ভারতীয় খ্রিস্টান বিবাহ আইন, ১৮৭২ | |
---|---|
ভারতীয় সংসদ | |
| |
সূত্র | ভারতীয় খ্রিস্টান বিবাহ আইন, ১৮৭২ |
প্রণয়নকারী | ভারতীয় সংসদ |
সম্মতির তারিখ | ১৮ই জুলাই, ১৮৭২ |
প্রবর্তনের তারিখ | ১৮ই জুলাই, ১৮৭২ |
অবস্থা: বলবৎ |
ভারতীয় খ্রিস্টান বিবাহ আইন, ১৮৭২ সালের ভারতীয় সংসদের একটি আইন, যার উদ্দেশ্য ছিল ভারতে বসবাসকারী ভারতীয় খ্রিস্টানের আইনি বিবাহকে নিয়ন্ত্রণ করা। ১৮৭২ সালের ১৮ই জুলাই এটি কার্যকর করা হয়, এবং সারা ভারত জুড়ে এটি প্রযোজ্য। তবে, বিশেষ কিছু অঞ্চল - যেমন, কোচিন, মণিপুর, এবং জম্মু, ও কাশ্মীরে এটি প্রযোজ্য নয়।[১]
আইন অনুযায়ী বলা হয়েছে, বিবাহেচ্ছু উভয় পক্ষের অন্তত একজন যদি খ্রিস্টান হন, তাহলে বিবাহ বৈধ হবে। বিবাহ দেবার জন্য আইনতঃ বিশেষ একজন মানুষের প্রয়োজন। তিনি হতে পারেন, ভারতে কোন গির্জায় নিযুক্ত কোন কর্মচারী বা স্কটল্যান্ডের চার্চের একজন পাদরি বা একজন বিবাহ নিবন্ধক বা সরকার থেকে বিশেষ অনুমতিপ্রাপ্ত একজন ব্যক্তি। এঁদের যে কোন একজন ইচ্ছুক দম্পতির বিবাহ দিতে পারেন।[২] যিনি বিবাহ দিচ্ছেন, তিনি বিবাহের একটি প্রামাণ্য নথি প্রকাশ করেন। এই নথি বিবাহ নিবন্ধকের কাছে নথিভুক্ত করা হয়। বিবাহ নিবন্ধককে ভারত সরকার নিযুক্ত করেন। অন্য ভারতীয় বিবাহের আইনের মতই, পাত্রের জন্য ন্যূনতম বয়স ২১ বছর হওয়া দরকার এবং নববধূর জন্য ১৮ বছর হওয়া দরকার।[৩]
যিনি বিবাহ সঞ্চালক থাকবেন, তার কাছে কোন বিশেষ অনুমতি না থাকলে, বিবাহ অনুষ্ঠান অবশ্যই সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে শেষ করতে হবে। বিবাহ সাধারণত একটি গির্জায় হয়; কিন্তু ভাবী দম্পতির অবস্থানের পাঁচ মাইলের মধ্যে যদি কোন গির্জা না থাকে, তাহলে একটি উপযুক্ত বিকল্প অবস্থানেও বিবাহ হতে পারে।[১]
বিবাহ শুধুমাত্র নিম্নলিখিত শর্তাবলীতে বৈধ হবে, সেগুলি হল:[৩]
ভারতে খ্রিস্টান বিবাহ বিচ্ছেদ, ১৮৬২ সালের ভারতীয় বিবাহবিচ্ছেদ আইন (বিভাগ ১০এর অধীনে) অনুসারে, নিম্নলখিত তিনটি শর্তে হতে পারে, এগুলি হল :[৪]
১৮৭২ সালের ভারতীয় খ্রিস্টান বিবাহ আইনের অধীনে বিবাহিত একজন মহিলা, ১৮৬৯ সালের ভারতীয় বিবাহবিচ্ছেদ আইনের অধীনে তার বিবাহের বিচ্ছেদ চাইতে পারেন [৫]
যে কোন ব্যক্তি, যিনি একটি বিবাহ অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন, তিনি যদি যথাযথভাবে কর্তৃপক্ষ দ্বারা বিশেষ অনুমতিপ্রাপ্ত না হয়ে থাকেন, অথবা গির্জা দ্বারা স্বীকৃত না হন, তাকে সাত থেকে দশ বছর কারাদন্ডের মেয়াদে শাস্তি দেওয়া যেতে পারে।[১]
বিশেষ বিবাহ আইনের সাহায্যে, যে কোন ধর্মের যে কোনও মহিলা কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান না করেই বিবাহ বা পুনর্বিবাহ করতে পারেন। [৫]