বৌদ্ধধর্ম |
---|
এর ধারাবাহিক নিবন্ধের অংশ |
![]() |
ভারতীয় উপমহাদেশে বৌদ্ধধর্মের অবনতি বলতে বোঝায় প্রাচীন ভারতে ধীরে ধীরে বৌদ্ধধর্মের প্রভাব হ্রাস ও ক্রমাবনতি। খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যেই উপমহাদেশে বৌদ্ধধর্ম একটি অপ্রধান ধর্মবিশ্বাসে পরিণত হয়েছিল।[১][২] লার্স ফোজেলিনের মতে, এই ক্রমাবলুপ্তি কোনও একক ঘটনা নয়, এমনকি কোনও একটি নির্দিষ্ট কারণেও এটি ঘটে; বরং এটি ছিল বহু শতাব্দী ধরে সংঘটিত একটি প্রক্রিয়া।[৩]
বৌদ্ধধর্মের অবনতির একাধিক কারণ চিহ্নিত করা হয়। তবে এই ঘটনার একটি প্রধান ছিল গুপ্ত সাম্রাজ্যের (৩২০-৬৫০ খ্রিস্টাব্দ) পতনের পর ভারতের আঞ্চলিকীকরণ। এই সময় ভারতীয় রাজবংশগুলি হিন্দু ব্রাহ্মণদের সেবায় আত্মনিয়োগ করলে বৌদ্ধ সংঘ তাদের পৃষ্ঠপোষকতা ও দান থেকে বঞ্চিত হয়। অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল ইন্দো-ইরানীয় হুন, শ্বেত হুন, সুন্নি মুসলমান তুর্কি-মঙ্গোলীয়, আরব ও পার্সি প্রভৃতি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর উত্তর ভারত আক্রমণ এবং তাদের দ্বারা নালন্দা প্রভৃতি বৌদ্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস ও ব্যাপক বৌদ্ধনিপীড়ন ও গণহত্যা।[৪] হিন্দুধর্ম ও পরবর্তীকালে ইসলামের সঙ্গে ধর্মীয় প্রতিযোগিতাও একটি উল্লেখযোগ্য কারণ ছিল। মনে করা হয় যে, বাংলার ইসলামীকরণ এবং দিল্লি সুলতানির সেনানায়ক মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি কর্তৃক নালন্দা, বিক্রমশিলা ও ওদন্তপুরী মহাবিহারের বিনষ্টীকরণ পূর্ব ভারতে বৌদ্ধধর্মের ভিত্তি বিশেষভাবে দুর্বল করে দিয়েছিল।[৫]
২০১০ সালে শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটান বাদে ভারতীয় উপমহাদেশে মোট বৌদ্ধ জনসংখ্যা ছিল ১ কোটি। এই জনসংখ্যার ৯২.৫ শতাংশ ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের, ৭.২ শতাংশ বাংলাদেশের এবং ০.২ শতাংশ পাকিস্তানের অধিবাসী।[৬]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Merriam155
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
Nalanda, together with the colleges at Vikramasila and Odantapuri, suffered gravely during the conquest of Bihar by the Muslim general Muhammad Bhakhtiyar Khalji between A.D. 1197 and 1206, and many monks were killed or forced to flee.