এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
এক্সপ্রেসওয়েসমূহ ভারতের সর্বোচ্চ শ্রেণির সড়ক। ভারতে, এক্সপ্রেসওয়েসমূহ হল প্রবেশাধিকার-নিয়ন্ত্রিত মহাসড়ক, যেখানে প্রবেশ ও প্রস্থান র্যাম্প ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রিত হয়, যা এক্সপ্রেসওয়ের নকশায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়, অপর দিকে জাতীয় সড়কসমূহ হল ভূমিগত সড়ক। কিছু সড়ক প্রবেশাধিকার-নিয়ন্ত্রিত এক্সপ্রেসওয়ে নয়, তবে এখনও তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে এক্সপ্রেসওয়ে বলা হয়, যেমন বিজু এক্সপ্রেসওয়ে ও রায়পুর–বিলাসপুর এক্সপ্রেসওয়ে।
ভারতের গ্রীনফিল্ড এক্সপ্রেসওয়েসমূহকে ৮-লেনের প্রাথমিক নির্মাণের সাথে ১২-লেন প্রশস্ত এক্সপ্রেসওয়ে হিসাবে নকশা করা হয়েছে। ৪-লেনের ভবিষ্যত সম্প্রসারণের জন্য জমি এক্সপ্রেসওয়েগুলির মধ্যে সংরক্ষিত আছে। গ্রীনফিল্ড এক্সপ্রেসওয়েসমূহ জনবসতিপূর্ণ এলাকাসমূহকে এড়াতে ও নতুন অঞ্চলে উন্নয়ন ঘটানোর জন্য এবং জমি অধিগ্রহণের খরচ ও নির্মাণের সময়সীমা কমাতে নতুন সারিবদ্ধকরণ মাধ্যমে নকশা করা হয়েছে। দিল্লি–মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে প্রাথমিক ৮-লেন নির্মাণের সঙ্গে একটি নতুন ১২-লেন অভিগমনেরর একটি দুর্দান্ত উদাহরণ।
এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের সিংহভাগই আসে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে। উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র হল একমাত্র রাজ্য যারা ডেডিকেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশনের মাধ্যমে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে বিনিয়োগ করেছে।[১]
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রকের অধীনে পরিচালিত ন্যাশনাল এক্সপ্রেসওয়ে অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এনইএআই) এক্সপ্রেসওয়েসমূহ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে।[২] ভারত সরকারের জাতীয় মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের লক্ষ্য হল দেশের বর্তমান এক্সপ্রেসওয়ে নেটওয়ার্ক প্রসারিত করা এবং বিদ্যমান জাতীয় সড়কসমূহ ছাড়াও ২০২২ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ১৮,৬৩৭ কিলোমিটার গ্রিনফিল্ড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা।[৩]
ভারতমালা হল কেন্দ্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং ভারত সরকারের অর্থায়নে গঠিত একটি সড়ক ও মহাসড়ক প্রকল্প,[৪] যা পরবর্তী পাঁচ বছরে ৮৩,৬৭৭ কিমি[৫] নতুন মহাসড়ক নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিল।[৬] ভারতমালা প্রকল্পের প্রথম ধাপে ২০২১-২২ সালের মধ্যে ₹৫.৩৫ লক্ষ কোটির আনুমানিক ব্যয়ে ৩৪,৮০০ কিলোমিটার মহাসড়ক (এনএইচডিপি-এর অধীনে অবশিষ্ট প্রকল্পগুলি সহ) নির্মাণ কাজ জড়িত রয়েছে।[৭]
২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত, ভারত সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রক দ্বারা আটটি এক্সপ্রেসওয়েকে জাতীয় এক্সপ্রেসওয়ে (এনই) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। তালিকাটি নিম্নরূপ:
এক্সপ্রেসওয়ে | দৈর্ঘ্য (কিমি) | এনই হিসাবে ঘোষিত | |
---|---|---|---|
এনই ১ | আহমেদাবাদ–বড়োদরা এক্সপ্রেসওয়ে | ৯৩ | ১৩ মার্চ ১৯৮৬[৮] |
এনই ২ | ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ে (কেজিপি) | ১৩৫ | ৩০ মার্চ ২০০৬[৯] |
এনই ৩ | দিল্লি–মিরাট এক্সপ্রেসওয়ে | ৯৬ | ১৮ জুন ২০২০[১০] |
এনই ৪ | দিল্লি–মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের বড়োদরা–মুম্বাই বিভাগ | ৩৮০ | ১ জানুয়ারি ২০২০[১১] |
এনই ৫ | দিল্লি–অমৃতসর–কাটরা এক্সপ্রেসওয়ের দিল্লি–নাকোদার–গুরুদাসপুর বিভাগ | ৩৯৮ | ২৫ জুন ২০২০[১২] |
