ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | বক্কডি বিক্ষিশরণ চন্দ্রশেখরন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মাদ্রাজ, মাদ্রাজ রাজ্য, ভারত | ২১ আগস্ট ১৯৬১||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৫ আগস্ট ২০১৯ চেন্নাই, তামিলনাড়ু, ভারত | (বয়স ৫৭)||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৬৮) | ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৮ বনাম নিউজিল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৮ মার্চ ১৯৯০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৬/৮৭ - ১৯৯৪/৯৫ | তামিলনাড়ু | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৫/৯৬ - ১৯৯৭/৯৮ | গোয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ |
বক্কডি বিক্ষিশরণ চন্দ্রশেখর (তামিল: வ. பி. சந்திரசேகர்; জন্ম: ২১ আগস্ট, ১৯৬১ - মৃত্যু: ১৫ আগস্ট, ২০১৯) মাদ্রাজ রাজ্যের মাদ্রাজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ সময়কালে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে তামিলনাড়ু ও গোয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, দলের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন ভি. বি. চন্দ্রশেখরন নামে পরিচিত ভি. বি. চন্দ্রশেখর।
১৯৮৬-৮৭ মৌসুম থেকে ১৯৯৭-৯৮ মৌসুম পর্যন্ত ভি. বি. চন্দ্রশেখরের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে তামিলনাড়ু ও গোয়া দলের পক্ষে খেলেছেন তিনি। ১৯৮৬ সালে তামিলনাড়ুর পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ভি. বি. চন্দ্রশেখরের।[১] এ দলটির পক্ষে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম পর্যন্ত খেলেন। এ সময়কালে চন্দ্রশেখর তামিলনাড়ুর প্রধান ব্যাটিং মেরুদণ্ডকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। দুইটি ঘরোয়া মৌসুমে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে সমর্থ হন। ১৯৮৭-৮৮ ও ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে যথাক্রমে ৫৫১ ও ৫৭২ রান তুলেছিলেন তিনি।[১] তন্মধ্যে, শেষ মৌসুমে তামিলনাড়ুর রঞ্জী ট্রফির শিরোপা বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রেখেছিলেন।[২]
১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত ইরানি ট্রফিতে বাদ-বাকি ভারতীয় একাদশের বিপক্ষে দূর্দান্ত খেলা উপহার দিয়েছিলেন। মাত্র ৫৬ বলে দূর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন। ঐ সময়ে তার এ কৃতিত্বটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে যে-কোন ভারতীয় ভারতীয়দের মধ্যে তৎকালীন রেকর্ড ছিল।[৩] ফলশ্রুতিতে, খ্যাতির পাদপ্রদীপে চলে আসেন।
১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে বেশ সফলতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। এ মৌসুমে অপ্রত্যাশিতভাবে রাজ্য দলের অন্যতম তারকা খেলোয়াড়ের মর্যাদা পান। ৫৫১ রান তুলেছিলেন তিনি। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে আবারও দূর্দান্ত খেলেন। দিলীপ ট্রফিতে দুইটি সেঞ্চুরি করেন ভি. বি. চন্দ্রশেখর। ১৯৯১-৯২ মৌসুমে বেশ সফল হয়েছিলেন ও ৫৭২ রান করেন। এ মৌসুমের শুরুতে স্বল্পকালীন সময়ের জন্যে তামিলনাড়ুর অধিনায়কত্ব করার পর গোয়ার সাথে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন।
জাতীয় দল থেকে উপেক্ষিত হবার পরও ঘরোয়া ক্রিকেটে ঠিকই তিনি তার সেরা খেলা অব্যাহত রেখেছিলেন। বেশ কয়েকবছর রঞ্জী ট্রফিতে তামিলনাড়ু দলের প্রধান ব্যাটিং স্তম্ভ ছিলেন। ফলশ্রুতিতে, তামিলনাড়ু দলকে নেতৃত্বের দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়।[৪] ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত দলে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। ঐ মৌসুমে গোয়ায় স্থানান্তরিত হন। গোয়ার সদস্যরূপে কেরালার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৩৭ রানের মনোজ্ঞ ইনিংস উপহার দেন। দলের সংগ্রহ ৩৮৪ হলেও তিনি শুরু থেকে শেষ অবধি ব্যাটিংকর্ম অব্যাহত রাখেন।[৪][৫]
