ভাল্কি Dusky Partwing | |
---|---|
ডানা বন্ধ অবস্থায় | |
ডানা খোলা অবস্থায় | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Arthropoda |
শ্রেণী: | Insecta |
বর্গ: | Lepidoptera |
পরিবার: | Hesperiidae |
গণ: | Psolos |
প্রজাতি: | P. fuligo |
দ্বিপদী নাম | |
Psolos fuligo (Mabille, 1876)[১] | |
প্রতিশব্দ | |
Sancus fuligo |
ভাল্কি[২] (বৈজ্ঞানিক নাম: Psolos fuligo (Mabille)) 'হেসপারিডি' (Hespaeriidae) বা স্কিপারস (Skippers) গোত্র ও 'হেসপারিনি' (Hesperiinae) উপ-গোত্রের অন্তর্ভুক্ত প্রজাতি।[৩]
ভাল্কি এর প্রসারিত অবস্থায় ডানার আকার ৩৬-৪৬ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়।[৩]
ভারত (পশ্চিমঘাট পর্বত, কেরালা, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, অসম থেকে অরুণাচল প্রদেশ ও উত্তর পূর্ব ভারত) বাংলাদেশ ও মায়ানমার[৪] এর বিভিন্ন অঞ্চলে এদের পাওয়া যায়।[৫]
প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিষদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:-
স্ত্রী-পুরুষ উভয় প্রকারেই ডানার উপরিতল চকচকে ঘন বাদামি এবং সামনের ও পিছনের ডানা সম্পূর্ণ দাগ-ছোপ হীন।
ডানার নিম্নতল উপরিতল অপেক্ষা ফ্যাকাশে বাদামি ও বেগুনি (purple) আভাযুক্ত। সামনের ডানার শীর্ষে (apex) ধূসর বেগুনি (purple -grey) ছোপ বর্তমান। ৪ থেকে ৯ নং শিরামধ্যে কতগুলি ছোপ লক্ষ্য করা যায়।
পিছনের ডানার মধ্যভাগে ও প্রান্তে অস্পষ্ট ধূসর বেগুনি বন্ধনী চোখে পরে। ২ থেকে ৫ নং শিরামধ্যে ছোট, আবছা ও ফ্যাকাশে ৪ টি সরলরৈখিকভাবে অবস্হিত ডিসকাল ছোপ চোখে পরে। ৬ নং শিরামধ্যে অপর অনুরূপ ডিসকাল ছোপটি ছোপসারির থেকে খানিকটা ভিতরদিকে অবস্থিত এবং ৭ নং শিরামধ্যে আরও ভিতরদিকে আরও একটি অনুরূপ ছোপ বর্তমান। সেল-এর উপরি কিনারার মধ্যভাগে একটি ছোপ বিদ্যমান। পুরুষ ও স্ত্রী প্রকার অনুরূপ, তবে পুরুষ প্রকারে সামনের ডানার নিম্নতলে ২ নং শিরার উৎসস্হলের নিচে একটি চকচকে দাগ (brand) দেখা যায়।
শুঙ্গ কালো; মাথা, বক্ষদেশ ও উদর উপরিতলে ঘন বাদামি এবং নিম্নতলে ফ্যাকাশে বাদামি।[৬][৭]
সুলভ-দর্শন এই প্রজাতির উড়ান দুর্বল, ধীর ও অলস। যে কোনো ভারতীয় স্কিপার প্রজাতির তুলনায় এদের উড়ান দুর্বলতর ।এরা ভূমির কাছাকাছি নিচ দিয়ে ওড়ে। ছায়াময় পরিবেশ ও বাসভূমি এদের ভীষণ পছন্দের, তাই এরা ঘন ঝোপঝাড় ও ঘন জঙ্গলের ভিতরেই থাকে। মাঝেমধ্যে ঝোপঝাড় ও ঘন জঙ্গলের ভিতর থেকে বেরিয়ে জঙ্গলের পথে খানিক বিচরণ করে আবার সেখানেই ফিরে যায়। পাতায় ও ফুলে বসে এই প্রজাতিকে রোদ পোহাতে ও মধুপান করতে দেখা যায়; তবে সচরাচর মাটিতে অবস্থান করে না। পাতায় বসার সময় এরা ডানা খাঁড়া করে বসে, কিন্তু সামনের ডানা দুটি সামান্য ফাঁক করে রাখে (parted) এবং দুই ডানার শীর্ষ কখনো একে ওপরের সাথে জোড়া লাগায় না। বসার এই বিশেষ ভঙ্গিমার কারণেই এদের ডাস্কি পার্টউইং নামকরণ হয়েছে। পশ্চিমঘাট পর্বতে বর্ষার মাসগুলো থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চিরহরিৎ বনাঞ্চলে এদের উপস্থিতি খুবই প্রাচুর্যপূর্ণ (abundant)।[৮]