এয়ারটেল হোল্ডিংস পিটিই লিমিটেডের কাছে ২০১৩ সালের মার্চ মাসে বিক্রি করে দেয় ।[৩৩]
১৬ নভেম্বর ২০১৬ এ, এয়ারটেল বাংলাদেশ রবির একটি পণ্য ব্র্যান্ড হিসাবে রবিতে একীভূত হয়। রবি আজিয়াটা লিমিটেড বাংলাদেশে এয়ারটেল ব্র্যান্ডের লাইসেন্সধারী হয়। [৩৪] রবি হল মালয়েশিয়ার টেলিকম অপারেটর আজিয়াটার (৬১.৮২% শেয়ার) এবং ভারতী এয়ারটেলের (২৮.১৮% শেয়ার) মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ। [৩৫]
১১ আগস্ট ২০১০-এ, ভারতী এয়ারটেল ঘোষণা করে যে টেলিকম সেশেলস-এর সব শেয়ার ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে অধিগ্রহণ করবে। এর ফলে এয়ারটেলের উপস্থিতি ১৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। টেলিকম সেশেলস ১৯৮৮ সালে কাজ করা শুরু করে । এখন এটি এয়ারটেল ব্র্যান্ডের অধীনে সেশেলস জুড়ে আন্তর্জাতিক ট্রাফিকের জন্য VSAT এবং গেটওয়ের মতো মূল্য সংযোজন পরিষেবাগুলির মধ্যে 3G, ফিক্সড-লাইন, জাহাজ থেকে উপকূলে পরিষেবা, স্যাটেলাইট টেলিফোনি ইত্যাদি পরিচালনা করে। সেশেলসের মোবাইল বাজারের অর্ধেকেরও বেশি এই কোম্পানীর দখলে । [৩৬]
২৪ মে ২০১২-এ, এয়ারটেল ওয়্যারলেস বিজনেস সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড (WBSPL) ₹ ৯.০৭ বিলিয়ন (ইউএস$ ১১০.৮৭ মিলিয়ন) বিনিয়োগে ৪০% অংশীদারিত্ব অর্জনের জন্য একটি চুক্তি ঘোষণা করে। । [৩৭] ডাব্লুবিএসপিএল ছিল কোয়ালকম দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি যৌথ উদ্যোগ এবং দিল্লি, হরিয়ানা, কেরালা এবং মুম্বাইয়ের টেলিকম সার্কেলে এটির BWA স্পেকট্রাম ছিল। [৩৮] Qualcomm US$১বিলিয়ন খরচ করেছিল এই ৪ টি সার্কেলে BWA স্পেকট্রাম অর্জন করতে । [৩৯] চুক্তিটি এয়ারটেলকে ১৮টি সার্কেলে 4G উপস্থিতি দিয়েছিল। [৩৭] ৪ জুলাই ২০১৩-এ, এয়ারটেল ঘোষণা করে কোয়ালকমের চারটি BWA সত্তায় অতিরিক্ত ৫% ইক্যুইটি শেয়ার মূলধন (এটির মোট অংশীদারিত্ব ৫১%) [৪০] অর্জন করেছে। যার ফলে সেটি এয়ারটেলের অধীনস্থ হয়। [৪১] ১৮ অক্টোবর ২০১৩এ, এয়ারটেল ঘোষণা করে অপ্রকাশিত অর্থের বিনিময়ে WBSPL-এর ১০০ শতাংশ ইক্যুইটি শেয়ার অধিগ্রহণ করেছে।[৪২][৪৩] এটি সম্পূর্ণ তাদের মালিকানাধীন একটি সহায়ক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। [৪৪][৪৫]
এয়ারটেল ডিসেম্বর ২০১৫ সালে অপ্রকাশিত অর্থের বিনিময়ে ছত্তিশগড়-মধ্য প্রদেশ সার্কেলে 4G স্পেকট্রামের মালিকানাধীন একটি কোম্পানি Augere Wireless Broadband India Private Limited কিনে নেয়। ইকোনমিক টাইমস অনুমান করে যে Augere এর স্পেকট্রামের মূল্য প্রায় ₹ ১.৫ বিলিয়ন (ইউএস$ ১৮.৩৩ মিলিয়ন) । [৪৬] ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ এ, ভারতী এয়ারটেল লিমিটেডে Augere Wireless-এর একীকরণ সম্পন্ন হয়। [৪৭]
২ জানুয়ারী ২০১৭-এ, দ্য ইকোনমিক টাইমস রিপোর্ট করে যে এয়ারটেল টেলিনর ইন্ডিয়ারকে কিনে নেওয়ার জন্য আলোচনা শুরু করেছে। [৪৮][৪৯] ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ এ, এয়ারটেল ঘোষণা করে যে এটি টেলিনর অধিগ্রহণের জন্য একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে প্রবেশ করেছে। চুক্তির অংশ হিসাবে, এয়ারটেল টেলিনর ইন্ডিয়ার সমস্ত সাতটি টেলিকম সার্কেলের সমস্ত সম্পত্তি এবং গ্রাহকদের অধিগ্রহণ করবে যেগুলি অন্ধ্র প্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তর প্রদেশ (পূর্ব), উত্তর প্রদেশ (পশ্চিম) এবং আসামে কাজ করে।