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পূর্বে ৮১ খেলায় অংশ নিয়ে ৪,৯৯৯ রান তুলেছিলেন ভি. বি. চন্দ্রশেখর।[৬]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাতটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছিলেন ভি. বি. চন্দ্রশেখর।[৭] তবে, কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়নি তার। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৮৮ তারিখে বিশাখাপত্তনমে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক ঘটে তার। ৮ মার্চ, ১৯৯০ তারিখে হ্যামিল্টনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।
ব্যাট হাতে ঘরোয়া ক্রিকেটে চমৎকার ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতীয় ওডিআই দলে ভি. বি. চন্দ্রশেখরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ডিসেম্বর, ১৯৮৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান।[১] তামিলনাড়ুর দলীয়সঙ্গী কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন।খেলায় তিনি ১০ রান করলেও ভারত দল চার উইকেটের জয় তুলে নেয়।[৮] সিরিজের তৃতীয় ওডিআইয়ে নিজস্ব একমাত্র অর্ধ-শতকের সন্ধান পান।[৮] ৭৭ বলে সংগৃহীত ৫৩ রানের কল্যাণে ভারত দল জয়ী হয়।[৯] তবে, মাঝারিমানের সফলতা পান তিনি। এরফলে, দলের বাইরে রাখা হয় তাকে।
১৯৯০ সালের শুরুতে নিউজিল্যান্ড গমনের জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়। এরপর ১৯৯০ সালে রথম্যান্স কাপ ত্রি-দেশীয় সিরিজে খেলার জন্যে মনোনীত হলেও দূর্বলমানের খেলা প্রদর্শন করেন।[৮] নিউজিল্যান্ডের মাটিতে শুরুতে বেশ ভালোমানের খেলা উপহার দেন। প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলোয় ৯২ ও ৭১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে, নবজ্যোত সিং সিধু আহত হলে তার খেলার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তাসত্ত্বেও, দল নির্বাচকমণ্ডলী দিলীপ বেঙ্গসরকারকে দলে ফিরিয়ে আনে। কিন্তু, তিনি আর খেলায় ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। টেস্ট সিরিজের পরপরই অনুষ্ঠিত একদিনের খেলায় আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দেন।
এ প্রতিযোগিতা শেষে দলের বাইরে তাকে রাখা হয় ও এরপর আর তাকে ভারত দলের পক্ষে খেলতে দেখা যায়নি।
একমাত্র ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে কৃষ শ্রীকান্তের ব্যাটিংয়ের সাথে তার অন্তঃমিল ছিল। দুইবার তামিলনাড়ুর পক্ষে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন তিনি। আক্রমণধর্মী ব্যাটসম্যান হিসেবে তার যথেষ্ট সুনাম ছিল। ভারতীয় ঘরানায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দ্রুততম শতরানের ইনিংস খেলার গৌরব অর্জন করেন।
জুলাই, ২০১২ সালে ভি. বি. চন্দ্রশেখরকে তামিলনাড়ু দলের কোচের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।[৪] এক বছরে রঞ্জী ট্রফির গ্রুপ পর্বে তার দল সপ্তম স্থানে অবস্থান করে ও বিজয় হাজারে ট্রফিতে ব্যর্থতার স্বাক্ষর রাখে। এরফলে তাকে দল পরিচালনা করা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।[৪] এছাড়াও, জাতীয় ও ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে দল নির্বাচকমণ্ডলীর দায়িত্ব পালনসহ ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।[৪] চেন্নাইয়ে ক্রিকেট একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি।[১] এছাড়াও তিনি ধারাভাষ্য কর্মের সাথে যুক্ত ছিলেন।
১৫ আগস্ট, ২০১৯ তারিখে চেন্নাইয়ের বাসভবনে ঝুলন্ত অবস্থায় আত্মহত্যা করেন। এ সময় তার বয়স ছিল ৫৮ বছর। তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লীগে অংশগ্রহণকারী দল ভি. বি. কাঞ্চি বিরানস-সহ ক্রিকেট সম্পর্কীত ব্যবসায় আর্থিক দিকে দেনাগ্রস্ত হওয়া এর প্রধান কারণ ছিল বলে পুলিশ মন্তব্য করে।[১০]