এনই ৫এ | দিল্লি–অমৃতসর–কাটরা এক্সপ্রেসওয়ের নাকোদার–অমৃতসর বিভাগ | ৯৯ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০[১৩] |
এনই ৬ | লখনউ–কানপুর এক্সপ্রেসওয়ে | ৭৪ | ১৫ ডিসেম্বর ২০২০[১৪] |
এনই ৭ | ব্যাঙ্গালোর–চেন্নাই এক্সপ্রেসওয়ে | ২৫৮ | ১ জানুয়ারি ২০২১[১৫] |
মোট | ১,৫৩৩ |
শুধুমাত্র কার্যক্ষম দৈর্ঘ্য ও চূড়ান্ত সমাপ্তির বছর দেখানো হয়েছে। এই টেবিলে তালিকাভুক্ত মোট দৈর্ঘ্য হল ২,০৩৭.১ কিমি (১,২৬৫.৮ মাইল)। দ্রষ্টব্য: প্র.নি. = প্রবেশাধিকার-নিয়ন্ত্রিত এক্সপ্রেসওয়ে।
নাম | রাজ্য | দৈর্ঘ্য (কিমি/মেইল) | লেন | সমাপ্তির বছর | ওএসএম | মন্তব্য |
---|---|---|---|---|---|---|
পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে(প্র.নি.)[১৬] | উত্তরপ্রদেশ | ৩৪০.৮ কিমি ২১১.৮ মা |
৬ | নভেম্বর ২০২১ | ভারতের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে | |
আগ্রা লখনউ এক্সপ্রেসওয়ে (প্র.নি.)[১৭] | উত্তরপ্রদেশ | ৩০২.২ কিমি ১৮৭.৮ মা |
৬ | ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস | [১৮] | ভারতের ২য় দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে[১৯] |
যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে (প্র.নি.)[২০][২১] | উত্তরপ্রদেশ | ১৬৫.৫ কিমি ১০২.৮ মা |
৬ | আগস্ট, ২০১২ | [২২] | |
বহিঃস্থ চক্রপথ, হায়দ্রাবাদ (প্র.নি.)[২৩] | তেলেঙ্গানা | ১৫৮ কিমি ৯৮.২ মা |
৮ | এপ্রিল, ২০১৮ | [২৪] | |
ওয়েস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ে (প্র.নি.) | হরিয়ানা | ১৩৫.৬ কিমি ৮৪.৩ মা |
৬ | নভেম্বর, ২০১৮ | [২৫] | |
ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ে (প্র.নি.) | উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা | ১৩৫ কিমি ৮৩.৯ মা |
৬ | মে, ২০১৮ | [২৬] | এনই২ |
দিল্লি–মিরাট এক্সপ্রেসওয়ে (প্র.নি.)[২৭] | দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ | ৯৬ কিমি ৫৯.৭ মা |
৬-১৪ | এপ্রিল, ২০২১ | এনই৩ হল ভারতের প্রশস্ততম এক্সপ্রেসওয়ে (১৪-লেন)[২৮] | |
মুম্বই-পুনে এক্সপ্রেসওয়ে (প্র.নি.)[২৯] | মহারাষ্ট্র | ৯৪.৫ কিমি ৫৮.৭ মা |
৬ | এপ্রিল, ২০০২ | [৩০] | ভারতের প্রথম ৬-লেন প্রশস্ত এক্সপ্রেসওয়ে |
আহমেদাবাদ–বড়োদরা এক্সপ্রেসওয়ে (প্র.নি.)[৩১] | গুজরাত | ৯৩.১ কিমি ৫৭.৮ মা |
৪ | আগস্ট, ২০০৪ | এনই১ | |
জয়পুর–কিষাণগড় এক্সপ্রেসওয়ে (প্র.নি.)[৩২] | রাজস্থান | ৯০ কিমি ৫৫.৯ মা |
৬ | এপ্রিল, ২০০৫ | এনএইচ-৮-এর একটি অংশ গঠন করে | |
চেন্নাই বাইপাস (প্র.নি.)[৩৩] | তামিলনাড়ু | ৩২ কিমি ১৯.৯ মা |
৪-৬ | ২০১০ | [৩৪] | |
দিল্লী-গুড়গাঁও এক্সপ্রেসওয়ে (প্র.নি.)[৩৫] | দিল্লি, হরিয়ানা | ২৭.৭ কিমি ১৭.২ মা |
৬-৮ | জানুয়ারি, ২০০৮ | [৩৬] | স্বর্ণ চতুর্ভুজ-এর অংশ |
নয়ডা-বৃহত্তর নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে (প্র.নি.)[৩৭] | উত্তরপ্রদেশ | ২৪.৫ কিমি ১৫.২ মা |
৬ | ২০০২ | [৩৮] | |
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে (প্র.নি.) | পশ্চিমবঙ্গ | ১৬ কিমি ৯.৯ মা |
৪ | ২০০৮ | এএইচ১-এর অংশ | |
পি. ভি. নরসিমা রাও এক্সপ্রেসওয়ে (প্র.নি.)[৩৯][৪০] | তেলেঙ্গানা | ১১.৬ কিমি ৭.২ মা |
৪ | অক্টোবর, ২০০৯ | ||
পানিপথ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে(প্র.নি.)[৪১] | হরিয়ানা | ১০ কিমি ৬.২ মা |
৬ | জানুয়ারি, ২০০৮ | ||
দিল্লি–নয়ডা ডাইরেক্ট ফ্লাইওয়ে (ডিএনডি) (প্র.নি.)[৪২] | দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ | ৯.২ কিমি ৫.৭ মা |
৮ | জানুয়ারি, ২০০১ | ভারতের প্রথম ৮-লেন প্রশস্ত এক্সপ্রেসওয়ে | |
দিল্লি–ফরিদাবাদ স্কাইওয়ে (প্র.নি.)[৪৩][৪৪] | দিল্লি, হরিয়ানা | ৪.৪ কিমি ২.৭ মা |
৬ | নভেম্বর, ২০১০ | এনএইচ৪৪-এর অংশ | |
মোট | ২,০৩৭.১ কিমি ১,২৬৫.৮ মা |