২৩ মার্চ ২০১৭-এ, দ্য ইকোনমিক টাইমস রিপোর্ট করে যে Airtel প্রায় ₹ 1,600 কোটি টাকায় Tikona Infinet Limited- এর 4G স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ করেছে। [৫০] চুক্তিতে 5টি সার্কেলে টিকোনার ৩৫০ টি সেলুলার সাইটও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ভারতী এয়ারটেল ১২ ডিসেম্বর ২০১৭-এ ঘোষণা করে যে তারা রুয়ান্ডার সহযোগী সংস্থা মিলিকমের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যাতে পরবর্তীটির রুয়ান্ডার সহায়ক সংস্থার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অধিগ্রহণ করা হয় যা টিগো রুয়ান্ডার ব্র্যান্ড নামে কাজ করে। চুক্তিটি $৬০-৭০ মিলিয়ন মূল্যের অনুমান করা হয়েছিল। [৫১] ২০২০ সালের জানুয়ারিতে এয়ারটেল রুয়ান্ডা হিসাবে পুনঃব্র্যান্ড না হওয়া পর্যন্ত কোম্পানিটি এয়ারটেল-টিগো হিসাবে কাজ করেছিল ।[৫২][৫৩]
২০১৭ সালের অক্টোবরে, ভারতী এয়ারটেল ঘোষণা করে যে এটি ঋণমুক্ত নগদ-মুক্ত চুক্তিতে টাটা টেলিসার্ভিসেস, টাটা ডোকোমো এবং টাটা টেলিসার্ভিসেস মহারাষ্ট্র লিমিটেড (TTML) এর গ্রাহক মোবাইল ব্যবসাগুলিকে অধিগ্রহণ করবে। চুক্তিটি মূলত Airtel-এর জন্য বিনামূল্যে হবে যারা শুধুমাত্র TTSL-এর স্পেকট্রামএর অর্থনৈতিক দায় বহন করবে। টিটিএসএল তাদের ফিক্সড-লাইন এবং ব্রডব্যান্ড ব্যবসা এবং টাওয়ার কোম্পানি ভিওম নেটওয়ার্কে এর অংশীদারিত্ব চালিয়ে যাবে। [৫৪][৫৫][৫৬] চুক্তিটি ২০১৭ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের প্রতিযোগিতা কমিশন (CCI) থেকে অনুমোদন লাভ করে [৫৭][৫৮] ২৯ আগস্ট ২০১৮-এ, ভারতী এয়ারটেল টাটা টেলিসার্ভিসেসের সাথে একীভূতকরণের প্রস্তাবের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন পায়। [৫৯] ১৭ জানুয়ারী ২০১৯-এ, NCLT দিল্লি Tata Docomo এবং Airtel-এর মধ্যে একীভূতকরণের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। [৬০] ১ জুলাই ২০১৯এ, Tata Teleservices-এর গ্রাহক মোবাইল ব্যবসা টেলিকম অপারেটর Bharti Airtel-এর অংশ হয়ে উঠেছে। [৬১]
এয়ারটেল এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত Tata Tele-এর প্রায় ১.৩ কোটি মোবাইল গ্রাহককে তাদের পূর্বের প্রায় ৩২.২ কোটি ব্যবহারকারীদের সাথে যুক্ত করবে। যদিও নিয়ন্ত্রকের মতে, Tata Tele-এর অধিকাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী বাস্তবে নিষ্ক্রিয়। [৬২]
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ভারতী এয়ারটেল এয়ারটেল মার্ক ২.০ এবং ৩.০, এয়ারটেল মল, এয়ারটেল ক্লিনিকের ঘোষণা করে যানিয়েছে যে এটি তার "এয়ারটেল স্টার্টআপ অ্যাক্সিলারেটর প্রোগ্রাম" এর মাধ্যমে একটি ব্লকচেইন স্টার্টআপ আকিলিজ-এ একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব অর্জন করেছে। সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক অ্যাকিলিজ হল একটি ব্লকচেইন -সক্ষম মিডিয়াটেক স্টার্টআপ যা মিডিয়া মার্কেটপ্লেসের জন্য একটি নতুন যুগের মিডলওয়্যার প্রযুক্তি অফার করে এবং আরও সহযোগিতামূলক ডিজিটাল বিপণন পরিবেশ তৈরি করে। [৬৩]