দেশ/অঞ্চল | ভারত |
---|---|
কোড | IND |
প্রতিষ্ঠিত | ১৯২৭ |
স্বীকৃত | ১৯২৭ |
সদর দপ্তর | নতুন দিল্লী, ভারত |
সভাপতি | নরিন্দর ধ্রুভ বাত্রা |
মহাসচিব | রাজীব মেহতা |
ওয়েবসাইট | www.olympic.ind.in |
ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন অলিম্পিক গেমস, এশিয়ান গেমস এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক মিলনায়ন ও প্রতি্যোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ক্রীড়াবিদদের নির্বাচন করার জন্য এবং ইভেন্টগুলিতে ভারতীয় দলগুলির পরিচালনার জন্য দায়বদ্ধ। এছাড়া এটি কমনওয়েলথ গেমস এসোসিয়েশন হিসাবেও কাজ করে এবং কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ক্রীড়াবিদ নির্বাচন করার জন্য দায়ী [১]।
১৯২০ এবং ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের অলিম্পিকে অংশগ্রহণের পটভূমিকায় ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের জন্ম হয়। ১৯২০ গেমসের পর, যে কমিটি এই গেমসের জন্য দল পাঠিয়েছিল, তারা আলোচনায় বসে এবং স্যার দোরাবজি টাটার পরামর্শে ড. নোরেন (ওয়াইএমসিএ ভারত- এর শারীরিক শিক্ষা পরিচালক) কে আমন্ত্রণ জানানো হয় সম্পাদকের পদ অলঙ্কৃত করার জন্যে, অস্থায়ী ভারতীয় অলিম্পিক কমিটির এ এস ভাগওয়াত এর সাথে, তৎকালীন ভারতীয় অলিম্পিক কমিটি; স্থির হয় স্যার ডোরাব টাটা সংগঠনের সভাপতি হিসাবে কাজ করে যাবেন। এর পরে ১৯২৩ -২৪ সালে অস্থায়ী অলিম্পিক কমিটি গঠিত হয় এবং ১৯২৪ এর ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয় অল ইন্ডিয়া অলিম্পিক গেমস যা পরবর্তী কালে ন্যাশনাল গেমস অফ ইন্ডিয়া নামে পরিচিত হয়। এই গেমগুলি থেকে আটজন ক্রীড়াবিদকে নির্বাচন করা হয় ১৯২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য, ম্যানেজার হ্যারি ক্রো বাকের সাথে। এই ঘটনা ভারতের ক্রীড়া উন্নয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য উদ্দীপনা প্রদান করে। অবশেষে ১৯২৭ সালে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (আইওএ) নির্মিত হয় হ্যারি ক্রো বাক এবং ড. এ. জি. নোরেনএর উদ্যোগে [২] । এই ক্রীড়া আন্দোলনের জন্যে অর্থসহায়তা এবং অন্যান্য কাজের পক্ষে স্যার দোরাবজি টাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন এবং তিনি ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন ১৯২৭ সালে। ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সম্পাদক নির্বাচিত হন ড.নোরেন এবং জি. ডি. সোন্ধি নির্বাচিত হন প্রথম সহকারী সম্পাদক; ১৯৩৮ সালে ড.নোরেন পদত্যাগ করলে জি. ডি. সোন্ধি এবং এসএম. মঈনুল হক ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক এবং যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের জন্ম হওয়ার পরে, বাক এবং ড. নোরেন সারা ভারত জুড়ে পরিভ্রমণ করেন এবং অনেক রাজ্যকে সাহায্য করেন তাদের অলিম্পিক সংগঠন সংগঠিত করার জন্যে। ১৯২৭ সালে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন গঠনের বছর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি আইওসি। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি দ্বারা ভারতের জাতীয় অলিম্পিক সংস্থা হিসাবে স্বীকৃত হয় [১]। ১৯২৮ সালে, পাটিয়ালার মহারাজা মহারাজা ভূপেন্দ্র সিংহ ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হন [৩] ।
S.No. | Name | Tenure |
---|---|---|
১. | স্যার দোরাবিজি টাটা | ১৯২৭-১৯২৮ |
২. | মহারাজা ভূপিন্দার সিং | ১৯২৮-১৯৩৮ |
৩. | মহারাজা যাদবিন্দ্র সিং | ১৯৩৮-১৯৬০ |
৪. | শ্রী ভালিন্দ্র সিং | ১৯৬০-১৯৭৫ |
৫. | শ্রী ওম প্রকাশ মেহরা | ১৯৭৫-১৯৮০ |
৬. | শ্রী ভালিন্দ্র সিং | ১৯৮০ -১৯৮৪ |
৭. | শ্রী বিদ্যা চরণ শুক্লা | ১৯৮৪ -১৯৮৭ |
৮. | শ্রী শিবান্তি আদিঠান | ১৯৮৭ – ১৯৯৬ |
৯. | শ্রী সুরেশ কালমাডি | ১৯৯৬ – ২০১১ |
শ্রী বিজয় কুমার মালহোত্রা | ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ – ৫ ডিসেম্বর,২০১২ (কার্যনির্বাহী সভাপতি) | |
১০. | শ্রী অভয় সিং চৌতালা | ৫ ডিসেম্বর,২০১২ – ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ |
১১. | শ্রী নারায়ানা রামাচন্দ্রান | ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ – ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ |
১২. | ডঃ নরিন্দার ধ্রুভ বাত্রা | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ – বর্তমান |
S. No. | Name | Tenure |
