কারিগরি সমস্যার কারণে গ্রাফ এই মূহুর্তে অস্থায়ীভাবে অনুপলব্ধ রয়েছে। |
ভারতের নবায়নযোগ্য শক্তির অংশ হিসাবে ভারতে সৌর শক্তি একটি দ্রুত বিকাশমান শিল্প। দেশটির সৌর স্থাপিত ক্ষমতা ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৪৮.৫৫৬ গিগাওয়াট ছিল।[২]
ভারত সরকারের ২০২২ সালের জন্য ২০ গিগাওয়াট সৌর শক্তি উৎপাদনের স্থাপিত ক্ষমতা অর্জনের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল, যা নির্ধারিত সময়ের চার বছর আগেই অর্জিত হয়েছিল।[৩] ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ সহ ২০১৫ সালে লক্ষ্যমাত্রা ২০২২ সালের মধ্যে ১০০ গিগাওয়াট সৌর শক্তি উৎপাদনের সক্ষমতায় (ছাদের সৌর বিদ্যুৎ থেকে ৪০ গিগাওয়াট সহ) উন্নীত করা হয়েছিল।[৪][৫] ভারত সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র শুরু করতে জমি উপলব্ধ করার জন্য প্রায় ৪২ টি সোলার পার্ক স্থাপন করেছে। নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক বলেছিল, যে আরও ৩৬.০৩ গিগাওয়াট (৩১ জানুয়ারি, ২০২১ সাল পর্যন্ত) সক্ষমতার সৌর প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে এবং ২৩.৮৭ গিগাওয়াট সক্ষমতার সৌর প্রকল্পগুলি দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।[৬]
ছাদে উৎপাদিত সৌরবিদ্যুৎতের পরিমাণ ২.১ গিগাওয়াট, যার ৭০% শিল্প বা বাণিজ্যিক।[৭] বৃহৎ আকারের গ্রিড-সংযুক্ত সৌর ফটোভোলটাইক (পিভি) উদ্যোগের পাশাপাশি, ভারত স্থানীয় শক্তির প্রয়োজনের জন্য অফ-গ্রিড সৌর শক্তি বিকাশ করছে।[৮] সৌর পণ্য গ্রামীণ চাহিদা পূরণে ক্রমবর্ধমান সাহায্য করেছে; দেশে ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ মাত্র এক মিলিয়ন সৌর লণ্ঠন বিক্রি হয়েছে, যা কেরোসিনের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করেছে।[৯] সেই বছর, ১,১৮,৭০০ টি সোলার হোম লাইটিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছিল এবং একটি জাতীয় কর্মসূচির অধীনে ৪৬,৬৫৫ টি সোলার স্ট্রিট লাইটিং স্থাপন করা হয়েছিল;[৯] ভারতে মাত্র ১৪ লক্ষ (১.৪ মিলিয়ন) সোলার কুকার বিতরণ করা হয়েছিল।[৯]
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে ভারত কর্তৃক প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক সৌর জোটের (আইএসএ) সদর দপ্তর ভারতে অবস্থিত। ভারত বিশ্বব্যাপী প্রচুর সৌরশক্তি ব্যবহার করার জন্য "এক সূর্য এক বিশ্ব এক গ্রিড" ও "বিশ্ব সৌর ব্যাঙ্ক" ধারণাকেও সামনে রেখেছে।[১০][১১]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; ach
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি