ভারতে কন্যাশিশু হত্যার ইতিহাস কয়েক শতক ধরে চলমান এক ইতিহাস। দারিদ্র্য, যৌতুক ব্যবস্থা, আজন্ম অবিবাহিত থাকা, বিকৃত দেহ, দুর্ভিক্ষ, অভাব, শিক্ষায় অসমর্থন ইত্যাদি কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকে। কন্যা শিশুসুরক্ষা অবমাননা বা হত্যা করা ভারববর্ষে একটি গর্হিত অপরাধ এবং এই বিষয়ে কঠোর নিয়ম কানুন থাকলেও এ আইনের প্রয়োগ বা এ বিষয়ে রুজু হওয়া রিপোর্টের সংখ্যা খুব কম। ২০১০ সালে পেশ করা এক রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ভারতে এমন হত্যার সংখ্যা মাত্র ১০০ জন, যা কিনা দেশের মোট জনগণের মধ্যে এক লক্ষে একজন করে ( যা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়)।
ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থা বিচার করে দেখা যায়, এখানে লিঙ্গ-নির্ধারক পরীক্ষার মাধ্যমে শিশুর গর্ভপাত ঘটিয়ে অনেক শিশু হত্যাই তার জন্মের পূর্বেই সম্পাদিত হয়। ১৯৯১ ভারতীয় জনসংখ্যা গণণায় এই রকমই তথ্য প্রকাশ পায়, যা এখনো বর্তমান। একটি রিপোর্ট মতে, বিগত ২০ বছরে ভারতে প্রায় ১ কোটি কন্যাভ্রুণ হত্যা করা হয়েছে।[১]
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩১৫ নং ধারা অনুযায়ী ০-১ বয়সী শিশুকে এই আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং এই আইনটি শিশুভ্রুণ হত্যা ও শিশুপীড়ণ বা তাদের হত্যার বিরুদ্ধে রচিত।[২][ক][৪][৫][৬]
ব্রিটিশ ভারতেই কন্যা শিশু হত্যা ও তার নিরোধের বিষয়ে চর্চা হতে শুরু করে প্রায় ১৭৮৯ সাল থেকে, যখন কোম্পানি-নিয়ম প্রচলিত ছিল।[৭] গিফট অব আ গারল ফিমেল ইনফ্যান্টিসাইড নামক একটি তথ্যচিত্র ১৯৯৮ সালে ভারতের দক্ষিণ অঞ্চলে কন্যা শিশুহত্যা বিষয়ে তৈরী হয় এবং তা এসোসিয়েশন ফর এশিয়ান স্টাডিজ থেকে তথ্যচিত্র পুরস্কার জেতে।[৮][৯]