লেসার কি, মিউনিখ বারনিখ, রুড ও ওয়েয়ারের বইগুলোতে ভালাককে সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়। এই সমস্ত বইয়ের বর্ণনায় ভালাকের সাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা সম্পর্কে জানা যায়।[৬][৯][২][৩]অফিসিয়াম স্পিরিচুয়াম-এ ডুলাসকে অত্যন্ত ক্ষমতাধর বর্ণনা করা হলেও, সর্বোত্তম ক্ষমতাধর বলা হয়নি। তবে এই গ্রন্থে সাপেদের নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মানববসতিতে থাকা আত্মাদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বলা হয়েছে।[৪][৫]
লেসার কি-তে (এবং সেই অনুসারে রুড) ভালাককে তালিকার ৬২তম এবং ওয়েয়ারে তালিকার ৫০তম স্থানে রাখা হয়েছে। উভয় সংস্করণেই বলা হয়, ভালাক ৩০ দল শয়তানের নেতৃত্ব দেয়। তবে কিছু কিছু পাণ্ডুলিপিতে সংখ্যাটি ৩৮ হিসেবে বর্ণিত।[৯][২][৩]মিউনিখ বারনিখ-এর বর্ণনায় ভোলাখ ২৭ দল শয়তানের নেতা।[৬][৭][৮]অফিসিয়াম স্পিরিচুয়াম-এ (পাণ্ডুলিপির ওপর নির্ভর করে) কুলরকে তালিকার ২১তম (এখানে দলের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি)[১০] বা ২২তম (ফোলজার শেক্সপিয়ার গ্রন্থাগারে রক্ষিত কপি) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে কুলর ১৩ দল আত্মাকে নিয়ন্ত্রণ করে।[৫]অফিসিয়াম স্পিরিচুয়াম-এর সকল বর্ধিত ও পূর্ণাঙ্গ সংস্করণে ডুলাসকে ২০ দল শয়তানের নেতা হিসেবে ২৫তম স্থানে রাখা হয়েছে।[১১][৫]
শুধুমাত্র রুডের বইয়ে শেমহামফরাশ (ইহুদি ধর্মে ঈশ্বরের নাম) ফেরেশতা ইয়াহেলের বিপরীতে ভালাকের বৈরিতা বর্ণনা করা হয়েছে।[১২]
ফ্যাসিকুলাস রেরাম জিয়োম্যান্টিক্যারাম নামক একটি পাণ্ডুলিপিতে তাকে “ভোলাখ” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।[১৩]
হেলবয়-এর একটি গল্প “বক্স ফুল অব ইভিল”-এ প্রধান খলচরিত্র ছিল “উয়ালাক”।
২০১৬-এর ভৌতিক চলচ্চিত্র দ্য কনজ্যুরিং ২-এ ভালাক প্রধান খলচরিত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়। চলচ্চিত্রে তাকে এক শয়তানি সন্ন্যাসিনী এবং দেয়ার ওয়াজ অ্যা ক্রুকড ম্যান ছড়ার দুষ্টু লোকের বেশে আবির্ভূত হয়। কিন্তু শুধুমাত্র নাম ছাড়া কিংবদন্তি ভালাকের আর কোনো রূপই চলচ্চিত্রে দেখানো হয়নি। চলচ্চিত্রে দেখানো হয়, ভালাকের সহযোগী হলো সাপ। ভালাক রোমানিয়ার কার্থা মঠে বহুবছর ধরে আটকে আছে। সেখান থেকে বেরোনোর জন্য তার মানবশরীরের প্রয়োজন। এরপর ২০১৭ সালে অ্যানাবেল: ক্রিয়েশন চলচ্চিত্রে ক্ষণিকের জন্য উপস্থিত হওয়ার পর ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ভালাককে প্রধান চরিত্র করে স্পিন-অফ চলচ্চিত্র দ্য নান মুক্তি দেওয়া হয়।
২০১৭ সালের মাঙ্গা ওয়েলকাম টু ডেমন স্কুল! ইরুমা-কুন-এর প্রধান চরিত্রের নাম ছিল ক্লারা ভালাক। অতিসক্রিয় ক্লারা যা দেখতো, হুবহু তারই প্রতিরূপ তৈরি করতে পারত।