ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন ইন্টারনেটের একটি ভার্চুয়াল “টানেল” যার মাধ্যমে ডাটা কম্পিউটার থেকে আদান প্রদান করতে পারে। ভিপিএন বলতে একটি কাল্পনিক প্রাইভেট নেটওয়ার্কের কথা বলা হচ্ছে।[১]
এই ভার্চুয়াল কাল্পনিক সুড়ঙ্গটির মাধ্যমে একটি ভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত প্রাইভেট নেটওয়ার্ক এর সাথে ডিভাইসকে সংযুক্ত করা সম্ভব৷ এতে কোন পাবলিক নেটওয়ার্ক এর আওতাধীন থেকেও ইন্টারনেট ব্যবহারকালীন কোন প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ব্যবহারের যেসকল সুবিধা পাওয়া যায়, সেসকল সুবিধা পাওয়া সম্ভব। এরফলে ব্যবহারকারী তার ইন্টারনেট ব্যবহারের তথ্যাদি গোপন রাখতে পারে এবং নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। এক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয়, অন্য একটি অঞ্চলের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে স্বশরীরে সেইখানে উপস্থিত থাকতে হচ্ছে না, বরং ভার্চুয়ালভাবেই একটি সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সেই ভিন্ন অঞ্চলের প্রাইভেট নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত হতে ও ব্যবহার করতে পারছে। এজন্যই এটির নামকরন করা হয়েছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন)।[২]
ভিপিএন কে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যথাঃ
১। ট্রাফিক প্রটোকলে ব্যবহারিত টানেল
২। টানেল টারমিনাশন পয়েন্ট
৩। নিরাপত্তা প্রদান এর টানেল
৪। দূরবর্তী আক্সেস এর টানেল
একটি VPN সার্ভারে VPN ক্লায়েন্ট একটি বাহ্যিক নেটওয়ার্ক ইন্টারফেসের মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারেন।
ভিপিএন নেটওয়ার্ক ফ্রী কিংবা প্রিমিয়াম হতে পারে। ফ্রী ভিপিএন নেটওয়ার্ক দিয়ে থাকে ওপেন ভিপিএন। এছাড়াও কিছু ভিপিএন নেটওয়ার্ক ফ্রী ও প্রিমিয়াম উভয় সার্ভিস দিয়ে থাকে। তবে ফ্রী অ্যাকাউন্ট এর ক্ষেত্রে লিমিটেড আক্সেস বরাদ্দ থাকে যাতে করে নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করতে পারা যায়।
ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি তথ্য উৎস থাকে যার থেকে প্রাপ্ত ডাটা বা তথ্য ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্যবহারকারী ইন্টারনেট এর সুবিধা ভোগ করে থাকে। পাবলিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই তথ্যের উৎস হয় লোকাল ইন্টারনেট সার্ভিস বা যে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ইন্টারনেট এর সুবিধা গ্রহন করা হচ্ছে সেই নেটওয়ার্কটি। কিন্তু যখন ভিপিএন ব্যবহার করা হয়, তখন আর এই তথ্যের উৎস এই স্থানীয় ইন্টারনেট সার্ভিস থাকে না, তথ্যের উৎস হিসেবে তখন ভিপিএন কোম্পানীগুলোর যে নিজস্ব সার্ভার রয়েছে সেগুলো ব্যবহৃত হয়। যেহেতু ভিপিএন কোম্পানীগুলোর সার্ভারের এই নেটওয়ার্কগুলো প্রাইভেট এবং নিরাপদ, তাই আপনার ইন্টারনেট ব্যবহারের তথ্যাদি আর স্থানীয় ইন্টারনেট সার্ভিস বা যেই পাবলিক নেটওয়ার্কটির আওতায় ইন্টারনেট ব্যবহার করছিলেন সেটির নিকট প্রকাশ হয়না, কারন সেটি আর ডাটা সোর্স বা তথ্যের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একটি নিজস্ব আইপি এড্রেস থাকে, যার দ্বারা তাকে আলাদাভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। কিন্তু ভিপিএন ব্যবহারের ফলে ব্যবহারকারীর আইপি এড্রেস দ্বারা আর তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়না, ভিপিএন এই আইপি এড্রেসটি বদলে দেয়। এভাবে ভিপিএন এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
কিছু অঞ্চল বা দেশ থেকে নির্দিস্ট ওয়েবসাইট খুব ধীরে লোড হয় বা কোন গেম চলাকালীন অনেক আটকে যাওয়ার ঘটনা ঘটে৷ ভিপিএন ব্যবহারের মাধ্যমে যে দেশ বা অঞ্চল থেকে সেই ওয়েবসাইটটি দ্রুত লোড করা সম্ভব সেখানের সার্ভারে সংযুক্ত হওয়া যায় এবং সেসব ওয়েবসাইট দ্রুতগতিতে ব্যবহার করা যায় এবং বাধাহীনভাবে গেম খেলা যায়।[৩]
ভিপিএন বিভিন্ন ম্যালওয়ার বা পপ আপ বিজ্ঞাপন যা ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর তথ্যাদি নজরদারি করতে পারে তাদের আটকে দেয়৷ ফলে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বজায় থাকে।
বিভিন্ন ভিপিএন সার্ভিস রয়েছে তবে আপনাদের ভিপিএন ব্যবহারের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি আপনাদের দেখাব ।
সফটওয়্যার টির নাম SpotFlux.ডাউনলোড করে নিনঃ এখান থেকে
ইন্সটল করুন তারপর রান করুন এরকম উইন্ডো আসবে ।
এটি মুলত ওপেন ভিপিএন এর সারভার ব্যবহার করে। তবে ভাল কাজ করে এবং কোন ধরনের রেজিস্ট্রেশান এর প্রয়োজন নেই । সফটওয়্যার টির জন্য প্রয়োজন হবে জাভা এনভাইরনমেন্ট। আপনার কম্পিউটার এ না থাকলে ইন্সটলেশন এর সময় জাভা ইন্সটল হতে থাকবে । [৪]