---|---|---|
1. | ড. এ জি নোহরেন | ১৯৩৮ পর্যন্ত |
2. | প্রফেসর গুরু দত্ত সোন্ধি | ১৯৩৮ -১৯৫২ |
3. | প্রফেসর মঈন-উল-হক | ১৯৫২ - ১৯৫৬ |
4. | শ্রী অশ্বিনী কুমার | |
5. | শ্রী পঙ্কজ গুপ্তা | |
6. | শ্রী জে সি পালিওয়াল | |
7. | এয়ার ভাইস মার্শাল সি এল মেহতা | |
8. | ড. রোহণ লাল আনন্দ | |
9. | রাজারণধীর সিং | ১৯৮৭ - ২০১২ |
10. | শ্রী ললিত ভানোট | ২০১২ - ২০১৪ |
11. | শ্রী রাজীব মেহতা | ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ - বর্তমান |
২০১৭ থেকে ২০২১ সালের জন্য আইওএ নির্বাহী কমিটি নিম্নরূপঃ
জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনগুলিকে দুটি শ্রেণিতে শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে যেমন: অলিম্পিক ক্রীড়া এবং অন্যান্য স্বীকৃত ক্রীড়া
ক্রীড়া | জাতীয় পরিষদ |
---|---|
আইস হকি | আইস হকি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া |
আইস স্কেটিং | আইস স্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া |
লুগ | ইন্ডিয়ান আমেচার লুগ অ্যাসোসিয়েশন |
নিম্নলিখিত ক্রীড়া সমূহ আইওসি কর্তৃক স্বীকৃত জাতীয় ক্রীড়া ।
ক্রীড়া | জাতীয় পরিষদ |
---|---|
বিলিয়ার্ড | দ্য বিলিয়ার্ড অ্যান্ড স্নুকার ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া |
বোলিং | বোলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া |
ক্যারাটে | ক্যারাটে অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া |
নেটবল | নেটবল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া |
স্কোয়াশ | স্কোয়াশ র্যাকেটস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া |
উশু | উশু অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া |
মুয়ায় | মুয়ায় ইন্ডিয়া |
নিম্নলিখিত ক্রীড়া সমূহ আই ও সি কর্তৃক স্বীকৃত নয় ক্রীড়া হিসেবে।
ক্রীড়া | জাতীয় পরিষদ |
---|---|
আরম রেসলিং | ইন্ডিয়ান আরম রেসলিং ফেডারেশন |
কাবাডি | অ্যামেচার কাবাডি ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া |
খো খো | খো খো ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া |
ইয়াচিং | ইয়াচিং অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া |
২৬ এপ্রিল ২০১১ তারিখে, সভাপতি সুরেশ কালমাডির গ্রেপ্তারের পর বিজয় কুমার মালহোত্রা ৫ ই ডিসেম্বর ২০১২ পর্যন্ত আইওএ'র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন [৪]। ললিত ভানোটের সেক্রেটারি জেনারেল হিসাবে নির্বাচন ছিল বিতর্কিত কারণ তার বিরুদ্ধে কমনওয়েলথ গেমস কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল [৫]।
৪ই ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি আইওএর দুর্নীতি, সরকারি হস্তক্ষেপ এবং আইওসি নির্দেশিকা অনুসরণ না করার অভিযোগে আইওএকে নির্বাসিত করে।আইওএ'র বেশ কয়েকজন সদস্য কমনোয়েলথ গেমস কেলেঙ্কারি তে যুক্ত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়[৬][৭]। আইওএ কে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তাদের নির্বাচনে অলিম্পিক চার্টার অনুসরণ করার পরিবর্তে ভারতীয় সরকারের ক্রীড়া কোড অনুসরণ করার জন্যে। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশের কারণে আইওএর নির্বাচন ভারতীয় ক্রীড়া কোডের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় [৮]।
১৫ মে ২০১৩ তারিখে, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (আইওএ)এর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কারণ ভারতীয় সরকার ও ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধিরা আইওসি কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে একটি চুক্তিতে আসেন [৯]। তা সত্ত্বেও ২০১৪ সালের শীতকালীন অলিম্পিক। ২০১৪ অলিম্পিকে তিনজন ভারতীয় ক্রীড়াবিদ জাতীয় পতাকার অধীনে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি। অবশেষে আইওএ'র প্রধান নির্বাচন করার জন্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় 9 ফেব্রুয়ারি। অভয় সিং চৌতালা এবং ললিত ভানোট অযোগ্য বিবেচিত হন তাদের বিরুদ্ধে আদালতের অভিযোগ থাকার কারণে। পরিবর্তে, ওয়ার্ল্ড স্কোয়াশ ফেডারেশন এর তৎকালীন সভাপতি নারায়ণা রামচন্দ্রন আই ও এ র সভাপতি নির্বাচিত হন [১০]।
১১ ই ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। ফলস্বরূপ, ১৪ মাস পর ভারত অলিম্পিকে ফিরে আসে [১১]।