পি ভারতীরাজা பாரதிராஜா | |
---|---|
জন্ম | চিন্নাস্বামী পেরিয়ামায়াতেবর ভারতীরাজা ২৩ আগস্ট ১৯৪২[১] |
পেশা | চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্য পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯৭৭-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | চন্দ্রলীলা |
সন্তান | মনোজ, জননী |
পিতা-মাতা |
|
পুরস্কার | পদ্মশ্রী (২০০৪) |
পেরিয়ামায়াতেবর ভারতীরাজা (জন্মঃ ২৩ আগস্ট ১৯৪২) যিনি পি ভারতীরাজা বা ভারতীরাজা নামে সমধিক পরিচিত, ভারতের তামিল চলচ্চিত্র জগতের একজন খ্যাতিমান পরিচালক। তিনি তামিল চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেছিলেন ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ১৬ ভায়াথিনিলে-এর মাধ্যমে। তিনি গ্রামীণ জীবন সুন্দর ভাবে চলচ্চিত্রে ফুটিয়ে তোলার জন্য পরিচিতি পেয়ে গিয়েছিলেন "১৬ ভায়াথিনিলে"-এর জন্য। তিনি ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছয়টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, চারটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ, দুটি তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং একটি নন্দী পুরস্কার পেয়েছিলেন। মূলত তামিল ভাষার চলচ্চিত্র পরিচালনা করলেও ভারতীরাজা তেলুগু এবং হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রও গুটিকয়েক পরিচালনা করেছেন। চলচ্চিত্র জগতে ভালো অবদানের জন্য ভারতীরাজা ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন ২০০৪ সালে।
ভারতীরাজা প্রথমে একজন কন্নড় চলচ্চিত্র পরিচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন, ঐ পরিচালকের নাম ছিলো 'পুট্টানা কানাগাল' (এই পরিচালক আবার ১৯৭৪ সালের হিন্দি চলচ্চিত্র "য্যাহরিলা ইনসান" পরিচালনার জন্য স্মরণীয়)।[৩] এরপর ভারতীরাজা পি. পুল্লাইয়াহ (তেলুগু চলচ্চিত্র পরিচালক), এম কৃষ্ণ নায়ার (মালয়ালম চলচ্চিত্র পরিচালক)[৪], অবিনাশি মণি (তামিল চলচ্চিত্র পরিচালক) এবং এ জগন্নাথ (তামিল- তেলুগু-হিন্দি চলচ্চিত্র পরিচালক) দের মত খ্যাতিমান পরিচালকদের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। ভারতীরাজার প্রথম একক পরিচালনার চলচ্চিত্র "১৬ ভায়াথিনিলে" (১৯৭৭) ছিলো গ্রামীণ পটভূমিতে নির্মিত, তামিল চলচ্চিত্র জগতে গ্রামীণ পটভূমির চলচ্চিত্র এই প্রথম না হলেও ভারতীরাজা ব্যতিক্রমে স্বাদে চলচ্চিত্র বানিয়েছিলেন কমল হাসন, শ্রীদেবী এবং রজনীকান্তকে, চলচ্চিত্রটি ছিলো তামিল সংলাপের দুরূহতা এবং কাহিনীর মননশীলতার জন্য বিখ্যাত। প্রথমে চলচ্চিত্রটি সাদাকালো রঙে তৈরি হতে গিয়েছিলো, ভারত সরকারের খরচ দেবার কথা থাকলেও পরে চলচ্চিত্রটি ব্যক্তিগত খরচে নির্মিত হয় এবং মুক্তি পাবার পর ব্যবসায়িক সাফল্য পায়।[৫] ভারতীরাজা এরপর "কিড়াকে পোগুম রেল" নির্মাণ করেন রতি অগ্নিহোত্রী এবং কে. ভাগ্যরাজকে নিয়ে কিন্তু চলচ্চিত্র-সমালোচকদের তোপের মুখে পড়ে তিনি শহুরে চলচ্চিত্র "ছিগাপ্পু রোজাক্কাল" (১৯৭৮) নির্মাণ করেন, যদিও এই চলচ্চিত্রটি পুরোপুরি শহুরে জীবন নিয়ে নয় কিন্তু তাও গ্রামীণ জীবন কেন্দ্রিক নয়।[৬]
ভারতীরাজা "নীড়ালগাল" (১৯৮০) এবং "টিক টিক টিক" (১৯৮১) বানান, কিন্তু আবার তার মন গ্রামীণ পটভূমির দিকে চলে যায়, তাই তিনি সবকিছু উপেক্ষা করে আবার গ্রামীণ পটভূমিতে নির্মিত চলচ্চিত্র "আলাইগাল ওইভাতিল্লাই" (১৯৮১) বানান, নবাগত রাধা এবং কার্তিককে দিয়ে বানানো প্রণয়ধর্মী এই চলচ্চিত্রটি তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিলো। এছাড়া "মন বাসনাই" (১৯৮৩), "মুদাল মারিয়াদাই" (১৯৮৫) চলচ্চিত্রও ছিলো গ্রামের কাহিনীর, 'মুদাল মারিয়াদাই'তে মহানায়ক শিবাজি গণেশনকে নিয়েছিলেন ভারতীরাজা, এছাড়া এই চলচ্চিত্রটিতে রাধাও ছিলেন।[৭]